২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যাটিং ব্যর্থতায় সফলতা দেখছেন মাশরাফি

মাশরাফি বাহিনী - সংগৃহীত

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সহজ জয়ের পর আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে টাইগাররা। তবে প্রথম ম্যাচে উইকেট বিপর্যয়টাকে পুরোপুরি নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন না অধিনায়ক মাশরাফি মতুর্জা। ৬ উইকেট হারানোর পর ইমরুল কায়েস ও সাইফউদ্দিন জুটি খাদের কিনারায় থাকা বাংলাদেশকে টেনে তুলেছে, তাতে খুশি অধিনায়ক। সাংবাদিকদের সেই কথাটাই বললেন তিনি।

মাশরাফি বলেন, 'আমার দিক দিয়ে বলব আমি খুশিই হয়েছি। সাইফউদ্দিন রান করেছে। এই পজিশনটা দেখা। আমি আগেও বলছি হয়তো বা এটা আদর্শ পরিস্থিতি না। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে যা হয় আরকি, এই যে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিগুলো যদি আমরা না দেখতাম তাহলে ওদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়ত না, আমাদেরও বাড়ত না।'

তিনি আরো যোগ করেন, 'অন্য দলের অনেক সময় টপ অর্ডার রান পেলে লেট মিডল অর্ডার এক্সপোজড হয় না। কিন্তু আমাদের লেট মিডল অর্ডার এক্সপোজড হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসতে পেরেছি, এটা কিন্তু আমাদের আরো ওপরে উঠতে সাহায্য করবে। সব সময় যদি আমরা মুশফিক আর রিয়াদে খেলা শেষ করি, বড় মঞ্চে গিয়ে যখন সেটা হবে না, তখন কিন্তু দল বিপদে পড়বে। সুতরাং এটা এক দিক দিয়ে ভালো যে লেট মিডল অর্ডার এক্সপোজড হয়েছে এবং ওরা রান পেয়েছে।'

তবে ৩ উইকেটে ১৩৭ থেকে এক লাফে ৬ উইকেটে ১৩৯ রান- পর পর তিন উইকেট হারানোটা ভাবাচ্ছে মাশরাফিকে। কারণ টপ অর্ডারের একজন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি হাকানোর পরও সংগ্রহটা তিন শ' ছুঁতে পারছে না। কারণ পর পর উইকেট হারানো। তাই দুশ্চিন্তায় আছেন মাশরাফি। বললেন, 'টপ অর্ডারে একজন এক শ' করার পরেও রানটা কিন্তু তিন শ' হচ্ছে না। সাধারণত টপ অর্ডারের একজন সেঞ্চুরি পেলে দলীয় সংগ্রহটা তিন শ' ছাড়িয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এই জায়গাটা চিন্তার। টপ অর্ডারে বড় সংগ্রহের পর পরের দিকে যে সাহায্যটা দরকার সেটা এত পরে আসছে যে রানটা বড় হচ্ছে না। এই জায়গায় একটু মানিয়ে নেয়ার ব্যাপার আছে।'

 

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ওয়ানডে : হিসেবে এগিয়ে বাংলাদেশই

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। আগামীকাল দুপুর অাড়াইটায় দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।

মিরপুর শেরেবাংলায় প্রথম ম্যাচ খেলে সোমবার বিকেলেই চট্টগ্রামে পৌঁছেছে টিম বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

গতকাল অবশ্য দুই দলেরই ছিল বিশ্রামের দিন। আজ সকালে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই দলই শিডিউল করে অনুশীলন করবে।

চট্টগ্রামে দুই দলের মধ্যে সর্বশেষ যে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে বাংলাদেশেরই ছিল জয়জয়কার। ২০১৪ সালের সে ম্যাচের একটিতে ৮৭ ও অন্যটিতে ৬৮ রানে জিতেছে টিম বাংলাদেশ। এবারো শেষ দুই ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যেই খেলতে নামবে বাংলাদেশ। অবশ্য প্রথম ম্যাচ জয়ের পর এখন দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয়। কিন্তু বাংলাদেশের টার্গেট শুধু সিরিজ জয়ের মধ্যেই নয়। সাথে সিরিজটা ৩-০ রাখার টার্গেট তাদের। চট্টগ্রামের ম্যাচ দুটিও অনুষ্ঠিত হবে দিবা-রাতে।

এ দিকে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং বিপর্যয় ছিল। ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মাদ সাইফুদ্দিন যদি ১২৭ রানের পার্টনারশিপ না খেলতেন তাহলে ইনিংস সমৃদ্ধ হতো না। চট্টগ্রামেও ইমরুল ঢাকার (১৪৪) রানের মতো ইনিংস খেলবেন সেই সাথে মুশফিক, লিটন, ফজলে রাব্বিরা ভালো করবেন এ প্রত্যাশা চট্টলাবাসীরও।


আরো সংবাদ



premium cement