২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভালো আর্থিক প্রতিবেদনই দিতে পারে ভালো আইপিওর নিশ্চয়তা

-

আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার জায়গাটিতে আমরা বেশ ভুগছি। ভালো আইপিও বলে কিছু নেই। বরং ভালো আর্থিক প্রতিবেদনই নিশ্চয়তা দিতে পারে একটি ভালো আইপিওর। আইপিও চলে আসার পরে এগুলো নিয়ে কথা বললে আসলে কিন্তু সেটাকে বাঁচানো যায় না। আইপিও আসার আগেই যদি তাদের ব্যাপারে বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্টগুলো করা যায়, তাহলেই সবাই উপকৃত হবে।
রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে গত বৃহস্পতিবার গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) এবং ডিএসই’র উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জিআরআইয়ের উপদেষ্টা ও ভারতের করপোরেট বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. রাম বন্দ্যোপাধ্যায়, জিআরআই পরিচালক ড. অদিতি হালদার, ডিএফএডি প্রোগ্রাম ম্যানেজার রুবিনা পাল ও ঢাকা স্টকের পণ্য ও বিপণন উন্নয়ন বিভাগের প্রধান সৈয়দ আল আমীন রহমান।
মিনহাজ মান্নান ইমন আরো বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে আমরা যদি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারি এবং অ্যাকাউন্ট তারল্য, প্রেজেন্টেশন, আর্থিক প্রতিবেদন ইত্যাদির ব্যাপারে বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি সাংবাদিকরা যদি বুঝতে পারেন তাহলে বিচার বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট হতে পারে।
ডিএসইর পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর অ্যাকাউন্টটিং প্রেজেন্টেশনগুলো অন্য দেশের সমমানের করা দরকার। পৃথিবীর সব দেশে আমাদের অডিট রিপোর্টগুলো বোধগম্য হলে শেয়ারবাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমরা সাদামাটা যে রিপোর্ট উপস্থাপন করি সেটাকে একটি আন্তর্জাতিকমানে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের মূল উদ্যোগ অ্যাকাউন্টিং রিপোর্টিং যেন সমমানের ও আন্তর্জাতিকমানের হয় এবং সবার জন্য তা বোধগম্য হয়। তাহলে বাংলাদেশে যে অ্যাকাউন্ট রিপোর্টটা প্রেজেন্ট হবে, আমেরিকাতেও সেটা হবে। আমেরিকান ব্যক্তিরা বাংলাদেশের রিপোর্টটা বুঝতে পারবে। বাংলাদেশের অডিটরদের রিপোর্ট, প্রেজেন্টেশন অনেক সময়েই আন্তর্জাতিকমানের হয় না। বড় বড় অডিট ফার্মে যারা যুক্ত থাকে তাদের রিপোর্টের যে স্ট্যান্ডার্ড, ছোট ফার্মের অডিট রিপোর্টের মান কিন্তু সে রকম হয় না। তিনি বলেন, বিএটিবিসির রিপোর্ট যেভাবে পাবেন, মডার্ন ডাইংয়ের রিপোর্ট কিন্তু সেভাবে পাবেন না।
পরিচালক মান্নান ইমন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, যেকোনো রিপোর্টের ভালোমন্দ বিচার করেন আপনারা। আপনাদের মাধ্যমেই বাজারের ভুলত্রুটি ও ভালোমন্দ বেরিয়ে আসে। আমরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড পরিচালক, ব্রোকার বা ডিলার যতই চিৎকার করি, যেসব বিনিয়োগকারী আমাদের চারপাশে থাকে তারাই কেবল জানতে পারে। কিন্তু আপনাদের লেখার মাধ্যমে ৩০ লাখ বিনিয়োগকারী সেটা সহজেই জানতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement