২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দূর্বল হয়ে সুন্দরবন অতিক্রম করছে ‘বুলবুল’

দূর্বল হয়ে সুন্দরবন অতিক্রম করছে ‘বুলবুল’ - সংগৃহীত

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। তবে বাংলাদেশের দিকে যত এগিয়ে আসছে ততই শক্তি হারাচ্ছে দূর্বল। আর প্রতিবারের মত এবারও ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবন।

শনিবার রাত ১১টার পর আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আয়েশা খানম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুলবুল উপকূল অতিক্রম করছে। তত লোকালয়ে যত আসবে ততই দূর্বল হয়ে যাবে। সুন্দরবনের কারণেই দূর্বল হয়ে যাবে।’

বাংলাদেশে মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূল অতিক্রম করবে তারপর বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে ‘বুলবুলে’র। শক্তিশালী এই ঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আয়েশা খানম বলেন, ‘উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বুলবুল অতি প্রবল ছিল যা কিছুটা দূর্বল হয়েছে। বাতাসের বেগ কিছুটা কমেছে। এটা আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের দিকে আসবে। যত আসবে তত দূর্বল হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করবে তারপর বাংলাদেশে আসবে। এটি সুন্দরবন দিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে। সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হেনেছে। ওই সময় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি। তখন এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে ছিল।’

‘বুলবুলে’র কারণে সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টি হয়। যার প্রভাবে দেশের অনেক অঞ্চলেও বৃষ্টি হয়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া জোয়ার এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে উপকূলীয় এলাকায়।

উপকূলের ১৪টি জেলায় প্রস্তুত ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।

সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় ও ত্রাণ তৎপরতা মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে বুলবুল মোকাবেলায়। নৌবাহিনীর ৫ টি জাহাজ এবং বিমানবাহিনীর সকল এয়ারক্রাফ্ট দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো সেবার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই দেশের অভ্যন্তরীণ সব নৌপথে লঞ্চ ও জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর সব কার্যক্রম। সাগরে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরণের উড়োজাহাজ চলাচল।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববারও সারাদেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করবে। সোমবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ।


আরো সংবাদ



premium cement