২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বিটিআরসিকে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে গ্রামীণফোন

-

দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ১ হাজার কোটি টাকা জমা করেছে শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো: জহুরুল হক অপারেটরটির ডিরেক্টর ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সা’দাতের কাছ থেকে ১ হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডারটি গ্রহণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সুখবরটা পেলামই। গ্রামীণফোন ১ হাজার কোটি টাকা প্রদান করেছে।’
এর আগে এক বিবৃতিতে গ্রামীণফোন জানিয়েছিল, রোববার তারা আদালতের নির্দেশনা মেনে বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা দেবে। এরই অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিটিআরসিতে গিয়ে এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডারটি হস্তান্তর করে।
এ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের পরিচালক ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সা’দাত গতকাল বলেন, ‘গ্রামীণফোন বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। গ্রামীণফোন তার আইনগত অবস্থানের কোনো ধরনের ব্যত্যয় ছাড়াই অ্যাপিলেট ডিভিশনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসিকে সমন্বয়যোগ্য ১০০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গ্রামীণফোন তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলতে চায়, এটি একটি বিরোধপূর্ণ অডিট এবং গ্রামীণফোন আদালত অথবা আদালতের বাইরে এই অডিটের গঠনমূলক সমাধান করতে চায়। অডিট বিরোধ সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে গ্রামীণফোন আলোচনা চালিয়ে যাবে এবং প্রতিষ্ঠানটি আশা করে ব্যবসায়িক পরিবেশ খুব দ্রুত স্বাভাবিক হবে যার মাধ্যমে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে পারবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণফোনকে সোমবারের মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। গ্রামীণফোনের করা রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।
বিটিআরসি বলে আসছে, গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাশাপাশি রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে দুই অপারেটরকে নোটিশ পাঠায়।
বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় দুই অপারেটর আদালতের দ্বারস্থ হয়। পরে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হলেও তাতে সফলতা আসেনি।
গ্রামীণফোনের আবেদনে গত ১৭ অক্টোবর বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির নোটিশের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি লিভ টু আপিল করলে আপিল বিভাগ ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement