২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভারতকে সহজ টার্গেট দিল পাকিস্তান 

পাকিস্তান অধিনায়কের এই ছবিই বলে দিচ্ছে দলের সার্বিক অবস্থা - এএফপি

শুরুতেই বিপর্যয়। পরে হাল ধরেছিলেন বাবর আজম আর শোয়েব মালিক। দুজনই ফিফটির দোরগোড়ায় এসে সাজঘরে ফিরলেন। তাতে বিপর্যয়টা দূর হবে হবে করেও হয়নি। শেষপর্যন্ত ভারতীয় বোলারদের তোপে ১৬২ রানেই অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান, ইনিংসের ৪১ বল বাকি থাকতে।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। শুরুতেই তারা পড়ে বড় বিপদে। স্কোরবোর্ডে ৩ রান উঠতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে সরফরাজ আহমেদের দল।

ভুবনেশ্বরকে আক্রমণ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরমুখী হন ইমাম উল হক (২)। এরপর ফাখর জামানও ভুল করে বসেন। ভারতীয় পেসারকে তুলে মারতে গিয়ে ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের ক্যাচ হন তিনি, রানের খাতা না খুলেই। তৃতীয় উইকেটে বিপদ কিছুটা সামলে উঠেছিলেন বাবর আজম আর শোয়েব মালিক। তাদের ৮২ রানের জুটিটি ভাঙার পর আবার যেন তাসের ঘর পাকিস্তান।

বাবর ৪৭ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে বোল্ড। এরপর ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে মনিশ পান্ডের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়েছেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (৬)। পাকিস্তানের অবস্থা আরও খারাপ হয় শোয়েব মালিক ৪৩ রানে রানআউটের ফাঁদে পড়লে। কিছুক্ষণ পরই আউট হয়ে যান এক বল আগেই বড় ছক্কা হাঁকানো আসিফ আলি (৯)।

শেষদিকে ফাহিম আশরাফ আর মোহাম্মদ আমির দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। আশরাফ ২১ রান করে আউট হন। আমির অপরাজিত ছিলেন ১৮ রান নিয়ে।

ভারতের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন কেদর যাদব আর ভুবনেশ্বর কুমার। জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার ২টি।

আরো পড়ুন : সুপার ফোরের শিডিউল দেখে ক্ষেপে গেলেন মাশরাফি
ক্রিকবাজ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৫৯

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ সূচি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)-এর সমালোচনা করেছেন। এই সূচির ফলে বাংলাদেশ দলকে কোন বিশ্রাম ছাড়াই আবুধাবি থেকে দুবাই গিয়ে পর পর দুই ম্যাচ খেলতে হবে।

সুপার ফোরে যাওয়া দলগুলোকে নিয়ে এসিসি তাদের ম্যাচ সূচি নির্ধারণ করেছে। দুই গ্রুপের খেলা থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার থেকে সুপার ফোর শুরু হবে। তাছাড়া গ্রুপ ‘এ’ এবং গ্রুপ ‘বি’-এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দল দুটিও চূড়ান্ত হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ এ-এর চ্যাম্পিয়নের সাথে গ্রুপ বি-এর রানার্স-আপ এবং গ্রুপ বি-এর রানার্স-আপের এর সাথে গ্রুপ এ-এর চ্যাম্পিয়নের খেলা দুবাই ও আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।


কিন্তু নতুন দেয়া ম্যাচ সূচি অনুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স-আপ হওয়া ছাড়াই বাংলাদেশকে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলে ঐ দিনই আবার দুবাই চলে যেতে হবে এবং তার পরের দিন শুক্রবার ভারতের সাথে পরবর্তী ম্যাচ খেলার জন্য। আবার রবিবার বাংলাদেশ দলকে আফগানিস্তানের সাথে খেলতে আবুধাবিতে যেতে হবে। 

মাশরাফি বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক।  এখানে মূল কথা হলো আমরা শেষ ম্যাচ খেলার আগেই বি গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়ে গেছি।  আমরা এখানে একটা পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলাম। যদি আমরা ভালো খেলে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারি তাহলে আমরা বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে এ গ্রুপের রানার্স-আপ দলের সাথে খেলব।  কিন্তু আজ সকালে জানতে পারলাম ইতোমধ্যেই আমাদেরকে বি গ্রুপের রানার্স-আপ দল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আফগানিস্তানের সাথে হারি বা জিতি তার কোন প্রভাব পড়বে না। এটা সত্যিই খুব হতাশাজনক একটি ব্যাপার।

মাশরাফি আরো বলেন, এটা একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেখানে আমরা আমাদের দেশ ও জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করে থাকি। সুতরাং এটা আমাদের দেখতে হবে। 

খেলার সূচি অনুযায়ী ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।  অন্যদিকে একই দিনে একই সময়ে দুবাইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর একদিনের বিরতি দিয়ে রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত আর আবুধাবিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। ২৫ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত আর ২৬ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

সূচিতে দেখা যাচ্ছে, আবুধাবিতে ভারতের কোনো ম্যাচ নেই। কিন্তু অন্য সব দলের আবুধাবিতে ম্যাচ রয়েছে। গ্রুপ পর্বের দুইটি ম্যাচও ভারত দুবাইতে খেলছে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে। সুতরাং, ভারত যদি ফাইনালে ওঠে তাহলেও তাদের দুবাইয়ের বাইরে যেতে হচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement