১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাকিস্তানি বোলাদের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংলাইন

পাকিস্তানি বোলাদের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংলাইন - ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানি বোলারদের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন। আসা যাওয়ার মধ্যেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানেরা। কোনো ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারছেন না। ইতোমধ্যেই ৭ উইকেট পড়ে গেছে তাদের। সংগ্রহ মাত্র ৯১ রান। পাকিস্তানের চেয়ে তারা এখনো ১৯১ রানে পিছিয়ে আছে। এখন চলছে মধ্যাহ্ন বিরতি।

আবু ধাবিতে আজ দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন। অস্ট্রেলিয়া শুরু করেছিল ২ উইকেটে ২০ রান নিয়ে। আগের দিনের দুই উইকেটই নিয়েছিলেন 'রকস্টার' মোহাম্মদ আব্বাস। আজ সকালের প্রথম দুটি উইকেটও নেন তিনি। ফলে ইতেমাধ্যেই তার ৪ উইকেট শিকার হয়ে গেছে। কিন্তু অন্যরাও খুব পিছিয়ে নেই। বিলাল ২টি, ইয়াসির শাহ ১টি উইকেট নিয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যকার প্রথম টেস্ট ম্যাচটিতে পাকিস্তানের প্রাধান্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা জয় থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।

মঙ্গলবার ম্যাচের প্রথম দিন আবু ধাবি টেস্টের প্রথম দিনই হতাশা সঙ্গী হয় পাকিস্তানের ওপেনার হিসেবে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ফখর জামান ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনই নাভার্স-নাইন্টিতে আউট হন দু’জনেই। ব্যক্তিগত ৯৪ রানেই ফিরেন জামান ও সরফরাজ। এ জুটির বড় স্কোরের সুবাদে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দিন শেষে স্বস্তিতে নেই অস্ট্রেলিয়াও।
২ উইকেটে ২০ রান তুলেছে তারা। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ২৬২ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। ৪ রান করে ফিরেন ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ। এরপর উইকেটে গিয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তিন নম্বরে নামা আজহার আলী। ১৫ রান করেন তিনি।

আজহারকে হারানোর পর পাকিস্তানের মিডল-অর্ডার দুমড়ে মুচড়ে যায়। ১১ বল, ১০ মিনিট ও শুন্য রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। হারিস সোহেল, আসাদ শফিক ও বাবর আজম শূন্য হাতে ফিরেন। তিনজনকেই শিকার করেন অস্ট্রেলিয়ার অফ-স্পিনার নাথান লিও। ফলে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

ঘুর্ণিঝড়ের মত হঠাৎ আঘাতে ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে সামনের দিকে টেনে তোলেন জামান ও সরফরাজ। উইকেটের সাথে সন্ধি করে ফেলেন তারা। ফলে এই জুটির কল্যাণে ২শ রানের কোটা স্পর্শ করে পাকিস্তান। দলকে ২ শ’ রানে পৌঁছে দিতে গিয়ে সেঞ্চুরি দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান জামান। কিন্তু ৯৪ রানে থেমে যান তিনি। পাকিস্তানের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক ম্যাচে নাভার্স-নাইন্টিতে ফিরলেন জামান। ১৯৮ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান জামান। জুটিতে সরফরাজের সাথে ১৪৭ রান যোগ করেন জামান।
জামানের মত হতাশ হয়েছেন সরফরাজও। প্রতিপক্ষ লেগ-স্পিনার মার্নাস লাবুসচাগনেকে ছক্কা হাকাঁতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে ৭টি চারে ১২৯ বলে ৯৪ রানের ইনিংসটি থেমে যায় সরফরাজের। শেষদিকে ইয়াসির শাহ’র ২৮ ও মোহাম্মদ আব্বাসের ১০ রানের সুবাদে ২৮২ রান পর্যন্ত যেতে পারে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার লিঁও ৪টি ও লাবুসচাগনে ৩টি উইকেট নেন।


আরো সংবাদ



premium cement