হেরে যা বললেন আফগান অধিনায়ক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩৭
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পরপর দুটি ম্যাচেই তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরেছে ৩ রানে। আর পাকিস্তানের কাছেও হেরেছে ম্যাচের শেষ বলে। বাংলাদেশের বিপক্ষে মোস্তাফিজের শেষ ওভারে আফগানদের দরকার ছিল ৮ রান কিন্তু আফগানরা সে রান করতে পারেনি।
এর আগের ম্যাচে শোয়েব মালিক নৈপুণ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষেও শেষ ওভারে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানিস্তান। আর তাই পর পর দুই ম্যাচে শেষ মুহূর্তের হারে আক্ষেপ বেড়েছে আফগান শিবিরে।
তবে ম্যাচে শেষে বাংলাদেশ ও মুস্তাফিজকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আফগান অধিনায়ক আসগর আফগান। আসগর বলেন, 'বাংলাদেশকে অভিনন্দন। এটি বেদনাদায়ক। ৬ বলে ৮ রান খুব কঠিন ছিল না। রাশিদ, নাবী ও শেনওয়ারি এই রান তুলতে সক্ষম ছিল। তবে আমি মুস্তাফিজকে কৃতিত্ব দিব। সে বোলিংয়ে অনেক ভ্যারিয়েশন দেখিয়েছে। সবকিছুই আমাদের পরিকল্পনা মতো এগুচ্ছিল কিন্তু আবারও শেষ ওভারে হারতে হল। আবারও ব্যাটসম্যানরা শেষ দিকে বড় শট খেলতেছিল। কিন্তু সেটি ঠিকমতো কাজ করেনি। এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি, বিশেষ করে আমরা বাংলাদেশে সেরা একাদশের বিপক্ষেই খেলেছি।'
ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা একটা বড় ব্যাপার। শেষদিকে ম্যাচের চাপ সামলানো কিছুটা কঠিন। আফগানরা শেষ দুই ম্যাচে এই অভিজ্ঞতার কাছেই ধরাশায়ী হয়েছে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের 'আফগানিস্তান ভীতি' কেটেছে?
বিবিসি বাংলা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচ হলেই বাড়তি মানসিক চাপ ভর করে বাংলাদেশ দলের উপর।
ক্রিকেট দুনিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক নবীন আফগানিস্তান।
এখন পর্যন্ত দুই দল মোট সাতটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে চারটিতে বাংলাদেশ এবং তিনটিতে আফগানিস্তান জয়লাভ করেছে।
সর্বশেষ এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের খেলায় আফগানিস্তানের কাছে প্রায় হারতে-হারতে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জিতে যায় বাংলাদেশ।
রবিবার রাতে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশের ২৪৯ রানের জবাবে আফগানিস্তান যখন ব্যাট করতে নামে তখন অনেকেই ভাবতে পারেননি যে সব হিসেব-নিকেশ শেষ ওভারে জমা হবে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল আট রান। হাতে ছিল চার উইকেট।
বর্তমান ক্রিকেটে ছয় বলে আট রান করা অসাধ্য কিছু নয়।
কিন্তু বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিং আফগানদের স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি।
অতীতের ম্যাচগুলোতে আফগানিস্তানের সাথে পরাজয় পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দর্শকের বিরূপ সমালোচনার মুখে পরে।
কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আফগানিস্তানের এতো দ্রুত উন্নতি করার বিষয়টি হয়তো অনুধাবন করতে পারেননি বাংলাদেশ দল।
আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২০০৯ সালে। আর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৯৮৬ সালে।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এবং সংঘাতে জর্জরিত আফগানিস্তানের খেলা দেখে বাংলাদেশের অনেক দর্শক আগেও অবাক হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ দল বাড়তি মানসিক চাপ নিয়ে খেলেছে বলে মনে করেন অনেকে।
কারণ আফগানিস্তানের সাথে পরাজয় মেনে নিতে পারেন না বাংলাদেশের সমর্থকরা।
ফলে সেটি ক্রিকেট দলের উপরও বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়লাভ করায় উল্লাস প্রকাশ করতে হবে, এমন বিষয় কয়েক বছর আগেও ভাবেননি বাংলাদেশের সমর্থকরা।
কিন্তু আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স প্রমাণ করেছে যে তাদের বিরুদ্ধে খেলার ফলাফল আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়।
এশিয়া কাপে সুপার ফোর-এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৩৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সে তুলনায় গতরাতের ম্যাচে জয় পেতে বাংলাদেশকে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে।
তারপরেও সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের মধ্য দিয়ে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আফগানিস্তান।
আগামী ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচের আগে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্লেষক অজিত আগারকার ইএসপিএস ক্রিকইনফো'র অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন।
তবে একই অনুষ্ঠানে ক্রিকেট ভাষ্যকার সঞ্জয় মানজ্রেকার বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছিলেন।
বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও বলেছিলেন, বাংলাদেশই এগিয়ে আছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা