জিম্বাবুয়েকে গুড়িয়ে দিল পাকিস্তানি পেসাররা
- ১৬ জুলাই ২০১৮, ১৭:২৫
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দারুণ ফুরফুরে মেজাজেই আছে পাকিস্তান। আর সেই ধকলটা যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের ওপর দিয়ে। মঙ্গলবার বুলাওয়েতে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের ১৯৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি পেসাররা।
পাকিস্তানি পেস অ্যাটাকের নেতা মোহাম্মাদ আমিরকে খুব সাবধানে খেলেছেন এদিন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। ফলও পেয়েছে তারা, আমিরকে উইকেটশূন্য রেখেছে। কিন্তু আরেক নতুন প্রতিভা ওসমান খানকে সামলাতে পারেনি হ্যামিলটন মাসাকাদজার দল। মাত্রই ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বামহাতি পেসার ওসমান খান ৩৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। আরেক পেসার হাসান আলী ৩২ রানে নিয়েছন ৩ উইকেট।
১৮ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইনিংস মেরামতের কাজ করতে শুরু করেছিলেন অধিনায়ক মাসাকাদজা। তাকে ভালোই সহযোগিতা করেছেন মুসাকান্দা ও পিটার মুর। কিন্তু দলীয় ৮০ রানে মুসাকান্দা(২৪) ও ১০৫ রানের সময় মাসাকাদজা ফিরে যাওয়ার পর আর কেউ খুব বেশি টিকতে পারেননি। মাসাকাদজা দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন। পিটার মুর করেন ৫০ রান। শেষ ওভারে অলআউট হয়ে তাদের ইনিংস শেষ হয়েছে ১৯৪ রানে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোন উইকেট না হারিয়ে পাকিস্তানের দুই ওপেনার তুলেছে ৮৮ রান।
আরো পড়ুন :
বাংলাদেশে হারাতে অপকৌশলের আশ্রয় নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
ইএসপিএন
ক্রিকেট খেলার অপরিহার্য অঙ্গ হল বল। একটি বল খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে অনায়াসে। তারই কিছুটা বাস্তব প্রমাণ দেখা গেল বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট সিরিজে। এমনটাই বলছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে দুটি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের হতাশাজনক পারফর্মেন্সের পিছেনের কারণ খুঁজতে গিয়ে তিনি প্রথমেই বলের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
বল সাধারণত দুই ধরণের হয়। একটি ডিউক বল অপরটি কোকাবুরা বল। ডিউক বল দিয়ে খেলার কারণেই বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলতে পারেনি। কেননা ডিউক বল দিয়ে বাংলাদেশ সর্বশেষ ২০১৪ সালে ওয়েস্টি ইন্ডিজ সফরের সময় খেলেছিল। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা দেশে ও দেশের বাইরে সাধারণত কোকাবুরা বল দিয়ে খেলে থাকে। ডিউক বলগুলোর সিম কোকাবুরা বলের চেয়ে ভিন্ন ধরণের। এর ফলে পেস বোলাররা দীর্ঘ মেয়াদে এই বল থেকে বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে।
তামিম বলেন, দুই দলের মধ্যে একমাত্র ব্যবধান ছিল ডিউক বল, যা দিয়ে আমরা ৪ বছর পর খেলেছি। ডিউক ও কোকাবুরা বলের মধ্যে পার্থক্য হল ডিউক বলের সুইং ও সিম কোকাবুরা বলের চেয়ে বেশি। কিন্তু আমাদের দলের খারাপ খেলার পিছনে শুধুমাত্র ডিউক বল দায়ী নয়। আমার মনে হয় সমস্যাটা টেকনিক্যালের চেয়েও বেশি ছিল মানসিকতায়। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান একইভাবে আউট হয়েছে। আমরা সুইং আর বাউন্সের ব্যাপারে তৈরিও ছিলাম। কিন্তু যথাযথ কাজটি করতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমরা নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত ভিন্ন কন্ডিশনে খেলেছি। এই উইকেটে আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে হবে। আপনি প্রথমেই বড় শর্ট খেলতে পারেন না। কিন্তু আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে আমরা তাদেরকে ৬০-৭০ ওভার মাঠে ফিল্ডিং করাতে পারিনি। পেস বোলাররা পরপর ৫টি টেস্ট ম্যাট খেলেছে তারা মোটামোটি ক্লান্ত ছিল। যদি আমরা খেলাটকে দীর্ঘ করতে পারতাম তাহলে নিজেদের মত করে খেলতে পারতাম। এটা সবাই জানে যে টেস্ট খেলায় কিছু কঠিন মুহুর্ত আছে আবার কিছু সহজ সময়ও আসে। কঠিন সময়ের সুযোগগুলো প্রতিপক্ষকে দিতে নেই।
তবে বাংলাদেশি ব্যাটসমানদের খারাপ পারফর্মেন্সের কারণেই দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ লজ্জাজনকভাবে হেরে গেছে বলে মনে করেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি।
বাংলাদেশের সব ফরমেটের সেরা ব্যাটসম্যাট তামিম ইকবাল বলেন, এখানে যা ঘটেছে তার ব্যাখ্যা করার কিছুই নেই। আমরা আমাদের ব্যাটিং লাইনকেই দোষারোপ করব। যদিও আমরা কঠিন উইকেটি খেলছি কিন্তু না খেলার মতো কিছু ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাদের অসাধারণ কিছু ডেলিভারি ছিল কিন্তু সেগুলো সামলিয়ে ২০০ রানের বেশি ইনিংস খেলা খুব কঠিন কিছু ছিল না।
তামিম নিজের পারফর্মেন্স নিয়ে বলেন, আমি একজন সিনিয়র খেলোয়াড় যার কাছ থেকে সবাই বেশি রান আশা করে। খুব দ্রুতই নিজের খেলার মানকে আরো উন্নত করা উচিত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা