২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘আমাদের চোখের পানি কেউ দেখে না’

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ - সংগৃহীত

পারফরমেন্স খারাপ হলে বা ম্যাচ হারলে খেলোয়াড়রাও যে কস্ট পায়, সেটা কী কেউ খবর রাখে? মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শেষে এভাবেই বুঝাতে চেয়েছিলেন তাদের কষ্টের কথা! কারণ বাজে পারফরমেন্স হলে সমালোচনা করতে কেউই ছাড়েনা। সর্বত্র ওই ব্যার্থতার গল্প। কিন্তু খেলোয়াড়রাও কিন্তু ব্যার্থতায় সমান ব্যাথিত।

তিনি বলেন,‘আমাদের চোখের পানি কেউ দেখেনা’ সিলেট টেস্টে সাড়ে তিনদিনে হারের পর সত্যিই মুষড়ে পরেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত জয়ের পর প্রথম টেস্টে ওভাবে ভেঙ্গে পরবে সেটা কল্পনা করেনি কেউ। সবাইকে হতাশার সাগরে ভাসিয়ে সে টেস্টে বিপর্যস্ত হার ছিল টিম বাংলাদেশের। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনেও বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ,‘এভাবে টেস্টম্যাচ খেলার মানে হয়না।’

ঢাকা টেস্ট ম্যাচ জয়ের পরও সে ওই কথা আবারও উচ্চারণ করেছেন। বলেছেন, ‘সিলেটে আমাদের অনেক কিছুতে ডিসিপ্লিনের অভাব ছিল। আসলে সেভাবে ম্যাচ খেলার মানে হয়না। তবে এ ম্যাচে আমরা অনেক রিকভার করতে পেরেছি। ডিসিপ্লিন ফিরেছে। তবে এখনও অনেক স্থানে উন্নতি করার সুযোগ আছে। ইনশাল্লাহ হবে।’

উন্নতির স্থানগুলোর দিকে নজর তিনি দেন মূলত ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে। ব্যাটিংয়ে এ ম্যাচেও ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডার ভেঙ্গে পরে। একটা ব্যাটিং লাইনের জন্য এটি চিন্তার কারণ।

মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে বাজে সূচনার পর মুশফিক ও মুমিনুল অসাধারন খেলেছেন। বিশেষ করে সে সময়ের উইকেটে খেলা সহজ ছিলনা। দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা ভাল ছিলনা। এরপর সেটা রিকাভার করা গেছে। বোলাররাও ভাল করেছেন। বিশেষ করে তাইজুল ও মিরাজ ভাল খেলেছেন। খালিদ ভাল বোলিং করেছে অভিষেক টেস্ট ম্যাচ হিসেবে। তবে শুরুতে নার্ভাস ছিল। ওর ব্যাড লাক উইকেট পায়নি। ক্যাচ ড্রপ ছিল। একটা উইকেট পেলে ওর আত্ববিশ্বাস আরো বেড়ে যেত। আর মুস্তাফিজ তো অসাধারন বোলিং করেছেন। তবে উইকেট পেতে ভাগ্যও লাগে। সেটা সহায়তা না দিলেও সে ভাল করেছেন।’ রিয়াদ ক্যাচ ড্রপ নিয়ে অতটা সন্তুষ্ট নন। কিছুটা সমস্যা আছে। তবে সেটা নিয়ে অতটা চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।

উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘উইকেট কিন্তু পঞ্চম দিন পর্যন্তই ভাল ছিল। এ দিনও মাঝে মধ্যে সমস্যা দেখা দিলেও একেবারে যেভাবে আশা ছিল, সেভাবে হয়নি।

অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ, ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ। দুটিই তার জন্য চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক হিসেবে এটিই তার প্রথম জয়।কিন্তু ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ কতটা সাকসেস, এর জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখবেন আমার গত চার টেস্টে হাফ সেঞ্চুরিও ছিলনা। বলতে পারেন এটা নিয়ে কিছুটা ভয়েও ছিলাম। এ ম্যাচে আমি কিছুটা হলেও চেস্টা করেছি। তাছাড়া একজন অধিনায়ক হিসেবেও আমার দায়বদ্ধতা আছে। মনে হয় কিছুটা হলেও সফল হয়েছি।’

তবে মাহমুদুল্লাহ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে এখনই সতর্ক হচ্ছেন। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক ফাস্ট বোলার রয়েছে যারা ১৪০-১৪৫ গতিতে বাংলাদেশের কন্ডিশনেও বল করতে সক্ষম। ফলে তাদেরকে সামলাতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সে মানের ব্যাটসম্যান অবশ্যই রয়েছে যারা এসব বোলারদের সামলানোর যোগ্যতা রাখেন। তবে আমি আগেও বলেছি আমাদের ডিসিপ্লিনে দুর্বলতা ছিল। এখানে আমরা ফিরতে পেরেছি।’


আরো সংবাদ



premium cement