২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাকিস্তান দলের যে দুর্বল দিকগুলো ধরে ফেলেছে বাংলাদেশ

পাকিস্তান দলের যে দুর্বল দিকগুলো ধরে ফেলেছে বাংলাদেশ। ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার সুপার ফোরের খেলা পরিণত হয়েছে সেমিফাইনাল ম্যাচে। যে দল জিতবে তারাই ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারতের। আপাতদৃষ্টিতে পাকিস্তান শক্তিশালী মনে হলেও বেশ কিছু কারণে মূলত বাংলাদেশই এগিয়ে আছে।

পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসহীনতা: বাংলাদেশ দল সবেচেয় বেশি এগিয়ে আছে পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসহীনতার দিক থেকে। পরপর ভারতের কাছে হেরে তাদের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে সেটা পাকিস্তানের কোচও স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে শেষ মুহুর্তে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটাই।

পেসারদের ব্যর্থতা: পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পেসার মোহাম্মদ আমির একেবারেই ফর্মে নেই। গত ছয় ওয়ানডে ধরে উইকেট শূন্য আমিরকে নিয়ে ভাবনায় আছে খোদ পাকিস্তান দল। এছাড়া হাসান আলিও ভালো ফর্মে নেই। এশিয়া কাপের সব ম্যাচ খেলে ৩ উইকেট নিয়েছেন গড়ে ৫১.৬৬ রান দিয়ে। এছাড়া অন্য পেসারদের অবস্থাও ভালো নয়।

ফিল্ডিং দুর্বলতা : পাকিস্তান ফিল্ডিংয়ে খুব বাজে করেছে এশিয়া কাপের ম্যাচগুলোতে। গত দুই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ টি ও ভারতের বিপক্ষে ৩টি ক্যাচ মিস করেছে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা।

ব্যাটিং ব্যর্থতা : বোলিং ও ফিল্ডিং ব্যর্থতার পাশাপাশি পাকিস্তান তাদের ব্যাটসম্যানদের নিয়েও শঙ্কায় আছে। কারণ ওপেনার দুই ব্যাটসম্যান ইমাম-উল-হক ও ফখরে জামান এশিয়া কাপে নিজেদের প্রমাণ করতে সক্ষম হচ্ছেন না। এছাড়া বাবর আজমসহ টপ অর্ডরের ব্যাটসম্যানদের কেউ নিজেদের সেরাটা দেখাতে সক্ষম হয়নি।

সাম্প্রতিক সাফল্য নেই পাকিস্তানের : পাকিস্তানের এশিয়া কাপ তেমন ভালো যাচ্ছে না। হংকংয়ের সাথে জয় ছাড়া পাকিস্তান এই এশিয়া কাপে খানিকটা নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের সাথে দুটো ম্যাচেই একদম বড় ব্যবধানে হেরেছে। ভারতের কাছে পাকিস্তান একটি ম্যাচে আট উইকেটে ও একটি ম্যাচে নয় উইকেটে হেরেছে। দুই ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র তিন উইকেট নিয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা। এমন ব্যবধানে হার যেকোনো দলের মানসিক শক্তিতে আঘাত হানে।

 

আরো দেখুন : পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ : 'সাকিব নিচ্ছেন ইঞ্জেকশন, মাশরাফি ওষুধ'

প্রতিপক্ষ শিবিরে মোহাম্মদ আমির, হাসান আলিরা থাকলেও বাংলাদেশের চিন্তা কিন্তু অন্য দুই বোলারকে নিয়ে। যে দুজনের নাম— মাশরফি মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসান!

এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে কে খেলবে, সেটা ঠিক হওয়ার অঙ্ক খুব সহজ। আজ, বুধবার, পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশের লড়াইয়ে যে জিতবে, শুক্রবার ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র তাদের। কিন্তু পাকিস্তানকে নিয়ে ভাবতে বসার আগে বাংলাদেশের চিন্তা তাদের নিজের দুই ক্রিকেটারকে নিয়েই। মর্তুজা, সাকিব। দু’জনেই চোট-আঘাতের সমস্যায় ভুগছেন। তবে যা জানা যাচ্ছে, দু’জনেই খেলবেন। আরো জানা গেল, প্রথম জন মাঠে নামবেন ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে। দ্বিতীয় জন, অর্থাৎ সাকিব একেবারে ইঞ্জেকশন নিয়ে।


সাকিবের সমস্যাটা অবশ্য একটু পুরনো। কিছু দিন আগে শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজে ফিল্ডিং করার সময় বাঁ হাতের কড়ে আঙুলে চোট পান বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। আঙুলের হাড়ও সরে গিয়েছিল। ব্যান্ডেজ করে খেলে চলেছেন। অস্ত্রোপচার না করলে ঠিক হবে না। এই অবস্থায় ইঞ্জেকশন নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে সাকিবকে। বলও করতে হচ্ছে এই বাঁ হাতি স্পিনারকে। ব্যাটও করছেন অতি সতর্কভাবে। যাতে চোটের জায়গায় আরো লেগে না যায়। এই অবস্থাতেই খেলতে নামবেন সাকিব।

মাশরাফি এখন আর আগের মতো ফিট নন। দীর্ঘদিন ধরে পেস বোলিং করার ফলে ছোটখাটো সমস্যা তার লেগেই আছে। এখানে এশিয়া কাপে, এই প্রচণ্ড গরমে টানা খেলে যাওয়ার ছাপ পড়ছে তার শরীরে। চোটের একটা ছবি বাংলাদেশ সাংবাদিকদের দেখিওয়েছেন মাশরাফি। যাতে দেখা যাচ্ছে, ঊরুতে কালশিটে পড়ে গিয়েছে তার। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। তবে এই যন্ত্রণা নিয়েই খেলার জন্য তৈরি হচ্ছেন মাশরাফি। অবশ্যই আধুনিক ওষুধের সাহায্যে।

টানা খেলার ধকল কতটা পড়েছে দলের ওপর? জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের কোচের কাছ থেকে। মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনৈ এসে স্টিভ রোডস বলে গেলেন, ‘‘এই সূচিতে তো সবাইকে খেলতে হচ্ছে। তা হলে আর ওই নিয়ে ভেবে কী হবে। আমরা একটা দিন বিশ্রাম পেয়েছি। সেটাতেই আশা করি সবাই ঠিক হয়ে যাবে।’’ মঙ্গলবার ঐচ্ছিক প্র্যাক্টিস ছিল। যেখানে মাশরাফি বা সাকিব আসেননি।

আগের আফগানিস্তান ম্যাচেই মাশরাফিকে পুরো দশ ওভার বল করতে হয়েছে। কারণ মোস্তাফিজুর রহমান দশ ওভার বল করার ধকল নিতে চাননি। যেটা করতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা নিজের চোট বাড়িয়ে ফেলেছেন। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিমও পাঁজরের চোটের সমস্যায় ভুগছেন। যদিও সেটা এমন কিছু গুরুতর নয় বলেই জানা যাচ্ছে। তিনি এ দিন প্র্যাক্টিসও করেন।

ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে মাঠে ফিরছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ অন্য দিকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই জিতে আসছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের ফেভারিট বলতে চান না স্টিভ। বাংলাদেশ কোচ বলছেন, ‘‘অবশ্যই আমাদের মনোবল খুব ভালো জায়গায়। কিন্তু তাও বলব, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা আন্ডারডগ। ওরাই ফেভারিট।’’

তবে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশের কোচের মন্তব্য, ‘‘আবু ধাবির পিচ কিন্তু একটু মন্থর। ওখানে পাকিস্তানের জোরে বোলারদের বল খেলতে সুবিধে হতে পারে। মন্থর উইকেটে আমিরদের বল হয়তো ভালো মতো ব্যাটে আসবে।’’


আরো সংবাদ



premium cement
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা?

সকল