২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাটার মাস্টারের মুকুটে নতুন পালক

মুস্তাফিজুর রহমান। ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ২-১ ব্যাবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের জার্সিতে নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারছিলেন না কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০টি  সিরিজে বল হাতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ খ্যাতি পাওয়া দ্য ফিজ।

ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে নিজেকে আবারো প্রমাণ করেছেন। পুরো সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঘা-বাঘা ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত সব কাটার-স্লোয়ারে নাজেহাল করেছেন। সিরিজের সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় ফিজ এখন বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি টি-২০ বোলার। 

৩ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছেন। ৯ দশমিক ১ ওভার বল করে ৯৯ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার করেন ফিজ। সেরা বোলিং ফিগার ৩১ রানে ৩ উইকেট। প্রথম টি-২০তে ১৮ রানে ২, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫০ রানে ৩ ও তৃতীয়টিতে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। ৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কেমো পল। ৫ উইকেট নিয়ে পরের স্থানেই রয়েছেন ক্যারিবীয়দের আরেক ওপেনার কেসরিক উইলিয়ামস।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সাকিব আল হাসানের দখলে। ৬৯ ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৮০ উইকেট। আবদুর রাজ্জাক ৩৪ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। তিনে চলে আসা ফিজ আর একটি উইকেট হলে টপকে যাবেন দেশের অন্যতম সেরা স্পিনার রাজ্জাককে।

আজকের ম্যাচে তিন উইকেট পাওয়ার পর মাশরাফিকে ছাড়িয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বাংলাদেশি বোলার এখন মুস্তাফিজ।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটধারী বোলার:

১. সাকিব আল হাসান: ৬৯ ম্যাচ, ৮০ উইকেট
২. আবদুর রাজ্জাক: ৩৪ ম্যাচ, ৪৪ উইকেট
৩. মোস্তাফিজুর রহমান: ২৭ ম্যাচ, ৪৩ উইকেট
৪. মাশরাফি বিন মুর্তজা: ৫৪ ম্যাচ, ৪২ উইকেট
৫. আল আমিন হোসেন: ২৫ ম্যাচ, ৩৯ উইকেট

আজ ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ১৯ রানে। ফলে সিরিজটি বাংলাদেশ ২-১-এ জিতে নিলো। এর আগে ওয়ানডে সিরিজও বাংলাদেশ জিতেছিল একই ব্যবধানে। অবশ্য টেস্ট সিরিজে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

আজ টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ করে ৫ উইকেটে ১৮৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এই রেকর্ডের ওপর ভর করেই শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় টাইগাররা। বৃষ্টির কারণে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের ইনিংস শেষ করতে পারেনি। ১৭.১ ওভারে তাদের স্কোর যখন ৭ উইকেটে ১৩৫, তখনই খেলা বন্ধ হয়ে যায় বৃষ্টির কারণে। তখন বাকি ১৭ বলে তাদের করার দরকার ছিল ৫০ রান কিছু সময় অপেক্ষার পর বাংলাদেশকে ডি/এল পদ্ধতিতে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

আগের ম্যাচে মোস্তাফিজই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর জোড়া আঘাত হেনে তাদেরকে ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য করেছিলেন। ফ্লোরিডায় আজও তিনি প্রথম আঘাত হনেন। তার শিকার হয়ে বিদায় নেন ফ্লেচার। এরপর সৌম্য সরকারের শিকার হয়ে ফিরে গেছেন ওয়ালটন।

মোস্তাফিজের তিনটি ছাড়াও সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, রুবেল হোসেন, আবু হায়দার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement