২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দীর্ঘ সফরের পর জ্যামাইকায় পৌঁছালেন মাশরাফি

মাশরাফি
অনুশীলনে মাশরাফি মর্তুজা (ফাইল ফটো), ছবি- - সংগৃহীত

দুই দিনের দীর্ঘ সফরের পর জ্যামাইকায় পৌঁছালেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় গিয়ে জ্যামাইকায় পৌঁছান তিনি। সেখানে গিয়ে দলের সাথে যোগ দিয়েছেন।

গত ১৬ জুলাই রাত ১টা ৪০ মিনিটে জ্যামাইকার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন মাশরাফি। বাংলাদেশ থেকে জ্যামাইকায় যাওয়ার সরাসরি বিমান নেই। যেতে হয় ভেঙে ভেঙে। ঢাকা থেকে দুবাই। এরপর ইতালির মিলান। সেখান থেকে নিউইয়র্ক। নিউইয়র্ক থেকে অবশেষে জ্যামাইকায়।

দীর্ঘ এই সফরের পর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত মাশরাফি। তাই খেলতে পারবেন না প্রস্তুতি ম্যাচ।

ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভাইস চ্যান্সেলর একাদশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

 

আরো পড়ুন : ওয়ানডে প্রস্তুতি ম্যাচ আজ মাশরাফিদের

জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। ছয় মাস হতে চলল। এ কালচার থেকে খানিকটা দূরেই ছিল মাশরাফিরা। হোম সিরিজের পর শ্রীলঙ্কায় টি-২০ সিরিজ। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ওই টি-২০ সিরিজই খেলেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজে এসে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ করে এবার মনোযোগ ওয়ানডেতে। ক’দিন ধরেই সাদা বলে অনুশীলনটা করে বেড়াচ্ছে টিম বাংলাদেশ। উদ্দেশ ওয়ানডেতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা। বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে ওয়ানডেতেই ভালো খেলে এ মুহূর্তে। ফলে এ ভার্সনই এখন ভরসা। টি-২০ ও টেস্টের ব্যর্থতা কি ঘুচিয়ে দিতে পারবেন মাশরাফিরা?

ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাথেলর একাদশের বিপক্ষে এ প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে এ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে উইকেটের চরিত্রটা সেভাবে বুঝতে পারবে বলে মনে হয় না। যদি সেটাই হতো তাহলে টেস্ট সিরিজের আগে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সটাও কাজে লাগতো! আসলে এগুলো নির্ভর করছে ক্রিকেটারদের মনমানসিকতার ওপর। কিভাবে তারা সিরিজটা নিচ্ছেন সেটাই দেখার বিষয়। তবে ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলারেরা এখানে ফ্যাক্টর, এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। টেস্টে যেমন আগুন ঝড়িয়েছে, ওয়ানডেতেও যে ছেড়ে কথা বলবেন তারা সেটা নয়। এটাই দুশ্চিন্তার কারণ। ব্যাটসম্যানদের অবস্থা মোটেও ভালো না। কন্ডিশন ও ফাস্ট বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না। ওয়ানডেতে কী হয় সেটা আগাম বলা মুশকিল। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা ভালোই ধরে ফেলেছে স্বাগতিকেরা। আরেকটা সাউথ আফ্রিকা সফরের রেজাল্টের অপেক্ষা করছে কি না সেটাই এখন দুশ্চিন্তার মূল কারণ।

ইতোমধ্যে দলেও পরিবর্তন এসেছে। ওয়ানডে স্কোয়াডে পরিবর্তন আছে। দলে ফিরেছেন মুস্তাফিজও। মাশরাফি তো এ ভার্সনের অধিনায়ক। সব মিলিয়ে আশার কথা এখানেই। কিন্তু আবার কন্ডিশন বুঝতে বুঝতে সময় চলে যায় কি না সেটাই টেনশন। বিশেষ করে আফগানদের বিপক্ষে দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর দলের ক্রিকেটারদের ওপর ভরসা করা যাচ্ছে না। কী করবেন তারা সেটা মাঠের পারফরম্যান্স না দেখে আগাম বলা মুশকিল। প্র্যাকটিস ম্যাচে অনেক কিছুই ধরাবাঁধা থাকে না। দলের সবাইকে দিয়েই ব্যাটিং করানো হয়। আবার বোলাররাও লাইন দিয়ে সবাই বোলিং করেন। ফলে এটাতে ভালো মন্দটা ঠিকভাবে ঠাহর করা মুশকিল।

২০০৯ সালে এ দলটির বিপক্ষে একটি ওয়ানডে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল টিম বাংলাদেশ। যে ম্যাচে বাংলাদেশ দল জিতেছিল ১৬ রানে। প্রথম ব্যাটিং করে মুশফিকুর রহীমের অপরাজিত ৮২ রানের সুবাদে ১৬৭/৬ রান করেছিল বাংলাদেশ নির্ধারিত ২৫ ওভারে। জবাবে প্রতিপক্ষরা নির্ধারিত ওভারে ১৫১ করতে সক্ষম হয়েছিল ৮ উইকেটে। সে দলের মুশফিক ছাড়া আর রয়েছেন তামিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নাঈম ইসলাম তিনটি, এ ছাড়া মাহমুদুল্লাহ ও রাজ্জাক নিয়েছিলেন একটি করে উইকেট।

 

আরো পড়ুন : জিম্বাবুয়ের ৬৭ রানের ‘লজ্জা’

বুলাওয়েতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে রীতিমতো উড়ে গেছে হ্যামিলটন মাসাকাদজার দল। আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের মাঝ পথেই মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয়েছে তারা। জবাবে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ের ফলে পাঁচ সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিলো সফরকারীরা।

এই ম্যাচে দলের সেরা দুই পেসার মোহাম্মাদ আমির ও হাসান আলীকে বিশ্রামে রেখেছিলো পাকিস্তান। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি জিম্বাবুয়ের। ৬৭ রানে অলআউটের মাধ্যমে জিম্বাবুয়ে পেল নিজেদের ষষ্ঠ সর্বনিম্ন রানের লজ্জা। অর্থাৎ এরচেয়ে কম রানে ওয়ানডে ইনিংস শেষ করার পাঁচটি ঘটনা রয়েছে তাদের। ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের লজ্জাটিও জিম্ববুয়ের দখলে। ২০০৪ সালে দেশের মাটিতেই তারা ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিলো শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।

বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে দলীয় প্রথম রানেই হারায় ওপেনার প্রিন্স মাসভারকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও চিবাবার ১৭ রানের জুটিই ছিলো দলের সবচেয়ে বড় জুটি। এই জুটি ভেঙেই ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করেন অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। জিম্বাবুয়ের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে পৌছতে পেরেছেন। চিবাবা সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন। ২৬ তম ওভারের প্রথম বলেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

ফাহিম ৮ ওভার এক বলে মাত্র ২২ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নিয়েছেন। ১১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়া জুনাইদ খান ৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছন।

ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার ইমাম উল হককে হারায় পাকিস্তান। কিন্তু এরপর আর কোন সুযোগ জিম্বাবুয়ের বোলারদের দেননি আরেক ওপেনার ফখর জামান। বাবর আজমকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফখর। ৬৯ রানের ইনিংসে একাই করেছেন ২৪ বলে ৪৩ রান। দশম ওভারেই জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।


আরো সংবাদ



premium cement
তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ : টিআইবি লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ উত্তর গাজায় আবারো ইসরাইলের গোলাবর্ষণ ধামরাইয়ে তাপদাহে জনজীবন কাহিল, ডায়রিয়াসহ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশী কেএনএফ সংশ্লিষ্টতা : ছাত্রলীগ নেতাসহ কারাগারে ৭ স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল রাজশাহীর পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক

সকল