ফারমার্স ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
ঋণের নামে ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় দি ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) সাবেক তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল কমিশনের বৈঠকে অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয়া হয়।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখার সাবেক এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামছুল হাসান ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজার (অপারেশন) মাহবুব আহমদ এবং সাবেক অফিসার ও ক্রেডিট ইনচার্জ কাওসার হোসেন।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তা শামছুল হাসান ভূঁইয়া, মাহবুব আহমদ ও কাওসার হোসেন পর¯পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) বসুন্ধরা শাখার একজন গ্রাহকের নামে মঞ্জুরিকৃত ঋণ থেকে প্রায় ৭৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় গত বছর ৭ নভেম্বর ভাটারা থানায় দুদকের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে আজমীর ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী মোসাম্মৎ আফরোজা বেগম দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) বসুন্ধরা শাখায় একটি চলতি হিসাব খোলেন। তিনি সেই অ্যাকাউন্টে কোন লেনদেন করেননি এবং কোনো চেকবই গ্রহণের জন্য আবেদনও করেননি। কিন্তু গ্রাহককে না জানিয়ে আসামিরা বিভিন্ন সময়ে সে অ্যাকাউন্টে অর্থের লেনদেন করেন এবং গ্রাহকের ছবি, কাগজপত্র ও স্বাক্ষর জাল করে গ্রাহকের নামে ৫০ পাতাবিশিষ্ট একটি চেকবই ইস্যু করেন। পরবর্তীতে আফরোজা বেগম ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা ঋণের আবেদন করলে আসামিরা সে আবেদন পরিবর্তন করে আজমীর ইলেকট্রনিকস নামে ভিন্ন একটি আবেদন হিসেবে তা সংরক্ষণ করেন। আবেদনকৃত ১ কোটি টাকা ঋণের মধ্য থেকে ৮০ লাখ টাকা মঞ্জুর করা হলে আসামিরা পর¯পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জাল স্বাক্ষর দিয়ে এবং গ্রাহক সশরীরে উপস্থিত আছে মর্মে প্রত্যয়ন দিয়ে ৭৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন, যা দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা