১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিষিক্ত খালেদের বোলিং নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে

খালেদ আহমেদ - সংগৃহীত

ঢাকা টেস্টে অভিষেক হয়েছে দুই তরুণ মোহাম্মদ মিথুন ও খালেদ আহমেদের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শূন্য হাতে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিথুন। অভিষেকটা মধুর হয়নি তার। তবে আরো একটি ইনিংস এখনো বাকি আছে। দ্বিতীয়জন পেস বোলার খালেদের অভিষেকটা মধুরই বলা যায়। ইতোমধ্যে ১০ ওভার বল করেছেন। উইকেট শিকার করতে না পারলেও রান দিতে কিপটেমি করছেন ভালোই।

গতকাল দ্বিতীয় দিন বল হাতে প্রথম তিন ওভারের বোলিং ফিগার ছিল খুবই চমৎকার- ৩-২-২-০। তিন ওভারে দুটি মেডেন দিয়েছেন, করেছেন দুই রান। কোনো উইকেট পাননি।

আজ সকালে বল হাতেও সে ধারাবাহিকতা বজায় আছে। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৬টি মেডেন। রান দিয়েছেন ১৮টি। তবে উইকেটের দেখা এখনো পাননি।

কেন উইকেট পাচ্ছেন না? এ নিয়ে ক্রিকইনফোতে চলছে কথা-বার্তা। একজন ধারাভাষ্যকার খালেদের বোলিংয়ের প্রশংসাই করছেন। বলছেন, 'কেমন করছেন অভিষিক্ত খালেদ? কিছুটা আগ্রাসী কিন্তু পরিমার্জিত পেস বোলিংই করছেন তিনি। তবে আরো কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তাহলেই ব্যাটসম্যানকে অস্বস্তিতে ফেলা যাবে।'

তবে ভিন্ন কথা বলেছেন অন্যজন। তার মতে, 'খালেদ বোলিং একঘেয়ামী হয়ে যাচ্ছে। তার বেশিরভাগ বল শর্ট পিচ আর বাউন্সার হচ্ছে। তুমি যদি বোলিংয়ে বৈচিত্র না আনো এবং ব্যাটসম্যানকে রান করতে প্রলুব্ধ না করো, তাহলে উইকেট পাবে না। তথাকথিত পেস বোলিং করলেই তো হবে না। তাহলে দলকে তুমি কিছু দিতে পারবে না।'

বলে রাখা ভালো, ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দিয়েই জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন খালেদ। প্রথম শ্রেণীর ২০টি ম্যাচে ৪৮ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। ইনিংসে তার সেরা বোলিং ফিগার ৫৪ রানে পাঁচ উইকেট। ১৩৯ রান খরচায় ১০ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের হয়ে পাঁচ ইনিংসে ২৯৬ রানে ১১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এবারের আসরে দু’বার পাঁচ ও একবার ১০ উইকেট নিয়েছেন খালেদ।


আরো সংবাদ



premium cement