২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৌম্য এবাদত ঝড়ে উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে

সৌম্য এবাদত ঝড়ে উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে। - সংগৃহীত

সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৮ উইকেটের ব্যবধানে দারুন এক জয় তুলে নিল বিসিবি একাদশ। এর আগে জিম্বাবুয়ে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৯ ওভারে মাত্র ১৭৮ রান করতে সক্ষম হয়। নবাগত এবাদত হোসেনের বোলিং তোপের সামনে অধিনায়ক মাসাকাদজা ছাড়া সুবিধা করতে পারেনি কেউ।

বিসিবি একাদশের অধিনায়ক সৌম্য সরকার ১১৪ বলে ১০২ রানে অপারিজত থেকে একাই ম্যাচ জিতেয়ে দেন।

দলীয় ১১ রানের মাথায় রানআউট হন ওপেনার মিজানুর। এক চারের মারে ২০ বল খেলে ৮ রান করেন তিনি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক সৌম্য সরকার।  ১৫তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলে তারিসাই মুসাকান্দার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ফজলে রাব্বি। ৩৪ বলে ১৩ রান করেন তিনি। দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় মোসাদ্দেক হোসেন ৪৮ বলে ৩৩ রান করে স্বেচ্ছা অবসরে যান।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নিলেও লাভ হয়নি জিম্বাবুয়ের। বাংলাদেশের বোলিং তোপে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজারা।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক মাসাকাদজাই। একের পর এক উইকেট যখন পড়ে যাচ্ছে, তখন ক্রিজের আরেক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তিনি। এবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপে আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতেই পারেনি।

প্রথম চার ওভারেই পেসাররা তুলে নিয়েছিল দুটি উইকেট। মাত্র ৪৭ রানের মধ্যে আউট হন জিম্বাবুয়ের পাঁচ ব্যাটসম্যান। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এলটন চিগুম্বুরাকে নিয়ে ১২৪ রানের জুটি গড়ে দলের সম্মান রক্ষা করেন মাসাকাদজা। এমনকি এ দুজন ছাড়া দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেননি কেউই।

অবশ্য শেষ পর্যন্ত শতক তুলে নিয়েছেন মাসাকাদজা। তবে ৪৭ রান করে চিগুম্বুরা আউট হওয়ার পরে খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি মাসাকাদজা। নবম উইকেটে তিনিও আউট হলে মূলত তখনই শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে পাঁচটি উইকেট পেয়েছেন ডানহাতি মিডিয়াম পেসার এবাদত হোসেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে দলে থাকা বোলার সাইফউদ্দিন পেয়েছেন তিন উইকেট। মোহর শেখ ও ইমরান আলী একটি করে উইকেট পেয়েছেন। জিম্বাবুয়ে দলের ভুলগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বিসিবি একাদশের তরুণরা। সাকিব-তামিম ছাড়া বাংলাদেশ দল সেই পথে হাঁটতে পারে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

 

আরো পড়ুন: জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে রোমাঞ্চিত রোডস
বাসস, ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:১৯

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ নিয়ে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ স্টিভ রোডস। টাইগার দলের সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন রোডস। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটিই হবে তার প্রথম হোম সিরিজ। টাইগারদের হয়ে নিজের প্রথম হোম সিরিজে নামার আগে বেশ রোমাঞ্চিত বাংলাদেশের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।

রোডসের মতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামায় বাংলাদেশ দল কিছুটা চাপে থাকবে। দলে নেই দুই তারকা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। তাদের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই সফরকারীদের জন্য বাড়তি পাওনা। কিন্তু চাপ থাকলেও সিরিজ জয়ের বিষয়ে ব্যাপারে পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী তিনি।

রোডস বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে আমার জন্য প্রথম হোম সিরিজ। আমি খুবই রোমাঞ্চিত। এর আগে ইংল্যান্ড দলের সহকারী কোচ থাকাকালীন আমি এখানে এসেছিলাম। তখন তো আমার দল হেরেছিলো। কিন্তু এখন আমি স্বাগতিক কোচ, তাই আশা করছি দুর্দান্ত একটা সিরিজ হবে। বাংলাদেশের দর্শকদের মুখে ছেলেরা হাসি ফুটাতে পারবে। তামিম-সাকিব বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের দুজন, তাদেরকে দল মিস করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমার হাতে মাশরাফি, মুশি, রিয়াদ আছে। মিরাজদের মতো তরুণরা আছে। জিম্বাবুয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাতে ভালো করেনি, কিন্তু ওরা অনেক ভালো দল। জমজমাট একটা সিরিজ আশা করছি।’


আরো সংবাদ



premium cement