ফণীর অবস্থান এখন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে
- ০৪ মে ২০১৯, ০৬:৪১, আপডেট: ০৪ মে ২০১৯, ১০:৪২
প্রবল ঘূর্ণিঝড় "ফণী" গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরদ্বয়কে সাত (পুনঃ) সাত নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ছয় (পুনঃ) ছয় নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে চার (পুনঃ) চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।
উল্লেখ্য বাসসের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ এবং এর উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে। ‘ফণী’র প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাঠানো আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দশমিক নম্বর ৪০ (চল্লিশ)-এ এই তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এতে জানিয়েছে, ভারতের উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতের উপকূলীয় উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (২১.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাত থেকে আগামীকাল (৪ মে) সকালের মধ্যে খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের (কিঃ মিঃ) মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ কিঃ মিঃ, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা