২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য মুখিয়ে টাইগাররা

-

চট্টগ্রামে কন্ডিশনের সাথে অ্যাডজাস্ট হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ দল আপাতত এসব থেকে দূরে। জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ শেষ করে বিশ্রামে তারা। আগামী ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামে পৌঁছাবে টিম বাংলাদেশ। ততক্ষণে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যস্ত থাকবে প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে। এম এ আজিজে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ তাদের আগামী ১৮-১৯ নভেম্বর। ভারতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বড় পরাজয়ের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ এখন ক্যারিবিয়ানদের। বিরাট কোহলিদের কাছে একেবারেই নাজেহাল তারা। ঠিক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের সিরিজের আগের সিরিজে রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। এ সিরিজটা প্রতিশোধেরও। তবে আশার বাণী বাংলাদেশ বাজে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে যেভাবে খেলেছেন তারা ওই আমেজটা ধরে রাখতে পারলে চট্টগ্রামে চিন্তা নেই। যে রান খড়ায় পুড়ছিল বাংলাদেশ। সেটা কাটিয়ে ওঠা গেছে। এক ঢাকা টেস্টেই বদলে গেছে সব।

আশার কথা, জিম্বাবুয়ে দলটা কিন্তু বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে এবার। বিশেষ করে তাদের বোলিং লাইনে কাইল জার্ভিস, চাতারা প্রমুখরা খুবই ভালো খেলেছেন। মুশফিকুর রহীম, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ, মেহেদি হাসান মিরাজরা যে হেসে খেলে রান করেছেন তা কিন্তু নয়। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাদের। অবশ্য রান পাওয়া না পাওয়া নিয়ে একটা দুশ্চিন্তাও কাজ করছিল। বাংলাদেশ আগের ম্যাচগুলোতে ছিলেন ওয়ানডে আমেজে। ঢাকা টেস্টেই দেখা গেছে ব্যতিক্রম। দেখেশুনে সেশন বাই সেশন ধরে খেলেছেন ম্যাচ। সাফল্যটা সেখানেই। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে যে ধৈর্য সেটার অপেক্ষা ছিল। তবে এটা ঠিক একেবারেই যে আহামরি করে ফেলেছেন তা কিন্তু নয়। প্রথম ইনিংসে ৫২২ রানের ইনিংসে মুমিনুলের ১৬১ রানের পর মুশফিকের ২১৯ রানের ইনিংস কাজে লেগেছে। এ ছাড়া আর কেউই সেভাবে দায়িত্ব নিতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে কিন্তু মুমিনুল ও মুশফিক দু’জনই ছিলেন ব্যর্থ। দায়িত্ব নেন মাহমুদুল্লাহ। তবে চট্টগ্রামে যেহেতু টেস্টম্যাচ শুরু ২২ নভেম্বর থেকে। তাই এ সময়ে ব্যাটিং নিয়ে আরো অনুশীলনের সুযোগ আছে।

১৮ নভেম্বর সেখানে গিয়ে পৌঁছালে ২০ তারিখ থেকে দুই দিন ভালো অনুশীলনের সুযোগটা থাকবে তাদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুশফিক রান করেছেন ২৭০, চার ইনিংসে। ব্রেন্ডন টেইলর তার পরেই অবস্থান করছেন ২৪৬ নিয়ে। মুশফিক ডাবল সেঞ্চুরি করলেও ব্রেন্ডন টেইলর ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। মুমিনুল রয়েছেন তৃতীয় স্থানে ১৮২ রান নিয়ে।

বোলিংয়ে তাইজুলের ধারকাছ দিয়েও নেই কেউ। বাঁহাতি এ বোলার নিয়েছেন ১৮ উইকেট। চার ইনিংসের মধ্যে টানা তিনবারই তিনি নিয়েছেন পাঁচ বা ততোধিক উইকেট। মেহেদি হাসান মিরাজ এরপর রয়েছেন ১১ উইকেট নিয়ে। জার্ভিসের উইকেট ১০। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান ও বোলারদের একই পারফরম্যান্সটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও চায় টিম বাংলাদেশ। খেলোয়াড়রাও মুখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সে বাজে অবস্থাটা যে ছিল ক্ষণিকের সেটা প্রমাণ দেয়ার জন্যই!


আরো সংবাদ



premium cement