নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ আপিল বিভাগের

সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে প্রকাশিত নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট অবৈধ ঘোষণা প্রশ্নে জারি করা হাইকোর্টের রুল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) দু’টি লিভ টু আপিলের নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির অ্যাপিলেট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রোববার এই আদেশ দেন। নোয়াবের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও মো: ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিল সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো: নিজামুল হককে প্রধান করে গত বছর ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়। পরে নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মতিউর রহমান গত বছরের মে মাসে একটি রিট আবেদন করেন।
প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ৬ আগস্ট ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশের ওপর দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন। হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে আবেদনের শুনানি শেষে গত ২০ আগস্ট আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশটি ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেন। ওই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত। এরপর আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে নোয়াব। এরই মধ্যে ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করে সরকার, যা ২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়। বিচারপতি নিজামুল হক গত ৪ নভেম্বর তখনকার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে সংবাদকর্মীদের বেতনভাতা সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। এর ভিত্তিতে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সেটি চ্যালেঞ্জ করে একটি সম্পূরক আবেদন করে নোয়াব। প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো: আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৫ আগস্ট রুল জারি করেন। নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জানতে চাওয়া হয়।