২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন ইমরান খান

ইমরান খান - সংগৃহীত

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বুধবার মুখোমুখি হচ্ছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এই খেলা সরাসরি উপভোগ করতে মাঠে উপস্থিত থাকবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জিও নিউজের একটি রিপো্র্টে খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দুবাই স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি এই খেলা উপভোগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ইমরান খান দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরবে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি দুবাইয়ে যাবেন এবং এশিয়া কাপ ২০১৮ এর ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা পূর্ণ ম্যাচটি উপভোগ করবেন। গত ১৫ সে্প্টেম্বর শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ হিসাবে ধরা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচকে।

ইমরান খানের মাঠে উপস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক শরফরাজ আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপস্থিতি অবশ্যই সকল খেলোয়ারদের মনে আলাদা একটা প্রেরণা হিসাবে কাজ করবে, এবং ভবিষতের জন্যও অনেক সহায়ক হবে।

আরো পড়ুন : মর্যাদার লড়াইয়ে বুধবার মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান
নয়া দিগন্ত অনলাইন  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৫২

বিশ্ব ক্রিকেটের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এই দু’দলের ম্যাচ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে থাকে ক্রিকেটপ্রেমি ভক্তরা। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কটা স্বাভাবিক থাকায় গ্লোবাল কোন ইভেন্ট ছাড়া ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট দেখার দেখা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে ক্রিকেট বিশ্ব।

তবে বুধবার ভারত-পাকিস্তানের মর্যাদার লড়াই দেখতে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৪তম আসরের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দল দু’টি। জয় পেতে মুখিয়ে আছে দু’দলই। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান।


রাজনৈতিক বিরোধের কারনে সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপক্ষীয় কোন সিরিজে অংশ নেয়নি ভারত ও পাকিস্তান। সর্বশেষ ২০১২ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিলো দু’দল। ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ঐ সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো পাকিস্তান। এর আগে ২০০৭ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছিলো ভারত ও পাকিস্তান।

তাই আইসিসির টুর্নামেন্ট ও এশিয়া কাপ ছাড়া সচরাচর মুখোমুখি হতে দেখা যায় না ভারত ও পাকিস্তান। ফলে এই দু’দলের ম্যাচের জন্য মুখিয়ে থাকে অগণিত ক্রিকেটপ্রেমিরা। অবশেষে তাদের অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। এশিয়া কাপ ক্রিকেটপ্রেমিদের অপেক্ষার ইতি টানতে যাচ্ছে।

এবারের এশিয়া কাপে একই গ্রুপে পড়ে যায় ভারত ও পাকিস্তান। এমন ম্যাচের জন্য উত্তেজনা রয়েছে খেলোয়াড়দের মাঝেও। তাইতো মর্যাদার লড়াইয়ে জয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছে রোহিত-ধোনি ও সরফরাজ-মালিকরা।

ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান বলছেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। বিশেষ মর্যাদার ম্যাচ। ভারত-পাকিস্তান লড়াই মানেই টান টান উত্তেজনা। সেই উত্তেজনা আমাদের মধ্যেও কাজ করছে। দুর্দান্ত একটি ম্যাচ হবে বলে আমার ধারনা।’

হংকং-এর বিপক্ষে ম্যাচের পরদিনই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে ভারতকে। পরপর দু’দিন দু’টি ম্যাচ রয়েছে তাদের। এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা অনেক হয়েছে। তবে পরপর দু’দিন ম্যাচ খেলতে কোন সমস্যা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ভারতের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান আম্বাতি রাইদু। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়না পরপর দু’দিন ম্যাচ খেললে কোন সমস্যা হবে। কারন আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। তবে এটি ঠিক পরপর দু’দিন ম্যাচ খেলা অনেক কঠিন। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তরতাজা হয়েই মাঠে নামবে ভারত।’

হংকং-এর বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছে পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নেয়া গেছে বলে মনে করেন পাকিস্তানের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান বাবর আজম, ‘ভালোভাবেই টুর্নামেন্ট শুরু করতে পেরেছি আমরা। এই পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে আমাদের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমন জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ম্যাচ দিয়ে নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নেয়া গেছে। পরের ম্যাচের নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত আমরা।’

গেল বছর দু’বার মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত ও পাকিস্তান। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১২৪ রানে জিতেছিলো ভারত। তবে ফাইনালে ভারতকে লড়াই করার সুযোগ দেয়নি পাকিস্তান। ১৮০ রানের জয়ে শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান। তাই এশিয়া কাপে পাকিস্তানের উপর বাড়তি চাপ থাকবে বলে জানান দলের লেগ স্পিনার শাহদাব খান। তিনি বলেন, ‘এ ম্যাচটি আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারন সর্বশেষ মুখোমুখিতে আমরাই জয়ী হয়েছি। সেটি ছিলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। তাই এ ম্যাচ জয়ে জন্য আমাদের উপর চাপ থাকবে। কিন্তু আমরা সহজভাবেই ম্যাচটিকে নিচ্ছি। আশা করবো পুরো দলই সেরা ক্রিকেটই খেলবে।’

নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দিয়ে এশিয়া কাপে খেলতে এসেছে ভারত। তাই দলের নেতৃত্বে আছেন ওপেনার রোহিত শর্মা। তার ডেপুটি হিসেবে রয়েছেন ধাওয়ান। তবে ভারতের আসল ভরসা- সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে বসে আছেন তিনি। ৩২১টি ওয়ানডের মালিক ধোনি। তাই ভারতের মিডল-অর্ডার সামলানোর পুরো দায়িত্ব তার উপর। মিডল-অর্ডার তার সঙ্গী হবেন লোকেশ রাহুল, রাইদু, দীনেশ কার্তিক ও কেদার যাদব।

ভারতের বোলিং বিভাগের দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্রা চাহাল দলের প্রধান ভরসা। পেস অ্যাটা তরুণদের নিয়ে গড়া। সেখানে রয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরাহ, শারদুল ঠাকুর ও নতুন মুখ খলিল আহমেদ।

পাকিস্তানের মূল শক্তি তাদের বোলিং। বোলাররাই হংকং-এর বিপক্ষে পাকিস্তানকে সহজ জয়ের স্বাদ দেন। পেসার উসমান খান ৩টি, হাসান আলী ও শাহদাব ২টি করে উইকেট নেন। ফলে ১১৬ রানেই গুটিয়ে যায় হংকং। ১১৭ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে ২৩ দশমিক ৪ বল খরচ করে পাকিস্তান। শুরুতে ফখর জামানের সাথে রয়েছেন ইমাম উল হক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ১১৪ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছিলেন জামান। সেটি ছিলো তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচ। অবশ্য ঐ ম্যাচের পরও নিজের সেরা ফর্ম ধরে রেখেছেন জামান। তাই ১৯ ম্যাচ শেষে তার গড় ৭২ দশমিক ৬০। যা জামানের আত্মবিশ্বাসের টনিক। বাবর আজম, মালিক, সরফরাজ, আসিফ আলি দলের মিডল-অর্ডার সামলাবেন। ভারতের বিপক্ষে ভালো ফল পেতে হলে এই মিডল-অর্র্ডারতে জ্বলে উঠতে হবে। অবশ্য তারা সকলেই পরীক্ষিত।

ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১২৯বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের জয়য় ৫২টি। পাকিস্তানের ৭৩টিতে জয়। ৪টি ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত।

ভারত দল : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, আম্বাতি রাইদু, মনীষ পান্ডিয়া, কেদার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, দিনেশ কার্তিক, কুলদীপ যাদব, হার্ডিক পান্ডিয়া, যুজবেন্দ্রা চাহাল, অক্ষর প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরাহ, শারদুল ঠাকুর ও খলিল আহমেদ।

পাকিস্তান: সরফরাজ আহমেদ(অধিনায়ক), ফখর জামান, ইমাম উল হক, শান মাসুদ, বাবর আজম, শোয়েব মালিক, আসিফ আলী, হারিস সোহেল, শাদাব খান, মুহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির, জুনাইদ খান, উসমান সিনওয়ারি ও শাহিন আফ্রিদি।

আরো পড়ুন:  ইম্মিভাইকে নিয়ে ওয়াকার ইউনিস যা বললেন

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

'আমরা সবচেয়ে খুশি হয়েছি নভজোৎ সিং সিধু আমাদের ফাদার–ফিগার ইম্মিভাইয়ের শপথ অনুষ্ঠানে আসার জন্য। সত্যি, আমরা কেউই ভাবতে পারিনি সিধু যাবে পাকিস্তানে! সিধুর আচরণে আমরা তো বটেই, সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন ইমরান খান।’

এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন ইমরানের ভাবশিষ্য, ভ্রাতৃসম এক সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন পাকিস্তান–হংকং ম্যাচের। বিরতিতে ‘আজকাল’–এর সামনে অকপট ওয়াকার ইউনিস। স্বভাবতই উঠে এলো ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রসঙ্গ। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ও। ও হ্যাঁ, ওয়াকার ইউনিস জানতে চাইলেন সৌরভ গাঙ্গুলির কথাও। ‘সৌরভ কি বোর্ডে আসছে? ও দায়িত্ব নিলে কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের চেহারা বদলে যাবে।’

ইমরান প্রসঙ্গ

কী বলছেন! গত ২৩ বছর লোকটা আর কিছু ভাবেননি। শুধু দেশের ভালো কী করে হতে পারে সেটা ভেবেছেন। পাকিস্তানকে কী করে নানা ফাঁস থেকে মুক্ত করা যায় সে–কথাই ভেবেছেন আমাদের ক্যাপ্টেন। বাকিরা অনেক কিছু ভাবে। ভেবেওছে। কিন্তু দেশের জন্য আন্তরিক ভাবনা আর কেউ কখনো ভেবেছে বলে মনে হয় না। সবচেয়ে বড় কথা, ক্রিকেট মাঠেও যেমন একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল ইম্মিভাইয়ের (হ্যাঁ, এই নামেই ডেকে থাকেন ওয়াকার) ঠিক ক্রিকেট মাঠের বাইরেও একটা লক্ষ্য রয়েছে। পাকিস্তানকে বসবাসযোগ্য একটা দেশ বানানো। সবচেয়ে বড় কথা, ইমরান খানের কোনও পিছুটান নেই। যখন হাসপাতাল গড়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় গড়েছে তখনও দেখেছি, এখনও দেখছি। মানু্ষটার মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের সবার বিশ্বাস, ইমরান খানের হাত ধরে পাকিস্তানের সুদিন ফিরবে।

পাঁচ বছর সময় কম নয়

হ্যাঁ, ৫ বছর সময় সত্যিই বড্ড কম। পাকিস্তানের মতো দেশের জন্য খুবই কম। কিন্তু আমরা যারা ইমরান খানকে খুব কাছ থেকে দেখেছি তারাই জানি ইমরান যখন কোনো একটা পথ তৈরি করে দেয় সেই পথ দিয়ে তারপর কেউ যদি হেঁটে যায় তাহলে সে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। সুতরাং ইমরান পাঁচ বছর পরে যদি হেরেও যায় তাহলেও ইমরানের পথ ধরলে সে সফল হবেই। আমি দায়িত্ব নিয়ে এটা বলতে পারি।

ইমরান সাক্ষাৎ

তখনও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ইম্মিভাই নেয়নি। আমি অস্ট্রেলিয়া থেকে গিয়ে দেখা করলাম। তারপর প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন আমি আর ওয়াসিম (আক্রাম) একসঙ্গে ছিলাম। পরেও কথা হয়েছে। জানেন, সবচেয়ে মজার কথা হল আমাদের সঙ্গে যখন কথা হয় তখন ক্রিকেট, রাজনীতি অথবা প্রশাসন এ সব নিয়ে কথা হয় না। শুধুই নির্ভেজাল আড্ডা। ইম্মিভাই আমাদের দেখলে সব কিছু থেকে নিজেকে সুইচড অফ করে নেন। গল্পগুজব ছাড়া আর কিছুই হয় না।

ইমরানের হাত ধরে ভারত–পাকিস্তান সম্পর্ক

এবার সত্যি দুটো দেশের সময় হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার। অনেক নাটক হয়েছে। অনেক ‍লড়াই হয়েছে। এবার বন্ধ হওয়া দরকার। বাইরের কিছু অনৈতিক ‘ফোর্স’ এগুলো করে থাকে। এবার সেটা বন্ধ হওয়া উচিত। ভারত–পাকিস্তান একসঙ্গে হাত ধরে এগোক। আমাদের বিশ্বাস, ইমরান খানের হাত ধরে সেটা হবে। ভারত–পাকিস্তান সম্পর্ক ঠিক হলে দেখবেন অন্যান্য অনেক দেশ ঈর্ষান্বিত হবে। সিধুর পাকিস্তানে আসাটা আমাদের কাছে খুব ইতিবাচক বিষয়। সত্যি, কথা শুরু হোক দু’তরফে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইমরানের সময়েই ভারত–পাকিস্তানের সুসম্পর্ক ফিরবে। ফেরাতেই হবে। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেটীয় সম্পর্ক

অনেক হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু হওয়া উচিত। নাওয়া–খাওয়া ভুলে ভারত–পাক জনতা এই দুই দেশের ক্রিকেট দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। আমি দেখেছি শেষ বার ভারত যখন পাকিস্তানে গিয়েছিল সে–সময় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে যে পরিমাণ ভারতীয় পতাকা উড়ে ছিল তা ভাবা যায় না! আমি নিজে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারিনি। সিরিজ শুরু হোক। দু’দেশের ক্রিকেটাররাও অপেক্ষায় থাকে। কবে হবে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ? সেই কবে আইসিসি বা এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্ট হবে সেখানে ভারত–পাকিস্তান খেলবে তার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা আর মানায় না। দুটো দেশই ভাবুক। সত্যি, আমি মনে করি আমাদের দুটো দেশের মধ্যে ‘আমন’ চাই। শান্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইমরানের জামানায় ক্রিকেটের হাত ধরে সেই শান্তি আসুক।‌‌


আরো সংবাদ



premium cement