২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধ্বংসস্তুপে একা দাড়িয়ে ইমরুল

হাফ সেঞ্চুরির পর ইমরুল কায়েস - ছবি : এএফপি

একের পর এক ব্যাটসম্যানদের আত্মহত্যার মিছিলে খাদের কিনারে চলে গেছে বাংলাদেশ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করছেন বামাহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস। মিরপুর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ এখন মহা বিপর্যয়ে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দলের রান ৩৫ ওভারে ৬ উইকেট দেড়শ পার হয়েছে।

ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যেও ব্যতিক্রম ওপেনার ইমরুল কায়েস। এক প্রান্ত আগলে রেখে তিনি লড়াই করে যাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে। ইমরুল কায়েস এখনো পর্যন্ত খেলে যাচ্ছেন অবিচল। জিম্বাবুয়ের বোলারদের কোন সুযোগ না দিয়ে তিনি ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে যাচ্ছেন। সেই সাথে রানের চাকাও সচল রাখছেন। ৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইমরুল অপরাজিত আছেন ৮১ রানে। ১০২ বল মোকাবেলায় ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় এই রান করেছেন বাংলাদেশর বামহাতি ওপেনার।

তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে অন্যদের ওপর যখন গুরুদায়িত্ব দলকে টেনে নেয়ার তখন সবাই ব্যর্থ হলেন। এক ইমরুল কায়েস ছাড়া কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। লিটন দাস ১৪ বলে ৪, অভিষিক্ত ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৪ বলে ০ রান। মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহীম দারুণ শুরু করেও ক্রিজে টিকতে পারেননি। ২০ বলে ১৫ রান করেছেন তিনি। তবে মোহাম্মাদ মিথুন কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন ইমরুলকে। তিনি ৩৭ রান করে আউট হয়েছেন।

তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহীমের সাথে ৪৯ রানের এবং চতুর্থ উইকেট মিথুনের সাথে ৭১ রানের দুটি সময়োপযোগী জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস।  এই দুটি জুটিতে দল লড়াইয়ে ফিরতে শুরু করেছিলো ; কিন্তু মিথুনের বিদায়ের পর মাহমুদুল্লাহ ও মেহেদী মিরাজ যথাক্রমে ০ ও ১ রানে বিদায় নিলে আবার বিপর্যয়ে পড়ে দল।

 এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে দলীয় ১৬ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। লিটন করেছেন ৪ রান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অভিষিক্ত ফজলে মাহমুদ রাব্বিও হতাশ করেছেন। রানের খাতা খোলার আগেই একই ওভারের শেষ বলে ফিরে গেছেন তিনি। তেন্দাই চাতারার ওই এক ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।

এরপর ক্রিজে আসা মুশফিকুর রহীম ভরসার পাত্র হয়ে ওঠার আগেই ফিরে যান ১৫ রানে। মুশফিক-ইমরুলের ৪৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশ যখন লড়াইয়ে ফেরার প্রত্যাশা করছিলো তখনই মাভুতার বলে ‍উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুশফিক। এরপর মোহাম্মাদ মিথুন অবশ্য কিছটা সঙ্গ দিয়েছেন ইমরুল কায়েসকে। মোহাম্মাদ মিথুন তিনি ৩৭ রান করেছেন ৪০ বল খেলে। যাওয়ার আগে ইমরুল কায়েসের সাথে ৭১ রানের জুটি গড়েছেন মিথুন। এই জুটিতেই বাংলাদেশের রান এক শ’ পার হয়।


আরো সংবাদ



premium cement