স্লগ ওভারের দুর্বলতা কাটাতে ম্যাকেঞ্জির বিশেষ সেশন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:২০
তীব্র স্নায়ুচাপে শেষ ৬ বলের চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা প্রায়শই খেই হারিয়ে ফেলেন সীমিত ওভারের খেলায় মাঝে-মধ্যেই তীরে এসে তরী ডোবে তাই এবারের এশিয়া কাপে শেষ ওভারে কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় সে দিকেই বেশি নজর দিলেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক নিল ম্যাকেঞ্জি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর ছুটি কাটিয়ে সোমবারই এশিয়া কাপের প্রস্তুতি পর্বে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক নিল ম্যাকেঞ্জি। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বেশ গুরুত্ব দিয়ে ম্যাচ অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডারকে বিভিন্ন লক্ষ্য দিয়ে ব্যাটিং করানো হয়েছে।
সীমিত ওভারের খেলায় শেষ দিকে ব্যাট করে থাকেন মাশরাফি, মেহেদী হাসান মিরাজ মোসাদ্দেক ও আরিফুল। তাই মিরপুর এদিন তারা সেভাবেই তারা নিবিড় ব্যাটিং অনুশীলন করলেন।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া আরিফুলকে বেশকিছু সুযোগ দেয়া হয়। ২০১৭ সালের বিপিএলে সে বেশকিছু ম্যাচে সফলও হয়েছিল। তাই শেষদিকে কিভাবে প্রতিপক্ষের বোলারদেরকে মোকাবেলা করতে হবে সে দিকে বেশি নজর দেন নিল ম্যাকেঞ্জি।আরিফুল সহ লোয়ার অর্ডারের অন্যদের তিনি বিশেষভাবে অনুশীলন করান।
তবে স্লগ ওভার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দুর্বলতা বরাবরের মতো সেদিন ও দেখা গেল। অনুশীলনে শেষ কয়েক ওভারে বিভিন্ন লক্ষ্য দিয়ে বেশ কয়েক দফায় ব্যাটিং করানো হয়েছে তাদেরকে। বেশির ভাগ সময়ই লক্ষ্য ছুতে পারছিলেন না তারা।
বাস্তবতাটা ম্যাকেঞ্জি ভালো করেই বোঝেন। ক্যারিবিয়ানদের মতো পাওয়ার হিটার বাংলাদেশে নেই। তবে ব্যাটিং কোচ কিছু টেকনিকও বাতলে দিলেন।
অনুশীলন শেষে নিল ম্যাকেঞ্জি বলেন এটা প্রস্তুতির একটা অংশ এবং ছেলেদের চাপে রাখা। সাধারণত অনুশীলনের সময় বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেও কিছু মনে করা হয় না। তাই কোচ স্টিভ রোডস ছেলেদের একটা চাপে ফেলেছেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ ওয়ানডে দল প্রায় সমমানের এবং সে কারণে শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত খেলা টিকে থাকে। বড় কোনো ম্যাচে পরিস্থতিগুলো কেমন হতে পারে, এখান থেকে তরুণরা শিখতে পারবে। এটা বোলারদের জন্য খুবই ভালো অনুশীলনও। তারা নিজেদের ফিল্ডিং সাজানোটা দেখে নিতে পারে এবং নিজের সেরা বলটাও করতে পারে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক বলেন ‘বিগ হিটার যে আমাদের একদমই নেই তা কিন্তু নয়। রিয়াদ তার টি-টোয়েন্টি দলকে জিতিয়েছে ১১ বলে ২৮ করে (সিপিএলে)। তবে যেটি বলছিলাম, টেকনিক্যালি আমরা আরও ভালো হিটার হতে পারি। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের মতো স্টেডিয়াম পার করতে হবে না। এটার জন্য বাড়তি রান নেই। ছয় রানই মিলবে। সীমানা পার করলেই চলবে। তো টেকনিক্যালি আরও ভালো পজিশনে যেতে হবে। মানসিকভাবে স্কিল হিটিংয়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
গত কয়েক বছরে ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের ধারা বদলে গেছে অনেকটাই। ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ এখনো শেষ দশ ওভারে গড়ে ৬.৯২ রান তুলছে। যেখানে ইংল্যান্ড ৮.৩২, দক্ষিণ আফ্রিকা ৮.০৮,পাকিস্তান ৭.৭৮ রান গড়ে তুলছে।
এই ব্যাটিং পরামর্শক মনে করেন, দলের ছেলেদের সম্পর্কে জানা ও তাদের আস্থা অর্জন করাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমি নাও থাকি তবুও তারা আমাকে ডাকবে এবং আমার কাছে তাদের ফুটেজ পাঠাবে সেগুলো নিয়ে কথা বলবে। এটা আমার পথ নয় এটা হলো খেলোয়ারদের পথ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা