২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাশরাফিকে নিয়ে যা বললেন রমিজ রাজা

মাশরাফিকে এশিয়া কাপের অধিনায়ক বলে মনে করেন রমিজ রাজা। - ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা পাকিস্তানের রমিজ রাজার নাম শুনলেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কেননা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কিংবা এর খেলোয়াড়দের পক্ষে কখনো কথা বলতে শোনা যায়নি পাকিস্তানের সাবেক এ ক্রিকেটারকে।

কিন্তু সেই রমিজ রাজার কাছেই এবারের এশিয়া কাপের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুক্রবার এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম লড়াই করেও শেষ বলে ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে আসরের বিদায়ী ধারাভাষ্যে রমিজ রাজা বাংলাদেশের অসাধারণ খেলার জন্য প্রশংসা করেন। পাশাপাশি মাশরাফি বিন মর্তুজাকে পুরো এশিয়া কাপের অধিনায়ক বলে উল্লেখ করেন।

এর আগে ম্যাচে ধারাভাষ্য করার সময়ে বাংলাদেশের ব্যাপারে মাঝে-মাঝেই নেতিবাচক আলোচনা করে টাইগার সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন।

ফাইনাল ম্যাচটিতে বাংলাদেশ এতো অল্প রান নিয়ে লড়াই করার মাধ্যমে নিজেদের বড় হয়ে ওঠার হুঙ্কার দিয়েছে বলে মনে করেন রমিজ। তিনি বলেন, ‘অনেক ঘোরাঘুরি হলো। কখনো দুবাই, কখনো আবুধাবি, কখনো প্রচন্ড গরমে, কখনো আবার সন্ধ্যায়; এশিয়া কাপের কোনো তুলনা হয় না। দুইটা সেরা দলই ফাইনাল খেলেছে।

রমিজ রাজা বলেন, ভারতকে হারানো কঠিন ছিলো এবং কঠিন কাজ সম্ভব হয়নি, কি অসাধারণ ম্যাচ ছিলো। বাংলাদেশ দল মাত্র ২২২ রান করেও ভারতীয় দলকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিল। একদম শেষ বল পর্যন্ত লড়াই হয়েছে। এভাবেই চ্যাম্পিয়ন দল খেলে, এভাবেই চ্যাম্পিয়ন হতে হয়। আর এভাবেই নতুন দল উঠে আসে, নিজেদের জাত চেনায়।’

এসময় মাশরাফিকে এশিয়া কাপের অধিনায়ক আখ্যা দিয়ে রমিজ বলেন, ‘এ খেলায় ব্যক্তিগত সাফল্যের বিকল্প নেই। অনেক খেলোয়াড়ই ব্যক্তিগত সাফল্যে উজ্জ্বল ছিলেন। যেমন শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, মোস্তাফিজুর রহমান বা আমার দৃষ্টিতে এশিয়া কাপের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আমি একারণে এটা বললাম যে, মাশরাফির কাছে সাকিব আল হাসান ছিলেন না, তামিম ইকবাল ছিলেন না।

মাশরাফির কাছে অর্ধেক শক্তির দল  ছিল উল্লেখ করে রমিজ রাজা বলেন, টুর্নামেন্টে তাদের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি ছিলো মাত্র ১৬ রানের। এরপরেও তিনি এই দলকে নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, এই দলকে সামনে টেনেছেন এবং ভারতের সাথে সমানে সমান লড়াই করে দেখিয়েছেন।’

 

আরো পড়ুন: লিটন দাসকে নিয়ে যা বলল আইসিসি
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৫৫


এশিয়া কাপের ফাইনালে আবারো ভারতের কাছে শেষ বলে হেরে যায় বাংলাদেশ। আরো একবার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে টাইগাদের। এই হারা ম্যাচেও বীরত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে হয়েছে ৫০ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত।

২০১৮ সালের এশিয়া কাপের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা। ফাইনালের আগে চলতি এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সেরা জুটি ১৬ রান! ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচের পর থেকেই ছিটকে পড়েন বাংলাদেশের হার্ড-হিটার ওপেনার তামিম ইকবাল। সেই তামিমের অভাবটা যেন পূরণ করতে পারছিলেন না কেউ।

ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি চমকের কথা বলেছিলেন। আর শুরুতেই মাশরাফি চমক উপহার দেন। লিটন দাসের সঙ্গী করে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। ব্যক্তিগত ৩২ রান করেই সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। কিন্তু বাংলাদেশের এক পাশ আগলে রাখার দায়িত্ব নেন লিটন কুমার দাস। মিরাজকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই ১২০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাও এদিন তুলে নেন লিটন।

ব্যক্তিগত ১২১ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে ধোনির হাতে বিতর্কিত স্টাম্পিংয়ের শিকার হন লিটন দাস। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আম্পায়ারের এই আউটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাংলাদেশের সমর্থকরা ক্ষোভ ঝাড়ছেন আইসিসির ওপর। তবে আইসিসি কোনো অভিমান করেনি তাতে। বরং ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হওয়া লিটন দাসকে অভিনন্দন জানিয়েছে আইসিসি।

ম্যাচ শেষের অল্প কিছুক্ষণ পরই নিজেদের অফিশিয়াল পেজে এক টুইট বার্তায় আইসিসি লেখে, ‘সে (লিটন) হতে পারে পরাজিত দলের খেলোয়াড়। কিন্তু তার করা ১২১ রান তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করেছে। লিটন দাসকে অভিনন্দন!’ এ সময় শতরানের পর লিটন দাসের উদযাপনের একটি ছবিও টুইটারে পোস্ট করে আইসিসি।

যদিও পরবর্তীতে আইসিসি এই টুইটটি কিছুটা পরির্তন করে লিখেছে, বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। তবে লিটন দাস হাসতেই পারেন। কারণ, ভারতের বিপক্ষে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের এটাই যে সর্বোচ্চ রান। এছাড়া লিটন দাসের ছবি দিয়ে ভারতের বিপক্ষে সেরা ব্যক্তিগত পাঁচ জনের স্কোর দেয়া হয়েছে।

এর আগে মুশফিকুর রহিম ভারতের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৭ রান করেছিলেন।

আরো পড়ুন: অনেক প্রশ্ন রেখে বিদায় নিলেন লিটন
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

‘বিতর্কিত’ রান আউটে বিদায় নিতে হলো লিটন দাসকে। আউট হওয়ার আগে লিটন দাস ১১৭ বল খেলে ১২১ রান করেন।

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ৪০তম ওভারের শেষ বলে কুলদীপ যাদবের বলের স্ট্যাম্পড হন লিটন। টিভিতে দেখা যায় ধোনি যখন বলটি স্ট্যাম্পে লাগান তখন লিটনের পা দাগে আছে। 

তারপরে অস্ট্রেলিয়ান টিভি আম্পায়ার রড টাকার লিটন দাসকে আউট হিসেবে ঘোষণা দেন।

এর আগে লিটন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পূর্ণ করেন মাত্র ৮৭ বল খেলে। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা তিনি তুলে নিয়েছেন রীতিমতো ঝড়ে গতিতে। ৩৩ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটির ঘর। চার-ছক্কার হাঁকিয়ে অর্ধশতক পূরণ করতে খুব বেগ পেতে হয়নি তাকে। হাফসেঞ্চুরি পেরোনোর পরও সমান তালেই খেলে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি থাকলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজে কোন ভাবেই মেলে ধরতে পারছিলেন না লিটন দাস। আজকের ফাইনালের আগে ১৭টি ওয়ানডে খেলে সেঞ্চুরি তো দূরের কথা হাফসেঞ্চুরির দেখাও পাননি তিনি। অবশেষে ভারতের বিপক্ষে আজকের ফাইনালে হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করলেন।

আরো পড়ুন: আসল ম্যাচে জ্বলে উঠলেন লিটন দাস

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দুবাইয়ের ফাইনালে এসে আসল ম্যাচেই জ্বলে উঠেছেন লিটন দাস। তামিমের অভাব অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছেন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আজকের ম্যাচের দায়িত্বটা যেন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। তার ব্যাটে দেখা মিলছে দারুণ সব শর্টের। বাহারি সব শর্ট খেলে বল মাঠ ছাড়া করছেন।

লিটন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পূর্ণ করেন মাত্র ৮৭ বল খেলে।

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা তিনি তুলে নিয়েছেন রীতিমতো ঝড়ে গতিতে। ৩৩ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটির ঘর। চার-ছক্কার হাঁকিয়ে অর্ধশতক পূরণ করতে খুব বেগ পেতে হয়নি তাকে। হাফসেঞ্চুরি পেরোনোর পরও সমান তালেই খেলে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন

ঘরোয়া ক্রিকেটে হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি থাকলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজে কোন ভাবেই মেলে ধরতে পারছিলেন না লিটন দাস। আজকের ফাইনালের আগে ১৭টি ওয়ানডে খেলে সেঞ্চুরি তো দূরের কথা হাফসেঞ্চুরির দেখাও পাননি তিনি। অবশেষে ভারতের বিপক্ষে আজকের ফাইনালে হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement