আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:০২
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। গুরুত্বহীন এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে আফগানদের করা ২৫৫ রান তাড়া করতে নেমে আফগান বোলারদের সামনে দাড়াতেই পারেনি তামিম, মুশফিকবিহীন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। তারা অলআউট হয়েছে ১১৯ রানে। আফগানিস্তান জয় পেয়েছে ১৩৬ রানে।
দুবাইয়ের মাঠে ২৫৫ বড় স্কোরই বলা চলে, সেই রান তাড়া করতে নেমে তামিমবিহীন ওপেনিং জুটি ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি। আফগান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে একের পর এক ব্যাটসম্যান ফিরেছেন সাজঘরে। চতুর্থ ওভারেই ফিরে যান তামিমের বিকল্প হিসেবে খেলতে নামা অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্ত(৬)। স্পিনার মুজিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু বল ত্রিশ গজের সীমানাও পার হয়নি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার লিটন দাসের(৭) বিদায়। দলীয় রান তখন ১৭।
সাড়ে তিন বছর পর ওয়ানডে ম্যাচে সুযোগ পাওয়া মুমিনুল হকের কাঁধে দায়িত্ব পরে সাকিব আল হাসানের সাথে জুটি বেঁধে ইনিংস মেরামতের; কিন্তু তিনিও পারেননি। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যক্তিগত ৯ রান করে। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা মোহাম্মাদ মিঠুনও(২) ফিরে গেছেন পরের ওভারেই(৪৩/৪)। এরপরও বাংলাদেশের সামনে ছিলে ম্যাচে ফেরার সুযোগ; সেই সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি যতক্ষণ খেলছিলো, দর্শকদের মনে হয়তো বারবারই ফিরে আসছিলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই শতাধিক রানের জুটির কথা।
কিন্তু বিপদ টের পেয়েই হয়তো আফগান অধিনায়ক কাজে লাগালেন তার সেরা অস্ত্রটিকে। বল হাতে নিয়ে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারেই সফল লেগ স্পিনার রশিদ খান। লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ সাকিব আল হাসান। ৫৫ বলে ৩২ রানের আশা জাগানিয়া ইনিংসটি শেষ হতেই বাংলাদেশের লড়াইয়ের সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়। ৩০তওম ওভারে মাহমুদুল্লাহকেও ফেরান রশিদ(৯০/৬)। নিজের ২০তম জন্মদিনে কিছুক্ষণ আগে ব্যাট হাতে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াই করার মতো পুঁজি, আবার বল হাতে ফেরালেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুই ভরসাকে।
এরপর বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের লক্ষ্য ছিলো পরাজয়ের ব্যবধান কমানো। পরববর্তী চার উইকেটে এসেছে ২৯ রান। তার মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতই যা একটু ব্যাট চালিয়েছেন(২৬*)। সব মিলে বাংলাদেশের ৮ জন আউট হয়েছে এক অঙ্কের ঘরে। শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ৪২ ওভার এক বলে ১১৯ রান করে।
অবশ্য আফগান বোলারদের কৃতিত্ব না দিলে ভুল হবে। ব্যাটে বলে দুই ভুমিকায় তারাই ম্যাচের নায়ক। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখতে পেরেছেন দারুণভাবে। তবে তারও আগে বাংলাদেশের বোলারদের মোকাবেলায় ১৬০ রানে ৭ উইকেট হারানো আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ২৫৫ রান তুলেছে দুই বোলারের ব্যাটে ভর করে। অষ্টম উইকেটে রশিদ খান ও গুলবুদ্দিন নাইবের ৯৫ রানের জুটির আগে কেউ ভাবেনি দলটি দুই শ’ পার হতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের ওপর রীতিমতো তলোয়ার চালিয়ে ৩২ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন লেগ স্পিনার রশিদ খান, আর নাইব অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৪২ রানে। এই সময়টায় বাংলাদেশ দলও টের পেয়েছে বিশ্রামে রাখা মোস্তাফিজুর রহমানের অভাব।
ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরির পর বল হাতে ৯ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান, দলের জয়ের সাতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়ে জন্মদিনের সেরা উপহারটাই পেলেন এই আফগান তরুণ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা