২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বিটিআরসি ও এমটবের সেমিনার মোবাইল টাওয়ারে ক্ষতিকর কিছু নেই

-

মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন আন্তর্জাতিক ও বিটিআরসির বেঁধে দেয়া মানদণ্ডের অনেক নিচে আছে। এতে মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কোনো কারণ নেই।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘টাওয়ার রেডিয়েশনের মানদণ্ড ও সাম্প্রতিক জরিপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
বিটিআরসির উদ্যোগ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ-এমটবের আয়োজনে এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, স্পেক্ট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শহিদুল আলম, বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের উপপরিচালক ড. শামসুজ্জোহা এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের (বাংলাদেশ) মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক এস এম নাজমুল হাসান। এমটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এস এম ফরহাদের সঞ্চালনায় এ সেমিনারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও মোবাইল শিল্প খাতের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিটিআরসির স্পেক্ট্রাম বিভাগের কমিশনার মো: আমিনুল হাসান বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের মাত্রা নিয়ে জরিপ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। টাওয়ারের রেডিয়েশনের ফল অত্যন্ত সন্তোষজনক পাওয়া গেছে, যা আমরা নিয়মিতভাবে বিটিআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি। মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন আন্তর্জাতিক ও বিটিআরসির বেঁধে দেয়া মানদণ্ডের অনেক নিচে আছে। এতে মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কোনো কারণ নেই।
মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশন জরিপ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, টাওয়ার রেডিয়েশন নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি আছে, এটা ভিত্তিহীন। আমরা সরকারি, বেসরকারি সংস্থা বা ভবন মালিকদের কাছে নিশ্চিত করছি যে আপনারা ভয় পাবেন না।
বিটিআরসি কমিশনার আরো বলেন, দেশের উচ্চ আদালত আমাদের কাছে এ-সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন। আমরা শিগগিরই আদালতের কাছে রিপোর্ট পেশ করব।
আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের উপপরিচালক ড. শামসুজ্জোহা বলেন, রেডিয়েশন দুই ধরনের। আয়োনাইজিং ও নন-আয়োনাইজিং। এর মধ্যে আয়োনাইজিং রেডিয়েশন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যেমন পারমাণবিক বর্জ্য, সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রে, গামা-রে কিংবা এক্স-রে। এসব শরীরের মধ্যে ডিএনএ পর্যায়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম। অপর দিকে মোবাইল রেডিয়েশন নন-আয়োনাইজিং। এর শক্তি খুব কম, ফলে এর কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। মোবাইল টাওয়ারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির এমএফ রেডিয়েশন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে এবং আমরা জরিপে পেয়েছি যে দেশের মোবাইল টাওয়ারগুলোর রেডিয়েশন নির্ধারিত সীমার অনেক নিচে আছে।
তিনি জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সুন্দরবন, ফেনী, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, জামালপুর ইত্যাদি অনেক এলাকায় জরিপ চালানো হয়েছে। এ পর্যন্ত কোথাও নির্ধারিত সীমার বেশি রেডিয়েশন পাওয়া যায়নি।
অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, টাওয়ার নিয়ে যে বিভ্রান্তি আছে, তা দূর হওয়া দরকার। কারণ, আমাদের প্রযুক্তি নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তিনি জরিপ অব্যাহত রাখাসহ জনমনের বিভ্রান্তি দূর করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসির প্রতি আহ্বান জানান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এস এম ফরহাদ বলেন, সামনে যখন ফাইভ-জি আসবে তখন আমাদের অনেক বেশি সাইটের প্রয়োজন হবে। তাই শুধু শুধু আতঙ্কিত হয়ে প্রযুক্তিকে রুদ্ধ করার কোনো যুক্তি নেই। তাহলে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ব।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল