শ্রীলঙ্কায় আবার সোস্যাল মিডিয়া বন্ধ
- ১৬ মে ২০১৯, ০০:০০
শ্রীলঙ্কার পশ্চিম উপকূলের খ্রিষ্টান অধ্যুষিত চিলাউ শহরে একটি মসজিদ, মুসলিম মালিকানাধীন একটি দোকান এবং একজন মুসলিমের ওপর হামলা করা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত রোববার একটি মোটরবাইক গ্যাংসহ প্রায় অর্ধশত মানুষ মসজিদ ও দোকানে পাথর ছোড়ে এবং ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি এক মুসলিমকে পিটিয়ে আহত করা হয়। দোকান মালিকের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রাত্রিকালীন কারফিউয়ের মধ্যেই এভাবে দোকান ও মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইস্টার সানডের দিনে সন্ত্রাসী হামলার পর শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকটি শহরে মুসলিমবিদ্বেষী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার থেকে দেশটিতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মেসেজিং ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আবদুল হামিদ মোহাম্মদ হাশমার (৩৮) নামে ওই পোস্টদাতাকে আটক করা হয়েছে। ফেসবুকে তার পোস্টটি ছিল, ‘বেশি হেসো না, একদিন তোমাকে কাঁদতে হবে’। স্থানীয় খ্রিষ্টানরা এ বক্তব্যকে হুমকি মনে করে উত্তেজিত হয়ে হামলা করে। এ কারণেই সম্ভাব্য সহিংসতা ঠেকাতে আগাম সতর্কতা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাময়িক ব্লক করা হয়েছে।
গত মাসে শ্রীলঙ্কায় চারটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। পরে এ হামলার দায় স্বীকার করে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএস। ঘটনার পর ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটির সংখ্যালঘু মুসলিমরা পাল্টা আক্রমণের আতঙ্কে ভুগছেন। নানা স্থানেই হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এক সপ্তাহ পরেই খ্রিষ্টান অধ্যুষিত নেগোম্বোতে সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন আহত হন। ইস্টার সানডের হামলায় এ শহরের গির্জা ছিল অন্যতম লক্ষ্য।
শ্রীলঙ্কা সরকারের তথ্য বিভাগের মহাপরিচালক নালাকা কালুয়েওয়া জানিয়েছেন, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাময়িকভাবে ব্লক করা হয়েছে।
স আহমেদ ইফতেখার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা