১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পারিবারিক সহিংসতার শিকার ৮৮.৮ শতাংশ শিশু

-

বেশির ভাগ শিশু নিজ পরিবারেই সহিংসতার শিকার হচ্ছে। ১ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশই পরিবার থেকে সহিংস আচরণের (অতিরিক্ত শাসনের) শিকার হচ্ছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিবিএস বলছে, ১৫ বছরের নিচে প্রতি ১০ শিশুর ৯টিই কোনো না কোনোভাবে তাদের অভিভাবক বা সেবা প্রদানকারীদের সহিংসতার শিকার হয়। আর ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশই শ্রমের সাথে জড়িত।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে গতকাল ‘মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে-২০১৯’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। বক্তব্য দেন, সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব শহিদুল ইসলাম ও ইউনিসেফের অফিসার ইনচার্জ অ্যালেন বালাডিন ডমসন। দেশজুড়ে দৈবচয়েন ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে ১ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে ৬১ হাজার ২৪২টি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করে এমআইসিএস।
জরিপে বিবিএস বলছে, বাল্যবিবাহ কমার ক্ষেত্রে গত ছয় বছরে কোনো অগ্রগতি নেই। ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। আর ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হচ্ছে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ শিশুদের। আর ৩৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে শৈশবকালীন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তুলনামূলক কম। এ সংখ্যা গড়ে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১২-১৩ সালে যা ছিল ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এ সময়ে স্কুলে উপস্থিতির হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৮৫ দশমিক ৯ ভাগ। যদিও এখনো ১৩ শতাংশ কিশোর-কিশোরী নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষার বাইরে আছে। ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ শিশু শ্রমের সাথে জড়িত। স্কুলে যাওয়া শিশুদের তুলনায় এ হার বেশি। শিক্ষা শেষ না করে ঝরে পড়ার হারে প্রতি পাঁচজনের একজনই ছেলে। একই সাথে গ্রামে শিশুদের বিয়ে এখনো ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। দারিদ্র্য নিরসনে অগ্রগতি হলেও শিশুদের পুষ্টির হার ভালো নয়।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পড়ায় আগ্রহ কমছে নারীদের। বাড়িতে টেলিভিশন বাড়লেও নারীদের খবর দেখার আগ্রহ কমছে। ২০১২-১৩ সালে ১৫ থেকে ৪৯ বয়সী নারীদের মধ্যে পত্রিকা, রেডিও ও ম্যাগাজিন পড়ার আগ্রহের হার ছিল ১ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে হয়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। বাসা বাড়িতে রেডিও এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বাড়িতে রেডিও আছে। ছয় বছর আগে ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
বলা হয়েছে, বাসাবাড়িতে টেলিভিশনে নারীরা খবর বাদ দিয়ে নাটক বিনোদন বেশি দেখছেন। ছয় বছর আগে ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন থাকলেও বর্তমানে এ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ দশমিক ৬ শতাংশে। নারীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার হার বাড়ছে। বর্তমানে ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ নারী যেকোনো স্টেটমেন্ট পড়তে পারেন। ছয় বছর আগে এ হার ছিল ৮২ শতাংশ। বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। ২০১২-১৩ সালে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুতের সুবিধা ছিল। এখন এ হার বেড়ে হয়েছে ৯২ দশমিক ২ শতাংশ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির বগুড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকভর্তি কলা ছিনতাই : গ্রেফতার ৪ ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ, চুক্তি বাতিল স্নান করতে গিয়ে দূর্গাসাগর দীঘিতে ডুবে একজনের মৃত্যু ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা মানবতার কল্যাণে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে হবে : জামায়াত আমির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭ ফিট তামিমকে যেকোনো ফরম্যাটের দলে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক বিকেবি ও রাকাব একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অপহৃত চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার রামেক আইসিইউতে, গ্রেফতার ২ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার

সকল