২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাড়ছে গতি, কোথায় আঘাত হানবে ‘তিতলি’?

বাড়ছে গতি, কোথায় আঘাত হানবে ‘তিতলি’? - ছবি : সংগৃহীত

গতি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি! ভয়াবহ তাণ্ডব চালানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোথায় এটি আঘাত হানতে পারে তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।
ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় তিতলি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তার জেরেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তুমুল বৃষ্টি চলবে ৭২ ঘণ্টা ধরে!

এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ সামান্য পরিবর্তন হয়ে এ রাজ্যের দিকে ঝুঁকলে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সেই সম্ভাবনা খুবই কম বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।

তিতলির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, নদিয়ার বাসিন্দারা। তাই পুজোর মুখে তিতলির চিন্তায় রয়েছেন উদ্যোক্তারা। বেশিরভাগ মণ্ডপের কাজ শেষের মুখে। এমন সময় তিনদিন তুমুল বৃষ্টি হলে কাজ ব্যহত হতে পারে। আশার আলো একটাই সোমবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সেই নিম্নচাপ থেকেই ঘূর্ণিঝড়ে তিতলির জন্ম। ইতিমধ্যেই সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ প্রশাসন উপকূলে সতর্কতা জারি করেছে। ওড়িশার গোপালপুরে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি রয়েছে। ওড়িশা, অন্ধ্রর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এর প্রভাব পড়তে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।

কী হতে পারে?

ঘূর্ণিঝড় তিতলি প্রস্তুত হচ্ছে আঘাত হানতে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থারত লঘুচাপটি একদিনের ব্যবধানে গত সোমবার নিম্নচাপে পরিণত হয়। আবার পরের এক দিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার সকালে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিবর্তিত হয়ে যায়। গভীর নিম্নচাপ থেকে খুব শিগগিরই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে তিতলি। তিতলি আঘাত করবে তবে বাংলাদেশে নয় ভারতে। এর গতিপথ এখন পর্যন্ত পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। এটা ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের দিকে নির্দেশ করছে। আগামী বৃহস্পতিবার এটি আঘাত হানতে পারে।

ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার এবং এটা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপাতত: বাংলাদেশের বন্দরসমুহকে ১ নম্বর দুরবর্তি সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দুরবর্তি সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড় তিতলি শেষ ১০০ কিলোমিটার বেগে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement