১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টি-২০ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের মেয়েরা

টি-২০ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের মেয়েরা - ছবি : সংগৃহীত

নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আইসিসি মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে গতকাল স্কটল্যান্ডকে ৪৯ রানে হারিয়ে ওই যোগ্যতা অর্জন করেন তারা। গতকাল ম্যাচটি ছিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। অর্থাৎ বাছাইপর্বের যে দুই দল ফাইনালে উঠবে তারাই খেলবে বিশ্বকাপে। কাল প্রথম সেমিতে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছে। একই সাথে দুই দল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা পেল। 

নেদারল্যান্ডসের আমস্টিনভিলে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করে ১২৫ রান করেছিল ৬ উইকেটে। নিগার সুলতানার অপরাজিত ৩১, শামীমা সুলতানার ২২, আয়শা রহমানের ২০ রানের ওপর ভর করে ওই রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচে সূচনা ভালো হয় তাদের। প্রথম চার ওভারে ২৭ রান নেন শামীমা ও আয়েশা। পরে শেষ ১০ ওভারে নিগার দায়িত্ব নিয়ে খেলে ওই পর্যায়ে নিয়ে যান। দলের ১০ ওভারে ৬৪ রান ছিল বাংলাদেশের। 

এরপর খেলতে নেমে স্কটিশ মেয়েরা সুবিধা করতে পারেননি। ওপেনার সারা একাই যা লড়েছেন। যার সাথে ছিলেন ক্যাথরিন। এ ছাড়া বাংলাদেশের বোলারের সামনে সবাই ছিলেন অনেকটা অসহায়। ফলে নির্ধারিত ওভারে ৭৬ রান সংগ্রহে সমর্থ হন তারা। সাত উইকেট হারিয়ে। সারা করেন ৩১ রান। এ ছাড়া ক্যাথরিনের ২১ রান ছিল ইনিংসের উল্লেখযোগ্য রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাহিদা ও রুমানা নেন দু’টি করে উইকেট। এ ছাড়া সালমা ও ফাহিমা নেন একটি করে উইকেট। এবার নিয়ে তিনবার টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন বাংলাদেশের মেয়েরা।

আরো পড়ুন :

কিংস্টনে এবার কী করবেন সাকিব তামিমরা

কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। কী হবে, কী হতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপের তুমুল উত্তেজনার মধ্যেও বাংলাদেশের ক্রিকেটের খবর নিতে ভুলছেন না কেউ। প্রথম টেস্টে চরম ব্যর্থতার পরই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের ঘিরে কৌতূহল বেড়ে গেছে। এমনিতেই ক্যারিবিয়ান উইকেট নিয়ে চিন্তা ছিল। তাই বলে বাংলাদেশ তাদের ইতিহাসের সর্বনি¤œ স্কোর করে লজ্জায় ডুবাবে দেশকে সেটা কে জানত! প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানে অলআউট হয়ে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল তারা। তাই বলে ক্যারিবিয়ান উইকেটে রান করা যায় না এটা কিন্তু মেনে নেয়ার মতোই নয়। প্রস্তুতি ম্যাচেও সেঞ্চুরি ছিল তামিম ও মাহমুদুল্লাহর। চার শতাধিক রানও তুলেছিলেন। সম্ভব না হলে সেখানে কিভাবে হলো। তবে উইকেট-ভেদে আছে রকমভেদ। এ জন্যই স্যাবাইনা পার্কের উইকেট নিয়েও কৌতূহলের অন্ত নেই। তবে উইকেট যেমনই হোক না কেন রান করতে হলে উইকেটে থেকে পরিশ্রম করতে হবে। টি-২০ বা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে রানের বন্য বইয়ে দেয়ার উইকেট পাবে না বাংলাদেশ এটা নিশ্চিত। ব্যাট হাতে যে ধৈর্যের ঘাটতি আছে সেটা জেনেই উইকেট সেভাবেই প্রস্তুত রেখেছে, যেখানে নেমেই ডুবেছে টিম বাংলাদেশ। 

আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য একটু রিল্যাক্স হতে পারেন কেমার রোচ। দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে বোলিং করেননি। কিন্তু প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দেয়ার পেছনে তারই ছিল বিধ্বংসী বোলিং। পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে আরেক ফাস্ট বোলার গ্যাব্রিয়েল ডুবিয়েছেন। এ ম্যাচে রোচ খেলছেন না। তার স্থানে যিনি খেলবেন তাকে নিয়েও চিন্তার কমতি নেই। আলজারি যোশেফ। তরুণ এ বোলারকে নিয়ে সূচনা থেকেই চিন্তা ছিল। ইনজুরি থেকে ফিরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন প্রস্তুতি ম্যাচ। সেখানে চার উইকেট নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের টপ অর্ডারদের উইকেটগুলোই নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম টেস্টে বিবেচনায় থাকেননি। চান্স পেয়ে গেলেন রোচের অবর্তমানে। ফলে গ্যাব্রিয়েল ও যোশেফের বোলিং নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে। তবে স্যাবাইনা পার্কের উইকেটে স্পিনও কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিগত কয়েকটি টেস্ট তা-ই বলে দিচ্ছে। সেটা হলে সাকিব হয়তো খুশি হবেন। রানও ওঠে। বাংলাদেশ দায়িত্ব নিয়ে খেললে অন্তত লজ্জায় ডুবতে হবে না প্রথম টেস্টের মতো। উইকেটের ধরন বলছে বাংলাদেশ দল ইচ্ছা করলে ভালোও করতে পারে। সুযোগও আছে। প্রথম টেস্টের ব্যর্থতা হয়তো ঘুচিয়ে দেয়া সম্ভব হবে না। রেকর্ডের পাতায় উঠে গেছে সব। তবু সম্মান কিছুটা হলেও ফেরানোর সুযোগ এটা। প্রথম টেস্টের পর থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তামিম, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, লিটন, মুশফিকরা। তার প্রতিফলন দেখা যাবে। বাংলাদেশ দলে কোনো পরিবর্তন আছে কি না সেটা এ রিপোর্ট লেখাকালীন পর্যন্ত কোনো খবর মেলেনি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরেছেন যোশেফ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জন্য টেস্টম্যাচটা চ্যালেঞ্জেরও। অধিনায়কের দায়িত্ব ফিরে পেয়ে হোমে খেলতেই পারলেন না ইনজুরির জন্য। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজে এসে প্রথম ম্যাচে সব লজ্জাজনক ঘটনা। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের জন্য এটা বিব্রতকরও বটে। দলে যারা রয়েছেন তারা সবাই অভিজ্ঞ। কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে সেটা বোঝানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। 

তবু হেড কোচ স্টিভ রোডসের প্রথম টেস্টেও অভিজ্ঞতা খুব বাজেই হলো। এতে তার কিছু করারই নেই। দলের সাথে যোগ দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরতে হয়েছে। এতে করে তিনি ভালোভাবে আলাপই করতে পারেননি ক্রিকেটারদের সাথে। তবে প্রথম ম্যাচের পর কিছুটা পরামর্শ তো থাকবেই। সব মিলিয়ে সম্মানজনক কিছু করতে পারলেই হলো এ টেস্টে। ক্রিকেটাররাও প্রথম টেস্টের অভিজ্ঞতা থেকে ভালো কিছু করার দৃঢ়তা দেখাচ্ছেন। আজ রাত ৮টায় শুরু হবে খেলা।


আরো সংবাদ



premium cement