২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাশরাফি-শোয়েব আখতার যেখানে সমান

মাশরাফি ওয়ানডেতে ২৪৭ উইকেট নিয়ে শোয়েব আখতারকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। - ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেট পেয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সে ম্যাচে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এর মাধ্যমে পাকিস্তানি তারকা পেসার শোয়েব আখতারকে ছুঁয়ে ফেলেছেন মাশরাফি। এবার আরেকটি মাইলফলকের সামনে নড়াইল এক্সপ্রেস।

ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির উিইকেট ২৪৭টি। আর মাত্র ৩টি উইকেট পেলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি। সেই সঙ্গে ছাড়িয়ে যাবেন কিংবদন্তি দুই পেসার ভারতের কপিল দেব ও শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাসকে।

আর মাত্র ১টি উইকেট শিকার করলেই পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতারকেও ছাড়িয়ে যাবেন তিনি। ইতিমধ্যে শোয়েব আখতারকে ছুঁয়ে ফেলেছেন মাশরাফি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দু’জনেরই এখন উইকেট ২৪৭টি করে। অবশ্য শোয়েব আখতার ১৬৩ টি ম্যাচে এই উইকেট শিকার করেন।

এখন পর্যন্ত ১৯১টি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। শরীরে সাতটি অস্ত্রপাচার করেও উইকেট শিকারের দিক থেকে দলকে এখনোও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি। ১৯১ ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ২৪৭ উইকেট। আর মাত্র ৩টি উইকেট পেলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আড়াইশ’ উইকেটের ঘরে ঢুকে যাবেন। পাশাপাশি ওয়ানডেতে দ্রুততম ২৫০ উইকেট পাওয়া বোলারের তালিকায় পেছনে ফেলবেন ভারতীয় কিংবদন্তি কপিল দেব ও লংকান পেসমেশিন চামিন্দা ভাসকে।

কপিল ২১৮ ম্যাচে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। আর ভাস সেই তালিকায় ঢুকতে খেলেন ২০৪ ম্যাচ। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচেই ৩ উইকেট পেলে সবচেয়ে দ্রুত আড়াইশ’ উইকেট পাওয়ার তালিকায় ঢুকে যাবেন মাশরাফি। সেক্ষেত্রে ১৯২ ম্যাচেই এ কীর্তি গড়বেন তিনি। সেই সঙ্গে কপিল-ভাসকে পেছনে ফেলবেন মাশরাফি।

ওয়ানডে ক্রিকেটে মাখায়া এনটিনি (২৬৬), জেমস অ্যান্ডারসন (২৬৯), হরভজন সিং (২৬৯), অ্যালান ডোনাল্ড (২৭২), জ্যাক ক্যালিস ২৭২টি উইকেট লাভ করেন। এত বড় নামগুলোই হয়তো তাকে আরো দূর এগিয়ে অনুপ্রেরণা দেবে।

মাশরাফি কখনো নিজের ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে মাথা ঘামান না। দলের প্রয়োজনে নিজের সামর্থ্যের সবটুকু উজার করে দেন তিনি।

 

আরো পড়ুন: সুপার ফোরের শিডিউল দেখে ক্ষেপে গেলেন মাশরাফি

ক্রিকবাজ, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ সূচি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)-এর সমালোচনা করেছেন। এই সূচির ফলে বাংলাদেশ দলকে কোন বিশ্রাম ছাড়াই আবুধাবি থেকে দুবাই গিয়ে পর পর দুই ম্যাচ খেলতে হবে।

সুপার ফোরে যাওয়া দলগুলোকে নিয়ে এসিসি তাদের ম্যাচ সূচি নির্ধারণ করেছে। দুই গ্রুপের খেলা থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার থেকে সুপার ফোর শুরু হবে। তাছাড়া গ্রুপ ‘এ’ এবং গ্রুপ ‘বি’-এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দল দুটিও চূড়ান্ত হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ এ-এর চ্যাম্পিয়নের সাথে গ্রুপ বি-এর রানার্স-আপ এবং গ্রুপ বি-এর রানার্স-আপের এর সাথে গ্রুপ এ-এর চ্যাম্পিয়নের খেলা দুবাই ও আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।


কিন্তু নতুন দেয়া ম্যাচ সূচি অনুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স-আপ হওয়া ছাড়াই বাংলাদেশকে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলে ঐ দিনই আবার দুবাই চলে যেতে হবে এবং তার পরের দিন শুক্রবার ভারতের সাথে পরবর্তী ম্যাচ খেলার জন্য। আবার রবিবার বাংলাদেশ দলকে আফগানিস্তানের সাথে খেলতে আবুধাবিতে যেতে হবে। 

মাশরাফি বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক।  এখানে মূল কথা হলো আমরা শেষ ম্যাচ খেলার আগেই বি গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়ে গেছি।  আমরা এখানে একটা পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলাম। যদি আমরা ভালো খেলে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারি তাহলে আমরা বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে এ গ্রুপের রানার্স-আপ দলের সাথে খেলব।  কিন্তু আজ সকালে জানতে পারলাম ইতোমধ্যেই আমাদেরকে বি গ্রুপের রানার্স-আপ দল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আফগানিস্তানের সাথে হারি বা জিতি তার কোন প্রভাব পড়বে না। এটা সত্যিই খুব হতাশাজনক একটি ব্যাপার।

মাশরাফি আরো বলেন, এটা একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেখানে আমরা আমাদের দেশ ও জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করে থাকি। সুতরাং এটা আমাদের দেখতে হবে। 

খেলার সূচি অনুযায়ী ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।  অন্যদিকে একই দিনে একই সময়ে দুবাইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর একদিনের বিরতি দিয়ে রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত আর আবুধাবিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। ২৫ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত আর ২৬ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

সূচিতে দেখা যাচ্ছে, আবুধাবিতে ভারতের কোনো ম্যাচ নেই। কিন্তু অন্য সব দলের আবুধাবিতে ম্যাচ রয়েছে। গ্রুপ পর্বের দুইটি ম্যাচও ভারত দুবাইতে খেলছে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে। সুতরাং, ভারত যদি ফাইনালে ওঠে তাহলেও তাদের দুবাইয়ের বাইরে যেতে হচ্ছে না।

 

আরো পড়ুন: ভারতের সাথে ম্যাচ নিয়ে চিন্তিত মাশরাফি

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:২২


বৃহস্পতিবার আবুধাবিতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একই গ্রুপ থেকে আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে মাঠে নামলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চিন্তিত অন্য কারণে। ঠিক তার পরের দিন শুক্রবারেই যে ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশ দলকে!

শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবহাওয়ার সাথে কতটা মানিয়ে নিতে পারবে বাংলাদেশ দল। অত্যধিক গরমের পাশাপাশি যোগ হয়েছে আবুধাবি থেকে দুবাইয়ের দূরত্ব। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলার পরের দিনই আরেক শক্তিশালী দল ভারতের বিপক্ষে নামতে হবে বাংলাদেশকে। এ ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ‘পরপর দুদিন বোলিং করা কষ্টকর। তবে বোলিং তো করতেই হবে। কিন্তু আমি চিন্তিত পরপর দুদিন দুটি ম্যাচ নিয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে গুরুত্ব কম, ব্যাপারটি এমন নয়। তবে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ একটু কঠিন হবে।’


পরপর দুই ম্যাচ শুধু বাংলাদেশকে নয়, খেলতে হবে আফগানিস্তানকেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ আবু যায়েদ স্টেডিয়ামেই আফগানিস্তানের সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তাই আবুধাবি থেকে দুবাইয়ে যেতে হচ্ছে না তাদের। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী ২১ তারিখ শুক্রবারেই মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত এবং পাকিস্তান-আফগানিস্তান। ২৩ সেপ্টেম্বর রোববার বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের। একই দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। ২৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আফজ্ঞানিস্তান মুখোমুখি হবে ভারতের। বাংলাদেশ তাঁদের সুপার ফোরের সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার।

বিশ্রাম ছাড়াই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে পেশাদারত্বের জায়গা থেকে সেটিকেও মেনে নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। এখন দেখার বিষয় নিজেদের কতটা উজাড় করে দিতে পারে বাংলাদেশ।

 

আরো পড়ুন : সুপার ফোরের শিডিউল দেখে ক্ষেপে গেলেন মাশরাফি

ক্রিকবাজ , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ সূচি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)-এর সমালোচনা করেছেন। এই সূচির ফলে বাংলাদেশ দলকে কোন বিশ্রাম ছাড়াই আবুধাবি থেকে দুবাই গিয়ে পর পর দুই ম্যাচ খেলতে হবে।

সুপার ফোরে যাওয়া দলগুলোকে নিয়ে এসিসি তাদের ম্যাচ সূচি নির্ধারণ করেছে। দুই গ্রুপের খেলা থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার থেকে সুপার ফোর শুরু হবে। তাছাড়া গ্রুপ ‘এ’ এবং গ্রুপ ‘বি’-এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দল দুটিও চূড়ান্ত হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ এ-এর চ্যাম্পিয়নের সাথে গ্রুপ বি-এর রানার্স-আপ এবং গ্রুপ বি-এর রানার্স-আপের এর সাথে গ্রুপ এ-এর চ্যাম্পিয়নের খেলা দুবাই ও আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

কিন্তু নতুন দেয়া ম্যাচ সূচি অনুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স-আপ হওয়া ছাড়াই বাংলাদেশকে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলে ঐ দিনই আবার দুবাই চলে যেতে হবে এবং তার পরের দিন শুক্রবার ভারতের সাথে পরবর্তী ম্যাচ খেলার জন্য। আবার রবিবার বাংলাদেশ দলকে আফগানিস্তানের সাথে খেলতে আবুধাবিতে যেতে হবে। 

মাশরাফি বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক।  এখানে মূল কথা হলো আমরা শেষ ম্যাচ খেলার আগেই বি গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়ে গেছি।  আমরা এখানে একটা পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলাম। যদি আমরা ভালো খেলে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারি তাহলে আমরা বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে এ গ্রুপের রানার্স-আপ দলের সাথে খেলব।  কিন্তু আজ সকালে জানতে পারলাম ইতোমধ্যেই আমাদেরকে বি গ্রুপের রানার্স-আপ দল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আফগানিস্তানের সাথে হারি বা জিতি তার কোন প্রভাব পড়বে না। এটা সত্যিই খুব হতাশাজনক একটি ব্যাপার।

মাশরাফি আরো বলেন, এটা একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেখানে আমরা আমাদের দেশ ও জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করে থাকি। সুতরাং এটা আমাদের দেখতে হবে। 

খেলার সূচি অনুযায়ী ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।  অন্যদিকে একই দিনে একই সময়ে দুবাইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর একদিনের বিরতি দিয়ে রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত আর আবুধাবিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। ২৫ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত আর ২৬ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

সূচিতে দেখা যাচ্ছে, আবুধাবিতে ভারতের কোনো ম্যাচ নেই। কিন্তু অন্য সব দলের আবুধাবিতে ম্যাচ রয়েছে। গ্রুপ পর্বের দুইটি ম্যাচও ভারত দুবাইতে খেলছে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে। সুতরাং, ভারত যদি ফাইনালে ওঠে তাহলেও তাদের দুবাইয়ের বাইরে যেতে হচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement