২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমিরাতের টি২০তে খেলতে চান সাকিব, কী করবে বিসিবি?

আমিরাতের টি২০তে খেলতে চান সাকিব, কী করবে বিসিবি? - ছবি : সংগৃহীত

অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান চলতি বছরের ইউএই টি২০এক্স খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি এই আসরটি হবে। টি২০ ক্রিকেটের এই আসরে দুবাই, আবু ধাবি ও শাহজায় খেলা হবে। সাকিব খেলার অনুমতি চেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে। তবে বিসিবি এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনিস বলেছেন, তিনি টি২০ টুর্নামেন্টটিতে খেলার জন্য এনওসির জন্য আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দুই-এক দিন লাগতে পারে।

সাকিব দীর্ঘ দিন ধরে আঙুলের ইঞ্জুরিতে ভুগছেন। গত মাসে এশিয়া কাপের সময় তাতে সংক্রমণ দেখা দিলে অবস্থার বেশ অবনতি ঘটে। ফলে এশিয়া কাপ শেষ করার আগেই তাকে ঢাকা ফিরতে হয়। পরে চেক-আপের জন্য তিনি অস্ট্রেলিয়া যান।
তিনি গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

তিনি বলেন, তার অসুস্থতা কতটুকু নিরাময় হয়, তার ওপর নির্ভর করছে ওই আসরে তার খেলায়। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে খেলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ইএসপিএনক্রিকইনফো জানতে পেরেছে, রোববার বাংলাদেশের বিশ্বকাপ পরিকল্পনা নিয়ে একটি বৈঠক করবে বিসিবি। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সাকিব ও তামিম ইকবালসহ ইঞ্জুরির শিকার সব খেলোয়াড়কে সতর্কতার সাথে চিকিৎসা নিতে বলেছেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে সাকিবকে ছাড়াই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে খেলছে। তিনি যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলতে চান, তবে তাকে নভেম্বরের মধ্যভাগের আগেই ফিট হতে হবে।

আরো পড়ুন :

দেশে ফিরে ইনজুরি নিয়ে যা বলেছিলেণ সাকিব

অস্ট্রেলিয়া থেকে আজ দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। আঙুলের চিকিৎসার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এখন কী অবস্থা তার ইনজুরির?

সংবাদিকদের সাকিব জানান, 'এখন বেশ ভালো আছে। ইনফেকশনটাও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইনফেকশনের অবস্থা জেনে নিতে হবে। ইনফেকশন বাড়লো কিনা বা নতুন কোনো সমস্যা দেখা দিলো কি-না। তবে এটুকু বলতে পারি এখনও পর্যন্ত ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণেই আছে। চিন্তার কিছু নেই। আঙুলের অবস্থা এখন খুবই ভালো। কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। শুধু সময়ের ব্যাপার কতদিনে আমার আঙুলের শক্তি ফিরে আসে।'


এর আগে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সময় সাকিব জানিয়েছিলেন, তার আঙুল আর আগের অবস্থায় হয়ত ফিরবে না। এই কথায় ক্রিকেটপাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার কবে আবার মাঠে নামতে পারবেন- এই আশঙ্কায় ছিল সবাই। তবে এখন আশার বাণী শুনালেন সাকিব। বললেন, 'আঙুলের সার্জারি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে করা যাবে না। কারণ ইনফেকশন যদি হাড়ের ভেতরে থেকে থাকে সেটা আসলে সরার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওখানে রক্ত পৌঁছায় না। যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিকরা রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়, যেখানে ব্লাড যায় না সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে কাজ করবে। তাই ইনফেকশনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কোনো সার্জারি করা যাবে না। তবে ভালো ব্যাপার হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই, তাই আমি বলেন বা ফিজিওর পরামর্শে বলেন চিন্তা করা হচ্ছে যে সার্জারি বাদে কিভাবে খেলা যায়।'

এদিকে মাঠে ফেরার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন সাকিব। জানালেন সে কথাও। বলেন, আমি ইতোমধ্যে রিহ্যাব প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। অস্ট্রেলিয়া থাকতেই শুরু করেছি। ওখানে হ্যান্ড থেরাপিস্টকে দেখানো হয়েছে। উনি যেভাবে বলেছে সেভাবে ফলো করে করে কাজ করতে হবে। যত বেশি করা যাবে তত আমার জন্য ভালো। যত বেশি করে করে হাতের শক্তিটা আবার আনা সম্ভব সেটাই এখন মূল উদ্দেশ্য।'


আরো সংবাদ



premium cement