২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমস্যায় ফেসবুক, কারণ কী?

-

ফেসবুক তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ওয়েবসাইটটির বেশকিছু প্রধান সেবা ব্যবহারে সমস্যায় পড়েন ব্যবহারকারীরা। শেষবার ২০০৮ সালে এত বড় পরিসরে ব্যাঘাত ঘটেছিল ফেসবুকের কার্যক্রমে। তবে সেসময় প্রতিমাসে সাইট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি - যে সংখ্যাটি বর্তমানে প্রায় ২৩০ কোটি।

ফেসবুকের প্রধান পণ্যগুলো- যেমন দু'টি মেসেজিং অ্যাপ ও ছবি শেয়ার করার মাধ্যম ইন্সটাগ্রাম, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই বিপর্যয়ে। তবে এই বিপর্যয়ের কারণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। ফেসবুক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ফেসবুকের অ্যাপগুলো ব্যবহারে কিছু গ্রাহক সমস্যার মুখে পড়ছেন বলে আমরা অবগত হয়েছি। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। গুজবের জবাব না দিলেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে যে এই বিপর্যয় ‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস’ আক্রমণের কারণে হয়নি। ‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস’ একধরণের সাইবার আক্রমণ যেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি লক্ষ্যবস্তুতে (ওয়েবসাইট) একসাথে অত্যাধিক পরিমাণ ট্র্যাফিক বা ব্যবহারকারী প্রবেশ করানো হয়।

সমস্যাটি কতটা গুরুতর?
ধারণা করা হচ্ছে, বিপর্যয়টি শুরু হয় বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টা থেকে। ফেসবুকের মূলপাতা লোড হলেও ব্যবহারকারীরা কোনো পোস্ট করতে পারছিলেন না বলে জানান। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা নিউজ ফিড রিফ্রেশ করা বা ছবি পোস্ট করার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন। ফেসবুক মেসেঞ্জারের ডেস্কটপ ভার্সন কাজ না করলেও মেসেঞ্জারের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কিছু মেসেজ পাঠানো সম্ভব ছিল। তবে কিছু কন্টেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা জটিলতার সম্মুখীন হয়েছে বলা বলা হচ্ছে।

ফেসবুকের আরেকটি মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরাও একই ধরণের সমস্যার মুখে পড়েন বলে জানা যায়। এর ফলে ‘ফেসবুক ওয়ার্কপ্লেস’ - যেটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয় - সেটির সেবাও বিঘ্নিত হয়েছে। এই বিপর্যয়টি এমন সময় হলো যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের আইন-প্রণেতারাই বিবেচনা করছেন যে ফেসবুক সহ অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করা উচিত কি না।

এই বিপর্যয়ের কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে?
ফেসবুক সাময়িকভাবে ব্যবহার করতে না পারায় পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় সমস্যার মুখে পড়েন ব্যবহারকারীরা। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে এনিয়ে নানা ধরণের ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করেছেন। গোলোযোগের কারণে ফেসবুক ব্যবহার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করা ব্যক্তিদের ব্যঙ্গ করে একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট না করে কীভাবে খাওয়া-দাওয়া বা প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ করা যায় তা অনেকেই ভুলে গেছেন।’

ফেসবুক সাময়িকভাবে অকার্যকর হওয়ায় টুইটারে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমের একটি জনপ্রিয় কৌতুকের মাধ্যমে প্রকাশ করে পোস্ট এবং শেয়ার করেছেন অনেকে।

সামাজিক মাধ্যম টুইটারে #ফেসবুকডাউন ও #ইনস্টাগ্রামডাউন এই দুটি হ্যাশট্যাগ এরই মধ্যে দেড় লক্ষ বারের বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশেও অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী বিভিন্ন রকম জটিলতার মুখে পড়েন।


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল