২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাকিব-তামিম ছাড়া ফাইনাল, কেমন করবে বাংলাদেশ

সাকিব-তামিম বাংলাদেশের অন্যতম ভরসার প্রতীক। - ছবি: সংগৃহীত

চলতি এশিয়া কাপটা তামিম ইকবালের কাছে বিভিন্ন কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এশিয়া কাপের শুরুতে ভিসা জটিলতায় দলের সাথে যেতে পারেননি। খেলা নিয়ে কোন সন্দেহ না থাকলেও প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হাতের কব্জিতে চোট পান। এরপর চোট নিয়েই এক হাতে ব্যাটিং করে ইতিহাসে নিজের নাম লেখান। বাকী ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে ওপেনার তামিমকে।

আর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই দল থেকে ছিটকে পড়েন। বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের মোকাবিলায়, এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার তখন দেশে ফিরছেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ সাফল্যের এ দুই নায়ককে ছাড়াও দারুণ এক জয় পেয়েছে দল। তাই অনেকেই বলছেন, সাকিব-তামিমকে ছাড়াও জিততে পারে বাংলাদেশ।

এদিকে ফাইনালের আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফির কন্ঠে ছিল দৃঢ়তা। ফাইনালে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান নেই। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সেরা দুজনকে ছাড়া এ পর্যন্ত আসা আমি মনে করি বড় অর্জন। ছেলেরা গর্ববোধ করতে পারে। তবে আমি এখনো মনে করি এখনো একটা ম্যাচ আছে তারা তাদের বেস্টটা দিতে পারলে একটা ভালো ম্যাচ হবে।’

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, জিতেছে ৩৭ রানে। আর এই জয়ে তৃতীয়বারের মতো আসরের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। মুশফিক, মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজরা আবারো আশার আলো দেখাচ্ছেন।

ওপেনিং এর ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা নিজেরাও সারপ্রাইজড হয়েছি, আপনাদেরও সারপ্রাইজ করেছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খেলোয়াড়.. যাই হোক পরিস্থিতির শিকার হয়ে এটা হয়েছে। কালকেও এমন কাউকে দেখতে পারেন যে কখনো ওপেনিং করেইনি। এমনো হতে পারে। সবকিছুর জন্য আমরা প্রস্তুত আছি, আপনাদেরও প্রস্তুত থাকতে বললাম আর কি।’ 

সাকিব-তামিমের অনুপস্থিতিতে মুশফিকুর রহিম অসাধারণ ব্যাট করেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন ৯৯ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস। আর বল হাতে কাটার-মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন দুর্দান্ত। নিয়েছেন চার উইকেট। দলের ফিল্ডিংও ছিল চমৎকার। সবার অসাধারণ পারফরম্যান্সে এই দারুণ জয় ঘরে তুলেছে লাল-সবুজের দল।

তবে ওপেনিং জুটি নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। তামিমের অভাবটা ভালোভাবেই টের পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। আর এজন্যই সৌম্য ও ইমরুল কায়েসকে এশিয়া কাপের মাঝপথে আরব আমিরাতে উড়িয়ে নেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: ‘সুপারম্যান’ মাশরাফি!
নয়া দিগন্ত অনলাইন,২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২৯


সুপারম্যানের মতো অবিশ্বাস্য ক্যাচে রুবেলের বলে শোয়েব মালিককে ফেরান মাশরাফি। (বামে) ক্যাচের পর সতীর্থরা জড়িয়ে ধরছেন মাশরাফিকে। - ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত।
চলিত এশিয়া কাপে শোয়েব মালিক দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন আফগানিস্তান, এমনকি ভারতের বিপক্ষেও। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকেও চোখ রাঙাতে শুরু করলেন পাকিস্তানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। এদিন শোয়েব মালিকের ক্যাচ নিলেন পাখির মতো উড়ে। ম্যাচ শেষে সেই ক্যাচ প্রসঙ্গে কথাও বলতে হলো বাংলাদেশ অধিনায়ককে।

প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ২৩৯ রানে ৭ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের দেওয়া ২৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। এরপর ইমাম-উল-হক ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে ভর করে সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে শুরু করে তারা। কারণটা সবারই জানা। চলতি এশিয়া কাপে শোয়েব মালিক যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে একটা আশঙ্কা ভর করতেই পারে। কারণ তার ব্যাট যেদিন হাসে সেদিন প্রতিপক্ষের বোলারদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না। তাই শোয়েব মালিকের উইকেটটা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শোয়েব বিপদজনক হয়ে উঠার আগেই পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন রুবেল। 


প্রতিপক্ষের অন্যতম ভরসা শোয়েব মালিককে সাজ ঘরে ফেরান রুবেল। ইনিংসের ২১ তম ওভারে মাশরাফির হাতে তালুবন্দি হন শোয়েব। তিনি ৫১ বলে ৩০ রান করেন। আউট হবার আগে ইমাম-উল-হকের সঙ্গে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। এই শোয়েব মালিক চলতি এশিয়া কাপের আসরে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। তাই তাকে সময়ে ফেরাতে না পারলে হয়তো এই ম্যাচের গল্পটা অন্যভাবে লিখতে হতো।

রুবেল হোসেনের করা ২১তম ওভারের প্রথম বলে মালিক মিডউইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ০০.৮৪ সেকেন্ডে এক হাতে বলটা ছোঁ মেরে ক্যাচটা নিয়ে নেন মাশরাফি। বলটা তালু বন্দী করতে ২.৩৫ মিটার বা প্রায় ৮ ফুট ডাইভ দিয়েছেন ম্যাশ। ডাইভ দিতে গিয়ে আঙুলে ব্যথা পেয়েছেন তিনি। ব্যথা পেয়ে মাঠের বাইরেও তাকে থাকতে হয়েছে ১৫ মিনিট। আহা, কী ক্যাচ ধরেছেন মাশরাফি—অবাক চোখে তাকিয়ে শোয়েব মালিক। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান, অভিজ্ঞতায়ও সবচেয়ে বড় ভরসার নাম মালিক। মুহুর্তেই হতভম্ব পুরো পাকিস্তান টিম।

মাশরাফির সেই ক্যাচের পর মাঠে অন্যান্য খেলোয়াড়দের শরীরীভাষাও বদলে গিয়েছিল। ম্যাচ শেষে সেই ক্যাচ নিয়ে মাশরাফি পুরো দলকেই কতিত্ব দিলেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা ক্যাচটি নিয়ে প্রশ্ন করলেন টাইগার অধিনায়ককে। হাঁটুতে এতো এতো কাটা দাগ, ওভাবে ঝাঁপালেন কিভাবে? মাশরাফি বললেন ‘আমাদের আজকের ফিল্ডিং নিয়ে গর্ব করা যায়। অনেক দিন আমরা এমন ফিল্ডিং করে দেখাতে পারিনি। আশা করি আজকের পর দলের খেলোয়াড়েরা বুঝবে ভালো ফিল্ডিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শোয়েব মালিকের ক্যাচটা যে শেষ পর্যন্ত ছাড়িনি, এতে আমি ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ শোয়েব খুব ভালো ফর্মে আছে। যদি তখন সে আউট না হতো আমার মনে হয় ম্যাচ শেষ করে আসতো। শুধু আমি নই, সব মিলিয়ে আমাদের ফিল্ডিংটা ভালো হয়েছে।’

মাশরাফির সেই ক্যাচটা টিভিতে দেখা দর্শকরাও অনেকদিন মনে রাখবেন। কারণ শোয়েব যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ সবারই প্রার্থনা ছিলো শোয়েব কখন সাজ ঘরে ফিরবেন। দিন শেষে ৩৭ রানের জয়ের ভিড়ে হয়তো অনেকে ভুলে যাবেন কিন্তু মাশরাফির সেই ক্যাচটাই ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টিয়ে দেয়।


আরো সংবাদ



premium cement
‘১ টাকার কাজ ১০০ টাকায়, ৯৯ যায় মুজিব কোটে’ রাত পোহাতেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের সাটুরিয়ায় প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায় ইরান নিয়ে মার্কিন হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে গাজায় গণকবরের বিষয়ে ইসরাইলের কাছে ‘জবাব’ চেয়েছে হোয়াইট হাউস দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা হলে হামাস অস্ত্র ছাড়তে রাজি শনিবার থেকে শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তত জবি ক্যাম্পাসগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন বাইডেন: মুখপাত্র নোয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ

সকল