নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আ’লীগের পক্ষে কাজ করতে চাপ দেয়া হচ্ছে আমীর খসরু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
ঢাকার আসন্ন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি কেন আবারো বেলতলায় যাচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনয়াতনে বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠার গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ ব্যাখ্যা দেন। সংগঠনের সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে রাষ্ট্র, সরকার ও ক্ষমতাসীন দল বাকশালের মতো একাকার হয়েছে। রাষ্ট্রের যেসব কর্মকর্তা নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং যারা নির্বাচনের বাইরে আছেন সবাইকে চাপ দিয়ে বাধ্য করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার জন্য। তারা বাংলাদেশে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম করেছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা ঢাকা সিটিতে একটা নির্বাচনে যাচ্ছি। সবাই বলেছেন, ন্যাড়া বেল তলায় কয়বার যায়? বিএনপি কেন নির্বাচনে যায়?
নির্বাচনে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যাচ্ছি জনগণ যাতে তাদের হাতে যে অপশনটা আছে অর্থাৎ ভোটাধিকারটা প্রয়োগের সুযোগ পায়। আমরা জানি, সারা বিশ্ব জানে বাংলাদেশে কী হচ্ছে। কিন্তু আমরা জনগণের সেই অপশনটা বন্ধ করে দিতে চাই না বলেই নির্বাচনে আছি। আমরা না গেলে তো সেটি বন্ধ হয়ে গেল। আপনারা কেউ তো ভোট কেন্দ্রই যাবেন না, কেউ ভোটে যাওয়ারও সুযোগ পাবেন না, কোনো প্রয়োজনও মনে করবেন না। সে কারণেই আমরা ওই অপশনটা খোলা রেখেছি। আর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যাতে ফিরে আসে সে জন্য আমরা অব্যাহতভাবে চেষ্টা করছি। ভোট থেকে যদি আমরা সরে যাই তাহলে তারা বাকশালী কায়দায় দেশ চালাতেই থাকবে। আমীর খসরু সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঢাকার জনগণ ১ ফেব্রুয়ারি ধানের শীষে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে কারো মনে কোনো সন্দেহ আছে বলে আমার মনে হয় না। আমাদেরকে সাহস নিয়ে নামতে হবে। আমরা যদি নামি তাহলে এরা পরাজিত হবে। এদেরকে বিদায় করতে হলে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এবং তারপরেও আমাদেরকে ভূমিকা রাখতে হবে। বাড়ি চলে গেলে হবে না। যতক্ষণ এই অপশক্তির বিদায় না হয় ততক্ষণ আমাদেরকে সঠিক ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা