২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভুয়া ওয়ারেন্ট ইস্যুকারী খুঁজতে সিআইডির কমিটি গঠন

-

ভুয়া ওয়ারেন্ট কোথা থেকে ইস্যু হয় এবং কারা ইস্যু করে তা খুঁজে বের করতে চার কর্মকর্তার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিনিয়র পুলিশ সুপার মো: দেলোয়ার হোসেন মিঞার নেতৃত্বাধীন কমিটির অপর সদস্যরা হলেনÑ অতিরিক্ত এসএসপি ফারুক আহমেদ, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো: রেজাউল হক ও পুলিশ পরিদর্শক মো: আসাদুজ্জামান।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে কমিটি গঠন সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন। এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর ভুয়া ওয়ারেন্ট কোথায় থেকে ইস্যু হয় এবং কারা ইস্যু করে তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো: আওলাদ হোসেনকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিন আওলাদকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন করা হয়। আদালত তার নথিপত্র কক্সবাজারের আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ নথিপত্র কক্সবাজারের আদালতে পৌঁছার পর আওলাদের জামিন আবেদন করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর কক্সবাজার আদালত জানান, ওই মামলায় আওলাদ নামে কোনো আসামি নেই। গ্রেফতারি পরোয়ানাটি এই আদালত থেকে ইস্যু হয়নি। ওই পরোয়ানা সৃজন করা হয়েছে। তাকে মুক্তি দেয়া হোক। এরপর মুক্তিনামাটা যখন ঢাকা জেলখানায় পৌঁছায় তখন ঢাকা কারাগার জানায় তার বিরুদ্ধে রাজশাহীর একটি মামলা রয়েছে এবং তাকে রাজশাহী পাঠানো হবে। রাজশাহী কোর্টে যখন তার জামিন চাওয়া হয় তখন রাজশাহী কোর্ট জানান, এই নামে কোনো আসামি নেই এ মামলায়। তখন তাকে মুক্তি দেয়ার আদেশের পর কারাগার থেকে জানানো হয়, তার বিরুদ্ধে বাগেরহাটে আরো একটি মামলা আছে। সেখানে তাকে পাঠানো হবে।
এরপর গত ১ ডিসেম্বর বাগেরহাট আদালতে জামিন চাইলে আদালত জানান, আওলাদ হোসেন নামে এ মামলায় কোনো আসামি নেই এবং তার নামে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা এখান থেকে জারি করা হয়নি। ওই দিন বাগেরহাটের আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন। এ আদেশের পর তার বিরুদ্ধে আবার শেরপুরে একটা মামলায় ওয়ারেন্টের বিষয়ে জানানো হয়। এমন করে একাধিক জেলা ঘুরে এখন তিনি শেরপুর কারাগারে আছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তার স্ত্রী।
এ রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ১০ ডিসেম্বর হাইকোর্টেও একটি বেঞ্চ ভুয়া ওয়ারেন্ট কোথা থেকে ইস্যু হয় এবং এর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
একইসাথে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো: আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জারি করা ওয়ারেন্ট ভুয়া কি না, তা যাচাই করে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার কমিটি গঠনের কথা হাইকোর্টকে জানায় সিআইডি। 

 


আরো সংবাদ



premium cement