১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাশরাফিরা যেভাবে ফেসবুক পরিচালনা করেন

মাশরাফিরা যেভাবে ফেসবুক পরিচালনা করেন - সংগৃহীত

বাংলাদেশে ক্রিকেট তারকাদের নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক পাতা রয়েছে। প্রায় সব ক্রিকেটারই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের নানা তথ্য, ছবি বা বিভিন্ন শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে থাকেন ভক্তদের উদ্দেশ্যে।

তবে ব্যস্ত সময়সূচির কারণে এসব পাতা সর্বদা ক্রিকেটাররা পরিচালনা করতে পারেন না, তবে কারা পরিচালনা করেন এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।

বিভিন্ন সময়ে ফেসবুক পাতায় ফলোয়ারদের দ্বারা ক্রিকেটারদের সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঝড়ও উঠেছে।

এসব বিষয় নিয়ে কী অভিজ্ঞতা যারা এসব পাতা চালান তাদের?

মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এবং বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একজন ক্রিকেটার। তার ফেসবুক পাতা চালান মেহেদি হাসান রুপক।

‘এটা এখনো পেশাদার কোনো প্লাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, আমরা আবেগ থেকেই করে থাকি’, বলছিলেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার অফিসিয়াল ফেসবুক পাতা চালান যিনি, রুপক।

‘বাংলাদেশে ভক্তরাই একটা সময় এমন সম্পর্কে জড়িয়ে যায় যে সেখানে টাকা পয়সা বা এধরণের কিছু আশা করাটা খারাপ দেখায়, তবে অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডে মাসিক বা চুক্তি ভিত্তিতে এজেন্টরা টাকা পায়।’

কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে ভক্তরা বা যারা এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটারদের অনুসরণ করেন সেখানে বিভিন্ন রকম অপ্রত্যাশিত মন্তব্য আসে।

এগুলো কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন তারা?

রুপক বলেন, আমাদের একটি গ্রুপ আছে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা: ম্যাশবুক, সেখানে নীতিমালা রয়েছে যে কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে যাতে বাজে মন্তব্য না করায়। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

‘আবার কিছু পোস্ট থাকে যেখানে ‘হারলেও বাংলাদেশ, জিতলেও বাংলাদেশ’ এধরণের স্লোগান থাকে। বিশেষত খেলার সময়, যাতে হেরে গেলে বাজে মন্তব্য কম আসে।’

কিন্তু মেহেদি হাসান রুপক কীভাবে মাশরাফির ফেসবুক পাতা চালানোর দায়িত্ব পেলেন?

রুপক বলেন, ‘মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা ভাইয়ের পাতা শুরু থেকেই আমিই চালাতাম। এটা ভেরিফাইড করি আমি। পরে ভাইয়া সংযুক্ত হলেন, বিভিন্ন পোস্ট মাশরাফি ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে দেয়া হয়। পরে মাশরাফি ভাইয়ের ছোট ভাই মোরসালিনও যুক্ত হয়েছেন এখানে। এভাবে আমরা মিলেমিশে কাজ করি।’

সম্প্রতি বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদের সন্তান জন্ম নেয়ার পর তার অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় একটি ছবির পোস্টের মন্তব্যে নানা ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য আসা শুরু করে।

তাসকিনের ফেসবুক পাতা যিনি চালান তার নাম মাহফুজুর রহমান বাধন, তিনি বলছিলেন, ইস্যু যদি গুরুতর হয় সেক্ষেত্রে তাসকিন আহমেদ নিজেই কমেন্ট করে। কখনো কখনো খুব মন খারাপ হয়ে যায় এধরণের মন্তব্যে।

 বাধন বলেন, ‘ভাইয়া আমাকে বলেন যেটা দিলে মানুষ খারাপ ভাববে বা খারাপ মন্তব্য আসতে পারে সেটা দেই না। যেমন ধরুন খেলায় খারাপ করেছে কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো কিছু পোস্ট দিলেও খারাপ মন্তব্য আসে। অনেক ক্ষেত্রে পোস্ট মুছেও ফেলতে হয়েছে।’

কিন্তু তাসকিন আহমেদের সাথে কীভাবে ফেসবুক পাতা নিয়ে কাজ শুরু করেন বাধন।

বাধন বলেন, ‘এটা একদম শুরুতে আমি দায়িত্ব পাই, আলাদাভাবে ওনার সাথে কথা বলতে হয়নি। সাথে আরেকজন ছিল আমরা দুজন মিলে এটা চালিয়ে যাই।’

তাসকিন আহমেদের সাথে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন চট্টগ্রাম ছিলাম, তখন থেকে ফেসবুকে তাসকিন ভাইয়ের সাথে কথা হতো। তখন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।এরপর আমি ঢাকায় আসার পর আমরা বন্ধুর মতো এখন।’

 


আরো সংবাদ



premium cement