২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ

-

দেশে পঞ্চমবারের মতো শুরু হয়েছে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৯ প্রতিযোগিতা। গত শনিবার সকালে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতা টানা রোববার পর্যন্ত চলে। সেখান থেকেই বাছাই হয় সেরা প্রকল্পগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৭৩টি শহরে শুরু করেছে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা। দেশে প্রতিযোগিতাটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বেসিস। দেশের ৯টি শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লায় আঞ্চলিক আয়োজন করে।
প্রাথমিক বাছাইয়ে ৯টি শহর থেকে চার হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে শীর্ষ ৪৫টি প্রকল্প নিয়ে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবিতে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৯ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, গত বছর বাংলাদেশকে মোট ৯টি জোনে বিভক্ত করে দুই হাজারেরও বেশি আবেদন পাই। তার মধ্য থেকে ৪০টি প্রকল্প হ্যাকথনের জন্য মনোনীত করা হয়।
আট প্রকল্প নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো এক হাজার ৩৯৫টি দলকে হারিয়ে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। তিনি জানান, বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে শীর্ষ চারে স্থান করে নেয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের দলকে হারিয়ে গত বছর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের দল ‘টিম অলিক’। এ বছর নাসার আমন্ত্রণে টিম অলিক গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নদের জন্য আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। পাশাপাশি এবার ৯টি শহর থেকে ১৮টি দলকে নাসার জন্য মনোনীত করা হবে।
এবার আমরা আরো ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত। প্রতিযোগিতার উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান বলেন, মহাকাশের বিভিন্ন সমস্যার বাইরে জলবায়ু, চাঁদ, অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রসহ পাঁচ ক্যাটাগরির অধীনে মোট ২১টি সাব-ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাটাগরি ভিত্তিক এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করবে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা। এবার বেসিসের আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম। এ ছাড়া পার্টনার রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনস্থ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্প, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবি।


আরো সংবাদ



premium cement