২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যে কারণে সরে গেলেন আফ্রিদি

যে কারণে সরে গেলেন আফ্রিদি - ছবি : সংগৃহীত

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ষষ্ঠ আসর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। হাঁটুর ইনজুরির কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাকিস্তান সুপার লিগের গেল আসরে হাঁটুতে চোট পান তিনি। সেই চোটের কারনেই আসন্ন সিপিএলে খেলতে পারবেন না আফ্রিদি। সুস্থ হতে আফ্রিদিও পুনর্বাসন দরকার।

সিপিএল থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিশ্চিত করেছেন জ্যামাইকা তালাওয়াশের খেলোয়াড় আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘এ বছর সিপিএলে খেলতে পারবো না আমি। আমার হাটুঁর ইনজুরির কারণে পুনর্বাসন দরকার। আমি বাড়িতে থেকে নিজ দলকে উৎসাহ করবো।’

আফ্রিদির পরিবর্তে পাকিস্তানের আরেক অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিমকে দলে নিয়েছে জ্যামাইকা তালাওয়াস।
পাকিস্তান সুপার লিগে করাচি কিংসের হয়ে খেলার সময় ইনজুরিতে পড়েছিলেন আফ্রিদি। এরাপর কানাডিয়ান লিগ গ্লোবাল টি-২০ এবং লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্ব একাদশের টি-২০ ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। চ্যারিটি টি-২০ ম্যাচে বিশ্ব একাদশের অধিনায়ক ছিলেন আফ্রিদি।
গত রাত থেকে মাঠে গড়িয়ে সিপিএলের ষষ্ঠ আসর।

আরো পড়ুন :
মুমিনুলের বিধ্বংসী ব্যাটিং নৈপুণ্যে জিতল বাংলাদেশ ‘এ’ দল
অধিনায়ক মুমিনুল হকের বিধ্বংসী ব্যাটিং নৈপুণ্যে আয়ারল্যান্ড সফরের চতুর্থ ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। গত রাতে সফরের চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে মোমিনুলের ১৩৩ বলে ১৮২ রানের কল্যাণে বাংলাদেশ ৮৫ রানে হারায় আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলকে। ফলে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

ডাবলিনের দ্য হিলস ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল। ব্যাট হাতে নেমেই নিজের দক্ষতা দেখান মোমিনুল। শেষ পর্যন্ত ২৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১৮২ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসের ৫ ওভার বাকি থাকতে আউট হন তিনি। উইকেটে থাকলে ডাবল-সেঞ্চুরিও পেয়ে যেতে পারতেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। তারপরও দেশের বাইরে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোন খেলোয়াড়ের এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

মুমিনুলের সাথে মোহাম্মদ মিথুন ৫১ বলে ৮৬ ও ওপেনার জাকির হোসেন ৯৩ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। ফলে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
জবাবে ২৩ বল বাকি থাকতেই ৩০১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল। দলের পক্ষে অ্যান্ড্রু বালবির্নি ১০৬, সিমি ৫৩ ও জেমস ৪৩ রান করেন।

ফজলে মাহমুদ ৪৭ রানে ও খালেদ ৭৩ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া সাইফউদ্দিন-শরিফুল ২টি করে উইকেট নেন।
আগামীকাল ক্লোনটার্ফে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে।

আরো পড়ুন :
অবশেষে জয়ের দেখা পেল শ্রীলংকা
সিরিজ হাতছাড়া হবার পর অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে জয়ের দেখা পেল স্বাগতিক শ্রীলংকা। গতরাতে ক্যান্ডিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে শ্রীংলকা ৩ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এই জয়ে সিরিজের ব্যবধান ৩-১ করলো লংকানরা। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আগেভাগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে প্রোটিয়ারা।

কয়েকবার বৃষ্টির কারনে ৩৯ ওভারে নির্ধারিত হওয়া ম্যাচে টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং বেছে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক কুইন্ট ডি কক। ব্যাটিং-এ নেমে ৬১ রানের সূচনা করেন শ্রীলংকার দুই ওপেনার নিরোশান ডিকবেলা ও উপুল থারাঙ্গা। তবে দু’জনের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ডিকবেলা ৩৪ ও থারাঙ্গা ৩৬ রান করেন।

এরপর মিডল-অর্ডারে কুশল পেরেরা ছাড়া কুশল মেন্ডিস-অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ-ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ছোট ছোট ইনিংস খেলে ফিরলে ১৯৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় শ্রীলংকা।

তবে সপ্তম উইকেটে বিধ্বংসী রুপ ধারন করেন থিসারা পেরেরা ও দাসুন শানাকা। মাত্র ৬৮ বল মোকাবেলা করে ১০৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ফলে ৩৯ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৬ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা।
থিসারা পেরেরা ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ বলে অপরাজিত ৫১ রান করেন। আট নম্বরে নামা শানাকা ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৬৫ রান করেন। ১০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটিই ছিলো শানাকার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। এছাড়া কুশল পেরেরা ৫১ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিডি ও জেপি ডুমিনি ২টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ৩৯ ওভারে ৩০৭ রানের টার্গেট পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ ওভার ব্যাট করার পর বৃষ্টির কারনে প্রোটিয়াদের সামনে নতুন টার্গেট আসে ২১ ওভারে ১৯১ রান। এই রান তাড়া করার জন্য বড় ইনিংসের প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার কোন ব্যাটসম্যানই। তারপরও ছোট-ছোট ইনিংসে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও তীরে এসে তরি ডুবে দক্ষিণ আফ্রিকার।

শেষ পর্যন্ত ২১ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের পক্ষে হাশিম আমলা ২৩ বলে ৪০, জেপি ডুমিনি ২৩ বলে ৩৮ ও ডি কক ১৩ বলে ২৩ রান করেন। শ্রীলংকার সুরাঙ্গা লাকমল ৪৬ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শ্রীলংকার শানাকা। ম্যাচ শেষে শানাকা বলেন, ‘শুরুতে আমি বেশ নাভার্স ছিলাম। তবে আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছি। নিজের পারফরমেন্সে আমি সত্যিই অনেক খুশী।’
ম্যাচ জিতে শ্রীলংকার অধিনায়ক ম্যাথুজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন, ‘সত্যি এমন জয় অসাধারন। কারন টানা তিন ম্যাচ হেরে আমরা জিততে পেরেছি। দুই অলরাউন্ডার দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। এমনকি বোলাররা সঠিকভাবে তাদের দায়ি¦ পালন করেছে।’
ম্যাচ হেরে হতাশা দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডি কক, ‘ম্যাচ হার সবসময়ই হতাশার। শ্রীলংকানরা ভালো খেলেই জয় পেয়েছে।’

আগামী ১২ আগস্ট কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলংকা : ৩০৬/৭, ৩৯ ওভার (শানাকা ৬৫, থিসারা পেরেরা ৫১*, ডুমিনি ২/৩৫)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১৮৭/৯, ২১ ওভার (আমলা ৪০, ডুমিনি ৩৮, লাকমল ৩/৪৬)।
ফল : শ্রীলংকা বৃষ্টি আইনে ৩ রানে জয়ী।
সিরিজ : পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচ সেরা : দাসুন শানাকার (শ্রীলংকা)।


আরো সংবাদ



premium cement