১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একাই দ. আফ্রিকাকে ধসিয়ে দিলেন পেরারা, লঙ্কনদের বিশাল জয়

ক্রিকেট
দিলরুয়ান পেরারা - সংগৃহীত

গল টেস্টে বিশাল ব্যবধানে জিতলো শ্রীলঙ্কা। দিলরুয়ান পেরারার বোলিং তাণ্ডবে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭৮ রানে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ছয় উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এছাড়া তিন উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন রঙ্গনা হেরাথ। এই দুই লঙ্কান বোলারের তাণ্ডবে ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুনা রত্নের ১৫৮ রানের ঝলমলে ইনিংসের সুবাদে ২৮৭ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় লঙ্কানদের। তিনি ছাড়া আর কেউ ব্যাট হাতে তেমন ভালো করতে পারেননি।

রাবাদা একাই চারটি ও তাবরেজ শামি তিনটি উইকেট শিকার করে লঙ্কান শিবিরে ত্রাস সৃষ্টি করে।

পরে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান বোলারদের তাণ্ডবে ১২৬ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। পেরারা শিকার করেন চারটি উইকেট আর লাকমল তিনটি। দুটি নেন হেরাথ।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। কেশব মহারাজ ও রাবাদার আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নেমে পেরারা ও হেরাথের বোলিং তাণ্ডবে ৭৩ রানে গুটিয়ে যায়। ২৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে প্রোটিয়ারা।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন ১০ উইকেট শিকার করা দিলরুয়ান পেরারা।

 

আরো পড়ুন : ওয়ান ডে সিরিজ খেলবেন না মাশরাফি!

আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে খেলতে নাও পারেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। ২২ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওই সিরিজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনি সম্ভবত ওই সফরে যাবেন না। বাংলাদেশের নির্বাচকরা অবশ্য শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে ক্রিকেটের সুপরিচিত ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফো জানিয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাত্রা করবে।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেন, ওডিআই সিরিজে মাশরাফির সম্পৃক্ততা সন্দেহের মধ্যে আছে। গত রাতে আমি তার সাথে কথা বলেছি। তার স্ত্রী সত্যিই অসুস্থ। আমার মনে হচ্ছে না যে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেতে সক্ষম হবেন।
তবে স্ত্রীর অবস্থা উন্নতি হলে মাশরাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতেও পারেন। তবে তিনি যদি না যেতে পারেন, তবে সাকিব আল হাসান ওডিআই সিরিজে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন।

এদিকে মঙ্গলবারের ট্রেনিং সেশনের সময় থেকে অ্যাঙ্কল ইনজুরিতে পড়েছেন সাইফুল ইসলাম। ফলে তাকে দ্বিতীয় টেস্টে সম্ভবত খেলানো যাবে না। বৃহস্পতিবার জ্যামাইকাতে ওই টেস্ট শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ দলে মাত্র চারজন ফাস্ট বোলার আছেন। তার মানে হচ্ছে, তারা পেস অ্যাটাকে কোনো পরিবর্তন আনতে পারছেন না। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ইনিংসের ব্যবধানে হেরেছিল।

 

আরো পড়ুন : কেন টি-২০তে সেরা পাকিস্তান?

টি-২০তে একের পর এক ম্যাচ জিতে এই ফরমেটে এখন সেরা পাকিস্তান। সর্বশেষ রোববার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে তারা। গত কয়েক বছর ধরেই টি-২০তে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করছে পাকিস্তান। কী এর রহস্য?

গত দুই বছরে টি-২০তে ২৬ ম্যাচের ২২টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, যা টি-২০ ফরমেটে জয়ের রেকর্ড।

এর আগে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে তারা ২৭ ম্যাচের ২১টিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে। হেরেছে মাত্র পাঁচটিতে। এরপর ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত তাদের পারফরমেন্স তেমন ভালো ছিল না। কিন্তু শেষ দুই বছর তাদের পারফরমেন্স অসাধারণ ছিল।

এই সময় বল হাতে তাদের বোলারা আগুন ঝরিয়েছেন। প্রতি ওভারে গড়ে তারা দিয়েছেন সাত রান। অথচ অন্য দলগুলো এক ওভারে দিয়েছে আট বা তার চেয়েও বেশি রান। এছাড়া পাকিস্তানী বোলাররা উইকেটও শিকার করেছেন দ্রুত। তাদের গড় ১৮.৩৯, যা অন্যদের তুলনায় সেরা। শুধু তা-ই নয়, এই দুই বছর তাদের রান রেট ও ইকোনমি রেটও ছিল প্রায় একই রকম।

এছাড়া প্রথম দিকে পেসারদের আক্রমণের দিক দিয়ে সেরা পাকিস্তান। রান রেট ও ইকোনমি রেট বিবেচনা করে দেখা গেছে, পেস বিভাগে সবচেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান। মিডল ওভারেও তারা চমৎকার বোলিং করেছে।

প্রথম ছয় ওভারে পাকিস্তান গড়ে ৬.৫ করে রান দিয়েছে। এর পরেই আছে ভারত। তারা ওভার প্রতি রান দিয়েছে ৭.৯৪ করে।

আর পাওয়ার প্লেতে সেরা পাকিস্তানই। তারা গত দুই বছর বল হাতে আুগন ঝরিয়েছেন। রান দেয়ার বেলায় কিপ্টেমি করার পাশাপাশি উইকেটও শিকার করেছেন।

মিডল ওভারে পাকিস্তানি বোলাররা আরো দুর্দান্ত। পাকিস্তানের পাঁচ বোলার এই সময় শতাধিক বল করেছে। তাদের ইকোনমি রেট এবং উইকেটের সংখ্যা দেখলে বোঝা যায় বল হাতে কতটা তাণ্ডব চালিয়েছেন তারা। এই তালিকায় সেরা সাদাব খান। ২৮টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে তার চেয়ে বেশি উইকেট আর কেউ শিকার করেনি।

টি-২০ ফরমেটে সেরা হওয়ার পেছনে পাকিস্তানের পেসার এবং স্পিনারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। গত দুই বছরে তাদের ফাস্ট বোলারদের ইকোনমি রেট সবচেয়ে দুর্দান্ত। দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। তবে স্পিনে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে তারা।

মোট কথা, টি-২০ ফরমেটে পাকিস্তানের সফলতার পেছনে আছে বোলাররা। তারাই প্রতিপক্ষ শিবিরে ত্রাস ছড়িয়ে রেখেছেন। বল হাতে তারা ক্রিজে আসা মানেই উইকেট ঝুলিতে পুরে নেয়া। তাই টি-২০তে এখন ছড়ি ঘুরাচ্ছেন তারাই।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
নাটোর পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত কাঁঠালিয়ায় মাঠে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরে মৃত্যু সালমান খানের বাড়িতে গুলির ঘটনায় গ্রেফতার ২ আরো দুই সদস্য বাড়িয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন রাবির নতুন জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে অপরাধ না করেও আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানোৎসবে নেমে শিশুর মৃত্যু ধূমপান করতে নিষেধ করায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বড় বোনের বৌভাতের গিয়ে দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত কোটালীপাড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত চুয়াডাঙ্গা দর্শনায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

সকল