২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বামনায় বয়স্কভাতা আনতে গিয়ে ব্যাংকের গেটে রক্তাক্ত বৃদ্ধ

হাসপাতালে সেরাজ সরদার -

বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোফখালী গ্রামের মো: সেরাজ সরদার (৬৮) বয়স্কভাতার টাকা আনতে বামনা সদরে গেলে সোনালী ব্যাংকের গেটে বয়স্কভাতাভোগীদের ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে মাথায় চোট লেগে রক্তাক্ত হন। পরে আহত সেরাজ সরদারকে এফপিআই (পরিবার পরিকল্পনা) মনিরুজ্জামান উদ্ধার করে বামনা হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করান। তার বয়স্কভাতার বহি নং-১৬২৮।
জানা যায়, গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে মৃত বুরজুক সরদারের ছেলে মো: সেরাজ সরদার বয়স্কভাতার টাকা আনতে বামনা উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের বামনা শাখায় গেলে রাস্তায় ও ব্যাংকের গেটে বয়স্কভাতাভোগীদের বৃদ্ধ নারী-পুরুষের প্রবল ভিড়ে গেটের কাছে গেলে পাশ থেকে ভাতাভোগীদের চাপে ধাক্কা লাগে। এ সময় সেরাজ সরদারের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লেগে মাথা ফেটে রক্তপাত শুরু হয়।
সকালে সোনালী ব্যাংক বামনা শাখায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের দু’পাশে প্রবীণদের ভিড়। ব্যাংকটির সিঁড়ি থেকে দোতলার ভবন পর্যন্ত সমগ্র জায়গাজুড়ে প্রবীণদের দখলে। কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই দাঁড়িয়ে থাকা। অনেকের দুপুরের খাবারও জোটে না। প্রতিটি প্রবীণের চেখেই অসহায়ত্বের ছাপ।
বামনা প্রেস কাব সভাপতি ওবায়দুল কবীর আকন্দ দুলাল বলেন, প্রবীণদের বয়স্কভাতা নিতে আসায় যে পরিমাণ ভোগান্তিতে পড়তে হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এসব ভাতার অর্থ মোবাইল ফোনে বিকাশ/নগদ একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হলে হয়তো প্রবীণদের শেষ বয়সে এমন কষ্ট ভোগ করতে হতো না।
বয়স্কভাতা নিতে এসে আহত সেরাজ সরদার বলেন, প্রতিবারে টাকা নিতে এলে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমি গতকাল আসি টাকা নিতে, ভিড়ের কারণে সারা দিন ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে পারিনি। বুধবার সকাল থেকে এগারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর কোনোমতে গেটের ভেতর ঢুকতে পারি। লোকের ঠেলাঠেলিতে মাথা ফেটে যায়।
বামনা উপজেলায় এই সোনালী ব্যাংক থেকে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্তভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা পেয়ে থাকেন উপকারভোগীরা। এ ছাড়াও এই সোনালী ব্যাংক থেকে সব সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন প্রকার লেনদেন করা হয়। ফলে প্রতি মাসে বিভিন্ন ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদান করতে ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হয়।
সোনালী ব্যাংক বামনা শাখার ব্যবস্থাপক ওবায়দুল হক বলেন, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সব ভাতাভোগীকে বামনা সোনালী ব্যাংক থেকে ভাতা দেয়া হয়। ফলে প্রতি মাসে ভাতাভোগীদের ভিড় সামাল দিয়ে সেবা দিতে কষ্ট হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement