২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হংকংয়ের সামনে ভারতের বড় সংগ্রহ

হংকংয়ের সামনে ভারতের বড় সংগ্রহ - সংগৃহীত

নিজেদের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল হংকং। এশিয়া কাপ ক্রিকেটে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ভারতের মোকাবিলায় নেমেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। টস জিতে আসরের অন্যতম ফেভারিট ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় তারা। সে সুযোগটি ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে রোহিত-ধাওয়ানরা। গড়েছেন ২৮৫ রানের বিশাল সংগ্রহ।

মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শিখর ধাওনের চমৎকার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ভারত এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে। শুরুতে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২৩ রানে ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ দৃঢ়তা দেখান ধাওয়ান ও আম্বাতি রাইডু। দুজনে মিলে  ১১৬ রানের দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান।

রাইডু ৭০ বলে ৬০ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেও তৃতীয় উইকেটে ধাওয়ান ও দিনেশ কার্তিক ৭৯ রানের আরেকটি জুটি গড়েন। ধাওয়ান কিঞ্চিত শাহর শিকার হয়ে সাজ ঘরে ফিরে যাওয়ার আগে খেলেন ১২৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস। ক্যারিয়ারের ১৪তম ওয়ানডে শতকটি করতে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১২০ বল খরচ করেছেন, যাতে ১৫টি চার ও দুটি ছক্কার মার রয়েছে।

এ ছাড়া দিনেশ কার্তিক ৩৩ ও কেদার জাদভ হার-না-মানা ২৮ রান করেন। শেষ দিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট না হারালে ভারতের এই সংগ্রহ আরো বড় হতে পারত।

হংকংয়ের হয়ে কিঞ্চিত শাহ ৩৯ রানে তিনটি এবং এহসান খান ৬৫ রানে দুই উইকেট নেন।

হংকং এর আগে প্রথম ম্যাচে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল। তারা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১১৬ রান গড়ে। জবাবে পাকিস্তান দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। আগামীকাল বুধবার ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে।    

আরো পড়ুন : রানের পাহাড় গড়তে চলেছ ভারত
নয়া দিগন্ত অনলাইন ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:২৪

হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা মতোই বড় স্কোরের পথে চলছে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। ইতোমধ্যেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন ওপেনার শেখর ধাওয়ান। ৩৭ ওভারেই দলীয় দুই শ’ রান পূর্ণ করেছে রোহিত শর্মার দল। তাই এই ম্যাচে সাড়ে তিন শ’ বা তার বেশিরান হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৯ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২২৪ রান।


এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় হংকং। ৪৫ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হয় ভারতের উদ্বোধনী জুটি। ২৩ রান করে এহসান খানের বলে আউট হয়ে ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১৬ রান তোলেন অম্বতি রাইডু ও শেখর ধাওয়ান। এই জুটিই মূলত আভাস দেয় বড় স্কোরের। ওভার প্রতি পাঁচের বেশি রান তুলতে থাকেন ধাওয়ান রাউডু। তবে ব্যক্তিগত ৬০ ও দলীয় ১৬১ রানে রাইডু আউট হয়ে যান। রাইডুর বিদায়ের পর উইকেট আসেন দিনেশ কার্তিক।

ইতোমধ্যেই শেখর ধাওয়ান তুলে নিয়েছেন তার ক্যারয়ারের ১৪তম ওয়ানডে শতক। ১০৫ বল খেলে ১০০ রানে পৌছান এই বামহাতি ওপেনার।

আরো পড়ুন: ভারতীয় দলে খলিল আহমেদের অভিষেক
এশিয়া কাপে মঙ্গলবারের ম্যাচে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে হংকং। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারা হংকংয়ের এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। অন্যদিকে ভারত আজ প্রথম মাঠে নামছে এবারের এশিয়া কাপে। এই ম্যাচে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছে বাম হাতি পেসার খলিল আহমেদের।

রাজস্থানের টঙ্ক এলাকায় জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটারের বাবা ছিলেন একজন কম্পাউন্ডার। টেনিস বল দিয়ে খেলতে খেলতেই তার সাধ হয় ক্রিকেট বল হাতে নেয়ার। স্বল্প আয়ের পরিবার তাই বাবা বাধা দিলেন, কিন্তু অনেক কষ্টে পরিবারকে বুঝিয়ে খলিল ভর্তি হলেন টঙ্ক ক্রিকেট একাডেমিতে।


অনেকটা হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেটের আলোচনায় চলে আসেন খলিল। গতি তার প্রধান সম্পদ, তবে বলে বৈচিত্র আছে। আবার যেকোনো উইকেটেই অনবরত বুকসমান বাউন্স তুলতে পারেন। অনেকেই বলেন, ওয়াসিম আকরামের মতো বৈচিত্রপূর্ণ বোলিং করার ক্ষমতা রাখেন এই তরুণ। অনেকের চোখেই ভারতের পরবর্তী জহির খান।

এ বছর ঘরোয়া সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি বোলিং করেছেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ। ইন সুইং ও আউট সুইং দুটোতেই দক্ষ। মাত্র দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেই জাতীয় দলের দরজা খুলে গেছে তার জন্য। লিস্ট এ খেলছেন অবশ্য অনেকগুলো ম্যাচ। তার আগে ভারতীয় অনূর্ধ-১৯ দলেও খেলেছেন। তবে এবছরই প্রথম এ দলে সুযোগ পেয়ে প্রতিভার জানান দিয়েছেন।

গত আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেলিস তাকে দলে নিলেও মাঠে নামা হয়নি। তবে দিল্লির ক্যাপটেন জহির খানের কাছাকাছি থাকার সময়টাই খলিলের জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক কিছু শিখেছেন জহির খানে সান্নিধ্যে থেকে।

গত মাসে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পর সেই গুরুর প্রতি কৃত্জ্ঞতা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আগে শুধু জোরে বোলিং করেছি। তেমন কৌশল রপ্ত করতে পারিনি। জহির আমার হাত ও কবজি নিয়ে কাজ করেছেন। সিম পজিশন আর গ্রিপও ঠিক করে দিয়েছেন। এখন আমি ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ভেতরে বল ঢোকাতে পারি।’

জহির খানকে আদর্শ মেনেই বড় হয়েছেন এই বোলার। তবে অনূর্ধ-১৯ দলে থাকার সময় কোচ রাহুল দ্রাবিরের অবদানও তার ওপর কম নয় বলে জানিয়েছেন। এশিয়া কাপের দলে নিজের নাম দেখে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি এই তরুণ।

ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা(অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, অম্বতি রাইডু, দিনেশ কার্তিক, এমএস ধোনী, কেদার যাদব, ভুবনেশ্বর কুমারা, কুলদ্বীপ যাদব, শার্দুল ঠাকুর, যুযুবেন্দ্র চাহাল ও খলিল আহমেদ।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল