২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

চীনে জনপ্রিয় হয়েছে মোবাইল পেমেন্ট সেবা

-

ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার হ্রাস, ই-কমার্সের সম্প্রসারণ ও ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে ভর করে চীনে মোবাইল পেমেন্ট সেবার বাজারের আকার দিন দিন বড় হচ্ছে। বর্তমানে চীনে মোবাইল পেমেন্ট সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৫০। আলিপে ও উইচ্যাট পে দেশটিতে জনপ্রিয় দুটি মোবাইল সেবা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের শহরাঞ্চলের ৯৮ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী তাদের ডিভাইসের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভানের মতে, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশটিতে মোবাইল পেমেন্ট বাজারের আকার ৯৬ লাখ ৭৩ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে, যা ২০১৭ সালে ছিল ২৯ লাখ ৯৩ হাজার কোটি ডলার। চীনে এ খাতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হবে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ হারে।
চীনের শহরাঞ্চলে এখন স্মার্টফোন ও কিউআর কোডের মাধ্যমে কেনাকাটা সাধারণ ঘটনা। ক্যাশলেস বা নগদ অর্থ ব্যবহার হয় না এমন ব্যবস্থায় লেনদেন খরচ কমে আসাসহ নানা সুবিধা আছে। এ কারণে দেশটির অনেক পণ্য বিক্রেতা নগদ অর্থ লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে দেশটিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করা জাল নোট সংক্রান্ত সমস্যা থেকেও কিছুটা মুক্তি মিলেছে। পাশাপাশি অর্থ মজুদ ও গচ্ছিত রাখার ঝামেলা কমেছে।
তবে ইলেকট্রনিক পেমেন্টের এ প্রসার দেশটিতে নতুন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল পেমেন্ট সেবায় অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলো নগদ অর্থ বা ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ না করায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বয়োবৃদ্ধ, বিদেশী পর্যটক ও প্রান্তিক অঞ্চলের বাসিন্দাদের, যারা এ ধরনের ব্যবস্থার সাথে পরিচিত নন বা ব্যবহারের সুযোগ পাননি।
মোবাইল পেমেন্টের এ উত্থান চীনা সমাজে বৈষম্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখনো দেশটির কিছু মানুষ নগদ লেনদেনকে অগ্রাধিকার দেন। আবার অনেকের কাছে নগদ ছাড়া কোনো বিকল্পও নেই। এতে দেশটিতে মোবাইল পেমেন্ট সেবা ব্যবহারকারী ও অব্যবহারকারী দুটো শ্রেণী তৈরি হয়েছে। দেশটির গ্রামাঞ্চলে এখনো অনেক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পায়নি, স্মার্টফোন তো দূরের কথা। ২০১৭ সালে দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৭৭ কোটি ২০ লাখ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ।
বয়োবৃদ্ধরাও আলিপে বা অন্যান্য পেমেন্ট অ্যাপ ব্যবহারে সমস্যার মুখে পড়ছেন। এ সমস্যার মধ্যেও বৈশ্বিক মোবাইল পেমেন্ট সেবার ক্ষেত্রে চীন নিজের অবস্থান অক্ষুণœ রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স আহমেদ ইফতেখার


আরো সংবাদ



premium cement