১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অধিনায়ক মুমিনুল, সহ-অধিনায়ক সৌম্য

ক্রিকেট
অধিনায়ক মুমিনুল হক, সহ-অধিনায়ক সৌম্য সরকার - সংগৃহীত

আয়ারল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন মুমিনুল হক। আনঅফিসিয়াল এই ওয়ানডে সিরিজে সহ-অধিনায়ক হলেন সৌম্য সরকার। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়ক থাকবেন তিনি। আয়ারল্যান্ডে পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ 'এ' দল। আগামী শনিবার ঢাকা ছাড়বে তারা।

দলে জায়গা পেয়েছেন ইনজুরি থেকে সেরে উঠা তাসকিন আহমেদ। আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজে খেলে আসা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ও টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত।

বাকিদের সবাই ছিলেন শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে। তবে দলে নেই স্পিনার সোহাগ গাজী।

আগামী ১ আগস্ট থেকে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে সিরিজ। ১৩ আগস্ট থেকে শুরু তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

বাংলাদেশ ‘এ’ দল : মুমিনুল হক (ওয়ানডে অধিনায়ক), সৌম্য সরকার (ওয়ানডে সহ-অধিনায়ক, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, আফিফ হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, আল আমিন, জাকির হাসান, নাঈম হাসান, সানজামুল ইসলাম, নুরুল হাসান সোহান, সাইফ উদ্দিন, মিজানুর রহমান, সাইফ হাসান ও তাসকিন আহমেদ।

 

আরো পড়ুন : ম্যাচের আগে মাশরাফির যে বক্তব্য উজ্জ্বীবিত করেছে টাইগারদের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের লজ্জাজনক পারফরমেন্সের পর ঘুরে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ। মাশরাফির নেতৃত্বে প্রথম ওয়ানডেতে ৪৮ রানের জয় পেয়েছে তারা। তিন ম্যাচের সিরিজ জয়ের জন্য প্রয়োজন আরো একটি জয়। আর সেটি ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করবে মাশরাফি বাহিনী। ম্যাচ শেষে এমনটাই জানালেন তিনি।

ওয়ানডে অধিনায়ক জানান, আর একটি ম্যাচ জিততে পারলেই বাংলাদেশ সিরিজ জিতবে আর সেটিই করার চেষ্টা করবেন তারা।

হতাশায় ডুবতে থাকা বাংলাদেশকে কিভাবে চাঙ্গা করলেন মাশরাফি?

জবাব, 'বিশেষ কিছু বলিনি। স্রেফ বলেছি, হৃদয় উজাড় করে খেলতে, দেশের জন্য খেলতে। যা হয়েছে, তা তো হয়েই গেছে। এটা নতুন সিরিজ। শুরুটা ভালো করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আজ (শনিবার) ঠিক সেটাই হয়েছে। আশা করি এই পারফরম্যান্স আমরা ধরে রাখতে পারব।'

মাশরাফি বলেন, 'আমরা জানতাম, শুরুতে ভালো বোলিং করলে এখানে ২৮০ রান তাড়া করা কঠিন। আমাদের চাওয়া ছিল গেইল ও লুইসকে দ্রুত ফেরানো। সেটি হয়েছে। এরপর আমরা চাপটা ধরে রেখেছি।'

তামিম-সাকিবের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং মুশফিকের ছোট্ট কিন্তু কার্যকরী ইনিংসেও প্রশংসা করেছেন মাশরাফি। বলেছেন, 'শুরুতে ব্যাটিং চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু তামিম ও সাকিব দারুণ ব্যাট করেছে। সুরটা বেধে দিয়েছে। শেষে মুশির ছোট্ট ইনিংসটি ছিল অসাধারণ।'

মাশরাফি নিজেও বল হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন। লাইন-লেংথ ছিল দুর্দান্ত। কাটার ও গতি বৈচিত্রে ক্যারিবিয়ানদের নাস্তানাবুদ করে শিকার করেছেন ৪ উইকেট।

 

আরো পড়ুন : এমন ভুল!

স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ হওয়ার পরই যখন সাজঘরে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়, তখন হতাশায় ডুবে গিয়েছিল টাইগার সমর্থকরা। টেস্টের মতোই কী হাল হবে বাংলাদেশের? না, তেমনটা হতে দেননি তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দুইপ্রান্ত আগলে রেখে দেখে-শুনে চালিয়েছেন ব্যাট, যার ফল ২০৭ রানের অনবদ্য জুটি। এটি ওয়ানডেতে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। তবে সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দুরে থাকতেই আফসোস নিয়ে বিদায় নেন সাকিব। ক্রিজে আসেন সাব্বির। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাত্র তিন রান করেই সাজঘরে ফিরতে হলো তাকে, তাও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে!

৪৭ ওভারের খেলা চলছিল। ক্রিজে ছিলেন সাব্বির। ওভারের তৃতীয় বলটি করতে দৌড়ে এসেছিলেন দেবেন্দ্র বিশু। একটু এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু মিস করেন। ব্যাটে-বলে হলো না। বল চলে যায় উইকেটের পেছনে উইকেটরক্ষক সাই হোপের হাতে।

দ্রুত স্ট্যাম্প ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক। আবেদন উঠতেই নন স্ট্রাইকে থাকা আম্পায়ার উইলসন আঙ্গুল তুলে দিলেন। সাব্বির কিছু না বুঝেই সোজা হাঁটা ধরলেন। রিভিউ নিলেও হয়তো বেঁচে যেতেন তিনি। কিন্তু রিভিউ না নিয়ে চলে গেলেন ড্রেসিংরুমে।

পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, সাব্বির আউট ছিলেন না। যখন স্ট্যাম্প ভাঙা হচ্ছিল, তখন তার পা ছিল উইকেটের ওপরই। অথচ, আম্পায়ারের ভুলে উইকেট দিয়ে আসতে হলো সাব্বিরকে।

যদি কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ না জিতত তাহলে এই ভুলের জন্যই আফসোস করতে হতো বাংলাদেশকে।


আরো সংবাদ



premium cement