২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খেলোয়াড়দের সাপোর্ট করেন, গালি দিয়েন না...

তাসকিন, ক্রিকেট
অনুশীলনে সাকিব-তাসকিন ও মোস্তাফিজ - সংগৃহীত

তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজটি জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচেও শোচনীয় পরাজয় হয় বাংলাদেশের। এ হার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা। ক্ষুদ্ধ হয়ে কেউ কেউ খেলোয়াড়দের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করছেন। এমনটা না করতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ অনুরোধ করেছেন। বর্তমানে ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে আছেন তিনি।

ফেসবুকে তাসকিন বলেছেন, 'সাপোর্ট করেন ভাই। গাইল দিয়েন না। নিজের দেশের মানুষই তো। দেখতে খারাপ লাগে। খারাপ হতেই পারে। ইচ্ছা করে তো আর খারাপ করতেছে না। আজকে হচ্ছে না কাল হবে। নিজের চিন্তাভাবনা থেকে একটু বাইরে এসে চিন্তা করেন। জিনিসগুলো সহজ হবে।'

আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে। অন্তত এ ম্যাচটি জিতে শেষটা ভালো করবে সাকিবরা- এমনটা আশা করতেই পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

 

আরো পড়ুন : বাংলাদেশকে লজ্জা দিয়ে সিরিজ আফগানদের

সিরিজটাও হারল বাংলাদেশ। র‌্যাংকিংয়ের ওপরে থাকা আফগানদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকল না। বরং বাংলাদেশ প্রমাণ করে দিলো টি-২০ ক্রিকেটে এখনো তারা সেই ব্যাক বেঞ্চেই। নতুবা টানা দুই ম্যাচে একই পারফরম্যান্স হয় কী করে। প্রথম ম্যাচেও ১৬৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ১২২ রানে অলআউট। কালও দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করে ১৩৪/৮ এর গুটিয়ে যায় তারা। ব্যাটসম্যানদের এ নিদারুণ ব্যর্থতায় বোলারদের আর করার ছিল না কিছুই। টি-২০ ক্রিকেটের যুগে প্রথম ব্যাটিং করলে ১৮০ প্লাস রান করার যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ তা এখনো পারছে না।

এ ম্যাচেও আফগান স্পিনার রশীদ খান তার যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। চার উইকেট নিয়েছেন তিনি ১২ রানের বিনিময়ে। মূলত রশীদের ওই অ্যাটাকিং বোলিংয়ের বিপক্ষে কিছুই করার ছিল না বাংলাদেশের। খেলতেই পারছিলেন না তারা রশীদকে। খেলার ১৬তম ওভারেই ঘটেছিল বড় ঘটনা। হ্যাটট্রিকও হতে পারত। প্রথম বলে উইকেট প্রাপ্তির পর গ্যাপ দিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম বলেও নেন উইকেট। সাকিব, তামিম ও মোসাদ্দেকের মতো ব্যাটসম্যানদের নেন তিনি ওই ওভারে। সেখানেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের সব প্রতিরোধ। এরপর হ্যাটট্রিক হতে দেয়নি আবু হায়দার রনি। এরপর নিজের শেষ ওভারে সৌম্য সরকারকেও তুলে নেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলের একজন ব্যাটসম্যানও খেলতে পারেননি দায়িত্ব নিয়ে। তামিম এ ম্যাচে কিছুক্ষণ লড়েছেন। কিন্তু ড্যাসিং ব্যাটিংটা আর হয়নি তার। ৪৮ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৪৩। এ ছাড়া মুশফিকের ২২ রান উল্লেখযোগ্য। ব্যাটিং অর্ডারে হেরফের করা হয়। সাকিব সৌম্য নামেন পরে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।

১৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আফগানরা সহজেই পৌঁছে যায় সাত বল হাতে রেখে। সাকিবের প্রত্যাশা ছিল অন্তত একটি উইকেট। তা হলে একটা অর্জন তার হয়ে যেত। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন উইকেট লাভে। এখন শেষ ম্যাচ পানে তাকিয়ে থাকতে হবে তাকে। ওয়ান ডাউনে নামা আফগান ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ সেনওয়ারী দায়িত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের লক্ষ্যে। ৪১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তিন ছক্কা আছে তাতে। এ ছাড়া মোহাম্মাদ নবির অপরাজিত ১৫ বলে করা ৩১ ও মোহাম্মাদ শাহজাদের ১৮ বলে করা ২৪ রান ছিল উল্লেখযোগ্য। মোসাদ্দেক নেন দুই উইকেট। এ ছাড়া রুবেল ও রনি নেন একটি করে উইকেট। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান রশীদ খান। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল আফগানরা।


আরো সংবাদ



premium cement