২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জোড়ায় জোড়ায় সাজঘরে

ওপেনিং জুটি ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস - এএফপি

চতুর্থ দিন সকালে নিশ্চিন্তে আধাঘণ্টা পার করেছিল বাংলাদেশ। এরপরই বিপদ। পরের আধাঘণ্টায় ফিরেছেন দু'জন। ওপেনার লিটন দাস ও মুমিনুল হক। এরপর নিশ্চিন্তে পার করেছে আরো আধাঘণ্টা। এই সময় ক্রিজে ছিলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু পরের আধাঘণ্টায় এই দু'জনও সাজঘরে ফিরেছেন।

এখন ক্রিজে আছেন তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত (১১) ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম (১)।

বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৪ রান।

 

টি-২০ স্টাইলে টেস্ট খেলে বিপদে বাংলাদেশ

টেস্ট মানে ধীর-স্থিরতা। ক্রিজে টিকে থেকে ভালো বলে রান তুলে নেয়া। অথচ চলমান সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ হাঁটছে উল্টো পথে। প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানে অলআউট। আর আজ দ্বিতীয় ইনিংসেও তারা দ্রুত রান তোলায় ব্যস্ত। টি-২০ স্টাইলে রান সংগ্রহ করছেন তারা। যার বেশিরভাগই বাউন্ডারি হাকিয়ে। যার ফল হাতে-নাতেই পাচ্ছে। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ৬৭ রান। সাজঘরে ফিরে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যান হলেন লিটন দাস ও মুমিনুল হক। লিটন তিন বাউন্ডারিতে করেছেন ২৩ রান আর মুমিনুল দুই বাউন্ডারিতে ৯ রান।

গতকাল জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস শেষে ৩২০ রানের লিড নেয়। বাংলাদেশকে জয়ের মন্ত্র তখন জানিয়েছিলেন ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যকার।

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে এই টেস্ট যখন হচ্ছে একই সময় সিলেট থেকে কয়েক শ' কিলোমিটার দূরে চলছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা। খুলনা খেলছিল রংপুরের বিরুদ্ধে। খুলনার টপ অর্ডার দ্রুতই ভেঙে পড়ে। তখন তুষার ইমরান ক্রিজে আসেন এবং দলকে ওই অবস্থা থেকে টেনে তুলতে দুই ঘণ্টা ক্রিজে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। ৮৭ বল খেলে করেন ১৯ রান। এই ঘটনার কথা উল্লেখ্য করে ধারাভাষ্যকার বলেন, 'তুষারের ধৈর্য্য, অধ্যবস্যায়, মনোবল ও স্থিরতা থেকে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের শিক্ষা নেয়া উচিত।'

 

ওপেনিং জুটি ভাঙলেন রাজা

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। অর্ধশত রানের জুটি গড়েছিলেন ওপেনার লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। কিন্তু দলীয় ৫৬ রানের মাথায় সেই জুটির ভাঙন ধরালেন সিকান্দার রাজা। ২৩ রানে সাজঘরে ফিরেন লিটন।

এর আগে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৬ রান। এই সংগ্রহ নিয়ে সকালে ব্যাট করতে নামেন অপরাজিত থাকা লিটন (১৪) ও ইমরুল (১২)।


আরো সংবাদ



premium cement