২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন হতে পারে। - ছবি: এএফপি

এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলংকাকে ১৩৭ রানের বিশান ব্যবধানে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে টাইগাররা। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে গর্জন দেওয়ার পালা। অবশ্য উভয় দলের কাছেই আজকের খেলাটা শুধুই নিয়মরক্ষার ম্যাচ।

আজ আফগানিস্তানকে হারালেও বাংলাদেশ গ্রুপ ‘বি’র ২ নম্বর দল হয়ে সুপার ফোরে, জিতলেও তাই। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ।

শুক্রবার আবার ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ। প্রচন্ড গরমে খেলার পর ১৪০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে দুবাই আসতে হবে পুরো দলকে। তাই আজ কয়েকজনকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের।

আজকের ম্যাচে পুরো শক্তি নিয়ে যে বাংলাদেশ নামছে না, সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। শুধু আজকের ম্যাচ কেন পুরো সিরিজেই বাংলাদেশ দলকে খেলতে হবে খর্বশক্তি নিয়ে।

ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহীমের পাজরেও চোট রয়েছে। গত কয়েক দিনে তাকে প্রায় অর্ধশতক ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেতে হয়েছে। তাই পুরো সিরিজে ফিট মুশফিককে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

ছয় মাস নিষেধাজ্ঞা থাকায় দলে নেই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। নিয়মিত ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারও ফর্মে না থাকায় এশিয়া কাপে নেই। তাই ব্যাটিং লাইন আপটা অনেকটা নড়বেড়ই বলতে হবে।

তবুও প্রথম ম্যাচে দূর্দান্ত খেলে শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় পেয়েছে মাশরাফিরা। আজকের ম্যাচেও আফগানিস্তানকে ছেড়ে কথা বলবে না বাংলাদেশ।

আজকের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের নায়ক মুশফিক খেলছেন না। তাকে বিশ্রামে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তার জায়গায় খেলতে পারেন মমিনুল হক। তাই যদি হয়ে তাহলে ২০১৫ সালের পর ওয়ানডে খেলবেন মমিনুল।

উদ্বোধনী জুটি নিয়ে দ্বিধায় টিম ম্যানেজমেন্ট। লিটন দাস ম্যাচ ওপেন করলে তার সঙ্গী হিসেবে দু’জনকে ভাবা হচ্ছে। তারা হলেন-নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন। মিঠুন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে নির্বাচকরা চাইছে গত ম্যাচে মিডলঅর্ডারে খেলে সফল হওয়া মিঠুনকে একই পজিশনে খেলাতে। আর সেটা হলে ওয়ানডে অভিষেক হয়ে যাবে শান্তর।

আজকের ম্যাচটা অনেকটা গুরুত্বহীন হওয়ায় এবং কালকে আরেকটি ম্যাচ থাকায় সাকিব আল হাসানকেও বিশ্রাম দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। আর সেটা হলে সাকিবের জায়গায় আসতে পারেন তরুণ আরিফুল হক।

এদিকে বেঞ্চের বোলিং শক্তি ঝালিয়ে নিতে বোলিংয়েও পরিবর্তন আসতে পারে। কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গা এই ম্যাচে দলে সুযোগ পেতে পারেন আবু হায়দার রনি।

এ ছাড়া মোসাদ্দেকের জায়গায় খেলানো হতে পারে নাজমুল ইসলাম অপুকে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

১. নাজমুল হোসেন শান্ত

২. লিটন কুমার দাস

৩. সাকিব আল হাসান/ আরিফুল হক

৪. মোহাম্মদ মিঠুন

৫. মুমিনুল হক

৬. মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

৭. মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত/ নাজমুল ইসলাম অপু

৮. মেহেদি হাসান মিরাজ

৯. মাশরাফি বিন মর্তুজা

১০. রুবেল হোসেন

১১. মোস্তাফিজ/ আবু হায়দার রনি

 

আরো পড়ুন: ভারতের সাথে ম্যাচ নিয়ে চিন্তিত মাশরাফি

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বৃহস্পতিবার আবুধাবিতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একই গ্রুপ থেকে আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে মাঠে নামলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চিন্তিত অন্য কারণে। ঠিক তার পরের দিন শুক্রবারেই যে ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশ দলকে!

শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবহাওয়ার সাথে কতটা মানিয়ে নিতে পারবে বাংলাদেশ দল। অত্যধিক গরমের পাশাপাশি যোগ হয়েছে আবুধাবি থেকে দুবাইয়ের দূরত্ব। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলার পরের দিনই আরেক শক্তিশালী দল ভারতের বিপক্ষে নামতে হবে বাংলাদেশকে। এ ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ‘পরপর দুদিন বোলিং করা কষ্টকর। তবে বোলিং তো করতেই হবে। কিন্তু আমি চিন্তিত পরপর দুদিন দুটি ম্যাচ নিয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে গুরুত্ব কম, ব্যাপারটি এমন নয়। তবে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ একটু কঠিন হবে।’


পরপর দুই ম্যাচ শুধু বাংলাদেশকে নয়, খেলতে হবে আফগানিস্তানকেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ আবু যায়েদ স্টেডিয়ামেই আফগানিস্তানের সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তাই আবুধাবি থেকে দুবাইয়ে যেতে হচ্ছে না তাদের। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী ২১ তারিখ শুক্রবারেই মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত এবং পাকিস্তান-আফগানিস্তান। ২৩ সেপ্টেম্বর রোববার বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের। একই দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। ২৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আফজ্ঞানিস্তান মুখোমুখি হবে ভারতের। বাংলাদেশ তাঁদের সুপার ফোরের সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার।

বিশ্রাম ছাড়াই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে পেশাদারত্বের জায়গা থেকে সেটিকেও মেনে নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। এখন দেখার বিষয় নিজেদের কতটা উজাড় করে দিতে পারে বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন : সুপার ফোরের শিডিউল দেখে ক্ষেপে গেলেন মাশরাফি

ক্রিকবাজ, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৫৯

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ সূচি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)-এর সমালোচনা করেছেন। এই সূচির ফলে বাংলাদেশ দলকে কোন বিশ্রাম ছাড়াই আবুধাবি থেকে দুবাই গিয়ে পর পর দুই ম্যাচ খেলতে হবে।

সুপার ফোরে যাওয়া দলগুলোকে নিয়ে এসিসি তাদের ম্যাচ সূচি নির্ধারণ করেছে। দুই গ্রুপের খেলা থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার থেকে সুপার ফোর শুরু হবে। তাছাড়া গ্রুপ ‘এ’ এবং গ্রুপ ‘বি’-এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দল দুটিও চূড়ান্ত হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ এ-এর চ্যাম্পিয়নের সাথে গ্রুপ বি-এর রানার্স-আপ এবং গ্রুপ বি-এর রানার্স-আপের এর সাথে গ্রুপ এ-এর চ্যাম্পিয়নের খেলা দুবাই ও আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

কিন্তু নতুন দেয়া ম্যাচ সূচি অনুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স-আপ হওয়া ছাড়াই বাংলাদেশকে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলে ঐ দিনই আবার দুবাই চলে যেতে হবে এবং তার পরের দিন শুক্রবার ভারতের সাথে পরবর্তী ম্যাচ খেলার জন্য। আবার রবিবার বাংলাদেশ দলকে আফগানিস্তানের সাথে খেলতে আবুধাবিতে যেতে হবে। 

মাশরাফি বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক।  এখানে মূল কথা হলো আমরা শেষ ম্যাচ খেলার আগেই বি গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়ে গেছি।  আমরা এখানে একটা পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলাম। যদি আমরা ভালো খেলে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারি তাহলে আমরা বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে এ গ্রুপের রানার্স-আপ দলের সাথে খেলব।  কিন্তু আজ সকালে জানতে পারলাম ইতোমধ্যেই আমাদেরকে বি গ্রুপের রানার্স-আপ দল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আফগানিস্তানের সাথে হারি বা জিতি তার কোন প্রভাব পড়বে না। এটা সত্যিই খুব হতাশাজনক একটি ব্যাপার।

মাশরাফি আরো বলেন, এটা একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেখানে আমরা আমাদের দেশ ও জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করে থাকি। সুতরাং এটা আমাদের দেখতে হবে। 

খেলার সূচি অনুযায়ী ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।  অন্যদিকে একই দিনে একই সময়ে দুবাইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর একদিনের বিরতি দিয়ে রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত আর আবুধাবিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। ২৫ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত আর ২৬ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

সূচিতে দেখা যাচ্ছে, আবুধাবিতে ভারতের কোনো ম্যাচ নেই। কিন্তু অন্য সব দলের আবুধাবিতে ম্যাচ রয়েছে। গ্রুপ পর্বের দুইটি ম্যাচও ভারত দুবাইতে খেলছে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে। সুতরাং, ভারত যদি ফাইনালে ওঠে তাহলেও তাদের দুবাইয়ের বাইরে যেতে হচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement