রশিদ খান ও আফগানিস্তানের সাফল্যের নেপথ্যে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৩০
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে দু দলের সমান তিনটি করে জয়।
আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২০০৯ সালে। আর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৯৮৬ সালে।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের খেলা চলছে। আফগানিস্তান প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে শেষ ওভারে হারে। তবে এর আগে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নেয় আফগানিস্তান।
কীভাবে এশিয়া কাপ জয়ের সম্ভাব্য একটি দল হয়ে উঠলো?
রশিদ খান ও স্পিনাররা
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল একজন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মতে আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ অনেক বড় একটা হাতিয়ার।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান নতুন একটা দেশ হলেও বেশ কজন প্রতিভাবান বোলার আছে যারা প্রভাব রাখছে দলের পারফরম্যান্সে।
রশিদ খান ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে আছেন।
এছাড়া মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবী ভালো বোলিং করছেন।
তিনজন স্পিনারের কেউই ৩.৫০ এর বেশি রান দিচ্ছেন না ওভার প্রতি।
বিপর্যয় সামলে ওঠার ক্ষমতা
শুরুটা ধীরে হলেও আফগান ব্যাটসম্যানরা বিপর্যয় সামলে উঠছে নিয়মিত।
আফগানিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী তেমন ভালো না করলেও, হাসমতউল্লাহ শহীদি ৩ ম্যাচে ১৯২ রান করেছেন।
রহমত শাহ ৩ ম্যাচে ১১৮ রান করেছেন।
স্লগ ওভারের দ্রুত রান তোলা
মোহাম্মদ শাহজাদ ও ইহসানুল্লাহের শুরুটা স্লথ গতির হলেও মাঝপথে ইনিংস সামলে শেষদিকে আফগানিস্তানের ব্যাটম্যানরা রান তুলছে দ্রুত।
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচে ২৫০ বা তার কাছাকাছি রান তুলেছে একমাত্র আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ১০ ওভারে ৯৭ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ১০ ওভারে ৮৭ রান তুলেছে আফগান ব্যাটসম্যানরা।
বিভিন্ন দেশে লিগ খেলার অভিজ্ঞতা
রশিদ খান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন। সেই দলের কোচ ছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার মতে, বিভিন্ন দেশের লিগগুলোতে খেলা আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করে থাকেন। যা তাদের ক্রিকেটীয় চিন্তা-ভাবনাকে আরো ক্ষুরধার করে তোলে।’
‘এতোগুলো প্লেয়ার এতো বড় বড় লিগে খেলার কারণে দলের মানসিকতায় পরিবর্তন আসে।’ সূত্র : বিবিসি
আরো পড়ুন :
রশিদ খান সম্পর্কে অবাক করা মন্তব্য টেন্ডুলকারের
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৬ মে ২০১৮
ইডেনে আইপিএল-এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ফাইনালে তোলার পর কিংবদন্তী শচিন টেন্ডুলকারের কাছ থেকে সবচেয়ে বড় প্রশংসাপত্র পেয়ে গেলেন আফগানিস্তানের তরুণ লেগস্পিনার রশিদ খান। শচিন টেন্ডুলকারের মতে, রশিদই এখন টি-২০তে বিশ্বের সেরা স্পিনার। শুধু বোলিংই নয়, রশিদের ব্যাটিংয়েরও প্রশংসা করেছেন শচিন।
ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আইপিএল-এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রশিদের ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দেখে উচ্ছ্বসিত শচিন। তিনি ট্যুইট করেছেন, ‘আমার সবসময়ই মনে হতো রশিদ খান ভালো স্পিনার। কিন্তু এখন আমার বলতে দ্বিধা নেই, এই ফর্ম্যাটে ও বিশ্বের সেরা স্পিনার। মনে রাখতে হবে, ও ভালো ব্যাটিংও করতে পারে। ও দারুণ খেলোয়াড়।’
উইজডেনেও স্বীকৃতি পেলেন রশিদ খান
বাসস, ১১ এপ্রিল ২০১৮
ক্রিকেটের ‘বাইবেল’ খ্যাত উইজডেনের ২০১৮ সংখ্যায় বর্ষ সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের ম্যধ্যে তিনজনই নারী। এ তিন নারী ক্রিকেটার হলেন ইংল্যান্ড দলের হিথার নাইট, নাটালি সিভার এবং এ্যানিয়া শ্রুবসোল। এদিকে টি-২০ ভার্সনে প্রথমবার দেয়া এ পুরস্কার পান সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান।
ইতোপূর্বে ১৮৯৯ সালে কেবলমাত্র ইংল্যান্ডের দুই নারী ক্রিকেটার ক্লায়া টেইলর ও চার্লোত্তি এডওয়ার্ডস এ বিরল সম্মান অর্জন করেছিলেন।
২০১৭ বিশ্বকাপ ফাইনালে লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে জয়ী হয়ে ইংল্যান্ড দলের শিরোপা লাভে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ্যালামনাকের স্বীকৃতি পান নাইট, সিভার এবং শ্রুবসোল।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৪৬ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন। যার মধ্যে ১১ রানেই ৫ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন তিনি। আগের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করার স্বীকৃতি হিসেবে উইজডেনের ১৫৫তম সংখ্যার প্রচ্ছদে জায়গা পান শ্রুবসোল।
সম্মানজনক এ পুরস্কার জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান শাই হোপ ও কাউন্টি দল এসেক্স বোলার জ্যামি পোর্টারও।
পুরুষ ও মহিলা বিভাগে বর্ষ সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন যথাক্রমে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও মিথালি রাজ।
ক্রিকেটের তিন ফর্মেটেই অসাধারণ পারফরমেন্স করার স্বীকৃতি হিসেবে দ্বিতীয়বার এ পুরস্কার লাভ করেন কোহলি। পক্ষান্তরে দলকে বিশ্বকাপে পৌঁছার পথে মহিলা বিভাগে ওয়ানডে ক্রিকেটে এক বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পান মিথালি।
টি-২০ ভার্সনে প্রথমবার দেয়া এ পুরস্কার পান সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান।
ইংল্যান্ডের মহিলা বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে নাইট, সিভার এবং শ্রুবসোল তিন জনই গুরুত্বপূর্ণ পালন করেছেন। অধিনায়ক নাইট ৪৫.৫ গড়ে মোট রান করেছেন ৩৬৪।
অলরাউন্ডার সিভার ৪৬.১২ গড়ে মোট রান করেছেন ৩৬৯।
হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ী দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করায় বেছে নেয়া হয়েছে ক্যারিবিয় হোপকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা