২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ফখর জামানের সেঞ্চুরিতে একপেশে জয় পাকিস্তানের

১৪ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি ফখরের দ্বিতীয় শতক - ছবি : এএফপি

চলতি জিম্বাবুয়ে সফরে যেন রানের ফোয়ারা ছুটছে পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামানের ব্যাটে। অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ের সাথে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাঁচ ম্যাচে তার রান যথাক্রমে ৬১, ৬, ৪৭, ৭৩, ৯১। বলতে গেলে একাই পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন সিরিজে। এরপর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬০ রান করার পর মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে দলকে এনে দিয়েছেন সহজ জয়।

ফখর জামানের অপরাজিত ১১৭ রানে ভর করে পাকিস্তান সহজেই জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৯৫ রানের টার্গেটে পৌছেছে। ১৪ ওভার বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে ৯ উইকেটে। এর ফলে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

বুলাওয়েতে এদিন ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইমাম উল হকের সাথে ফখর জামানের উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত্তি পায় পাকিস্তান। দলীয় ১১৯ রানে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইমাম উল হক ফিরে যাওয়ার পর বাবর জামানকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সাড়েন ফখর। ৪৪ রান করে রানআউটের শিকার ইমাম।

১৪ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি ফখরের দ্বিতীয় শতক। প্রথম শতকটি পেয়েছিলেন গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারের ম্যাচে ১২৯ বলের ইনিংসে ছিলো ১৬টি চার। বাবর আজম অপরাজিত ছিলেন ২৯ রানে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি পেসারদের তোপের মুখে পরে জিম্বাবুয়ে। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দারুণ ফুরফুরে মেজাজেই আছে পাকিস্তান। আর সেই ধকলটা যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের ওপর দিয়ে। স্বাগতিকদের ১৯৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি পেসাররা।

পাকিস্তানি পেস অ্যাটাকের নেতা মোহাম্মাদ আমিরকে খুব সাবধানে খেলেছেন এদিন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। ফলও পেয়েছে তারা, আমিরকে উইকেটশূন্য রেখেছে। কিন্তু আরেক নতুন প্রতিভা ওসমান খানকে সামলাতে পারেনি হ্যামিলটন মাসাকাদজার দল। মাত্রই ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বামহাতি পেসার ওসমান খান ৩৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। আরেক পেসার হাসান আলী ৩২ রানে নিয়েছন ৩ উইকেট।১৮ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইনিংস মেরামতের কাজ করতে শুরু করেছিলেন অধিনায়ক মাসাকাদজা। তাকে ভালোই সহযোগিতা করেছেন মুসাকান্দা ও পিটার মুর। কিন্তু দলীয় ৮০ রানে মুসাকান্দা(২৪) ও ১০৫ রানের সময় মাসাকাদজা ফিরে যাওয়ার পর আর কেউ খুব বেশি টিকতে পারেননি। মাসাকাদজা দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন। পিটার মুর করেন ৫০ রান। শেষ ওভারে অলআউট হয়ে তাদের ইনিংস শেষ হয়েছে ১৯৪ রানে। তবে এই রান যথেষ্ট ছিলো না সরফরাজ বাহিনীকে ঠেকাতে।


আরো সংবাদ



premium cement