রাবির সাবেক প্রশাসনসহ সব দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও দুর্নীতি, ঢাকার অতিথি ভবন ক্রয়ে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতিসহ সব দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদুর রহমান বলেন, সাবেক প্রশাসন অধ্যাপক ড. মিজান উদ্দিনের আমলে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক, কফিশপ ও ঢাকার অতিথি ভবন নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। কিন্তু তারাই আজকে একটি সুশৃঙ্খল অ্যাকাডেমিক পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। এ অবস্থায় সাবেক প্রশাসনের দুর্নীতিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নজির স্থাপন করতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আরিফুর রহমান বলেন, দুর্নীতিপরায়ণ কিছু শিক্ষক নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে এ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। তারা গ্রামের হাটবারের মতো সপ্তাহে দুই দিন দাঁড়িয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, গত প্রশাসনের আমলে স্মার্ট কার্ড দেয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত স্মার্টকার্ডের কোনো রকম ব্যবহার ও উপকারিতা পায়নি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজকে যিনি দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারের প্রধান ব্যক্তি তার নামেও ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ আছে, সেটিও তদন্তাধীন।
মানববন্ধনে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত সরকার, সুমাইয়া খানম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক নূর প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাবুল ইসলাম, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রভাষকুমার কর্মকার, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য সচিব অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদসহ দুই শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সকালে ক্রপ সায়েন্স বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অবৈধ দাবি করে ভিসি বাসভবনের সামনে প্লাকার্ড হাতে অবস্থান নেন দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের কয়েকজন শিক্ষক। এ সময় অবৈধ নিয়োগ বন্ধের দাবি জানান তারা।