২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, গরম কমবে

- ছবি : সংগৃহীত

নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও এর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গেছে। এটা আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে দুই হাজার ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে দুই হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে দুই হাজার ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে দুই হাজার ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরো শক্তিশালী হতে পারে এবং অগ্রসর হতে পারে উত্তর-পশ্চিম দিকে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার। এটা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর বেশ উত্তাল। চট্টগ্রাম, কক্সাবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে।

নিম্নচাপটি শেষ পর্যন্ত ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন। এটা আগামী মে মাসের ৪ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। উপকূলে উঠার আগ মুহূর্তে এর গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ১১৫ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

এখন পর্যন্ত এটা কোথায় যাবে এবং কোন উপকূলে আঘাত করবে তা পরিস্কার নয়। তবে আবহাওয়াবিদেরা ধারণা করছেন যে এটা হয়তো বাংলাদেশ অথবা মিয়ানমার উপকূলে অথবা উভয় উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া অফিস অবশ্য তামিলনাড়ু থেকে মিয়ানমার উপকূল যে কোনো উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস চলতি এপ্রিল মাসে দুইটি নিম্নচাপ এবং এটা থেকে কমপক্ষে একটি ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল। এপ্রিলের গত ২৫ দিনে কোনো নিম্নচাপ অথাব ঘূর্ণিঝড় হয়নি। এটাই এ মাসের প্রথম নিম্নচাপ।

আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস সময় বাস্তবে রূপ নেয় না। কোনো কোনো সময় পূর্বাভাস ব্যর্থ হয়। কারণ আবহাওয়া কোনো নির্দিষ্ট ছক মেনে চলে না। যে কোনো সময় এর মধ্যে নানা পরিবর্তন হয়ে থাকে। চলতি মাসে হয়তো নিম্নচাপ পর্যায়ে থাকতে পারে এটি। মে মাসে গিয়ে তা ঘূর্ণিঝড় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপরে কারণে ইতোমধ্যে গরম কমতে শুরু করেছে আজ দুপুরের পর থেকে। স্বস্তি দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে। তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আকাশে মেঘ দেখা দিয়েছে। ফলে রোদের তেজও কমে গেছে। রাতের বেলা হয়তো তাপমাত্রা কমে ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে আসতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement