২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুর্ঘটনা রোধে ট্রেন ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে : সংসদে রেলমন্ত্রী

-

ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে ট্রেন ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তরে বেগম লুৎফুন নেসা খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, রেল দুর্ঘটনার প্রধান কারণ ট্রাক, কোচ, ব্রিজ ইত্যাদি মেনটেন্যান্সের অভাব। এ ছাড়া অবৈধ লেভেল ক্রসিং গেট দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল, ইঞ্জিন বিকল হওয়া, ট্রেন থেকে যাত্রী লাফ দেয়া, রেল লাইন ভেঙে যাওয়া, টেলিফোন ব্যবস্থার অচলাবস্থা, লাইনের পয়েন্ট ফেটে যাওয়া, ট্রেন পার্টিং লাইনচ্যুতি, রেলগাড়ির ক্ষতির কার্যক্রম করা, লাইনের ওপর দিয়ে গরু, বাছুর ছাগলসহ পশুর যাতায়াত, বন্যার কারণে ট্রেন লাইনের ক্ষতি হওয়া, সিগনাল ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ইত্যাদি কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। রেল দুর্ঘটনা রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের আরো সচেতন করার জন্য বিভিন্ন মোটিভেশনাল কাজ চলছে। এছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বরিশাল যাচ্ছে রেল : মহিববুর রহমানের (পটুয়াখালী-৪) এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বরিশাল জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেলপথ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের বিশদ নকশা প্রণয়ন ও দরপত্র দলিল তৈরিসহ ভাঙা জংশন (ফরিদপুর) হয়ে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল লাইন তৈরির জন্য সম্ভাবতা সমীক্ষার প্রস্তাব ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয়েছে। বর্তমানে মাঠপর্যায়ে সমীক্ষা কার্যক্রম ৫১ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এ কাজটি শেষ হলে ভবিষ্যতে এ লাইনটি কুয়াকাটা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিপ্রণা রয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
আবদুল মান্নানের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের ৪৪টি জেলায় রেলপথ রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক ট্রেন চলবে : পীর ফজলুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ‘ইলেকট্রিক ট্রাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাবস্টেশন নির্মাণ) প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইন’ করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। গত বছরের ৭ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সমীক্ষা প্রস্তাব রেল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই সমীক্ষা প্রকল্পের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিনিয়োগ প্রকল্প নেয়া হলে এবং বাস্তবায়ন করলে তা দেশের রেলপথের আধুনিকায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
তানভীর ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশে ৯৮টি রেল স্টেশন তৈরি এবং ১৮৫টি স্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement